বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি ও উইমেন লিডারশীপ’ শীর্ষক কর্মশালা আজ সফলভাবে শেষ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির অলিম্পিক সলিডারিটির অর্থায়নে এবং অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়ার সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো বিওএ এই ধরনের কর্মশালার আয়োজন করেছে। কর্মশালায় বিভিন্ন জাতীয় ফেডারেশন থেকে মোট ৪৭ জন খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক এবং সংগঠক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিওএ’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ বি এম শেফাউল কবীর। তিনি তার বক্তৃতায় নারীদের অধিকার এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে প্রফেসর ডা: মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের জন্য ব্যক্তিগত দক্ষতা উন্নতির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। পরবর্তী সেশনে আখতার হোসেন খান বাংলাদেশে জেন্ডার ইকুয়ালিটি এবং নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর অংশগ্রহণকারীরা ৬টি গ্রুপে ভাগ হয়ে কেস স্টাডি উপস্থাপন করেন এবং নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার উপায় নিয়ে প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন।
কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে মো: মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী নারীদের নেতৃত্ব তৈরির উপর আলোচনাসম্পন্ন সেশন দেন, এবং ডা: ফারজানা আক্তার ভূইয়া ক্রীড়া ক্ষেত্রে ফিটনেস ও সুস্থতা নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তী সেশনে অংশগ্রহণকারীরা আবারো কেস স্টাডির মাধ্যমে নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে বিচরণ বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন। তিনি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে নারীদের নেতৃত্ব বৃদ্ধি করা সম্ভব বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিওএ’র কোষাধ্যক্ষ এ কে সরকার, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিওএ মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
সম্পূরক তথ্য:
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো সীমিত। তবে এমন কর্মশালার মাধ্যমে নারীদের নেতৃত্ব এবং অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করা যায়। নারীদের জন্য এমন কর্মশালা গুলি শুধুমাত্র তাদের পেশাদারিত্বই বাড়ায় না, বরং সামাজিক অবস্থা এবং সংস্কৃতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা সমাজের প্রতি একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে।