আর্চারি করে বলা হয় পৃথিবীর প্রাচীনতম খেলা। প্রাচীনকালের পশু শিকারে ব্যবহার করা তীর ধনুকের খেলাই আর্চারি নামে পরিচিত। বর্তমানে বিশ্বে প্রগতিশীল স্পোর্টিং ইভেন্টগুলোর মধ্যে এ খেলাটিপ অন্যতম জনপ্রিয় একটি খেলা। ১৯০০ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত অলিম্পিক গেমসে খেলাটি প্রচলিত ছিলো। তবে, নির্দিষ্ট নিয়মকানুনের অভাবে এরপরে কিছু বছর অলিম্পিক গেমস থেকে আর্চারিকে বাদ দেয়া হয়। ১৯৭২ সালে, পুনরায় আর্চারিকে অলিম্পিক গেমসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ঐতিহাসিকভাবে ধনুর্বিদ্যা মূলত পশু শিকার এবং যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই এর উদ্দেশ্য উদ্ভাবন করা হয়েছিল। বর্তমানে এটি চিত্ত বিনোদন মূলক খেলায় বহু প্রচলিত ক্রিড় বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে তীর-ধনুক ব্যবহার করেন বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি তীরন্দাজ আর্বোচারি বা বোম্যান নামে পরিচিত। প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে ইংল্যান্ডে প্রথম আর্চারি খেলা অনুষ্টিত হয়। এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক খেলা। এই খেলা বাংলাদেশ সহ প্রায় সকল দেশে খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা।
[ আর্চারি : পৃথিবীর প্রাচীনতম খেলা ]
প্রাচীনকালে তীর বা ধনুক ব্যবহার করে পশু শিকার করা হতো। পরবর্তীকালে হস্তনির্মিত অস্ত্র হিসেবে যুদ্ধক্ষেত্রে এর বহুল প্রচলন ঘটে। এটি গোলন্দাজ সৈন্যবিভাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। নিখুঁত লক্ষ্যভেদে এর জুড়ি ছিল না এবং দক্ষ তীরন্দাজগণ যুদ্ধ জয়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখতেন। আদি ইতিহাস থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত তীর ধনুক একটি অত্যাবশ্যক অস্ত্র ছাড়াও একটি প্রতিযোগিতামূলক খেলা আর্চারি হিসেবে দেশ ও জাতীয় সীমা পেরিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সারা বিশ্বে।

ব্যক্তি হিসেবে যিনি তীর-ধনুক ব্যবহার করেন বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন তিনি তীরন্দাজ বা আর্চার বা বোম্যান নামে পরিচিত। আর্চারি ইনডোর এবং আউটডোর উভয় ক্ষেত্রে খেলা হয়ে থাকে। ইনডোরের ক্ষেত্রে শুটিং লাইন থেকে টার্গেটের দূরত্ব হয় ১৮ থেকে ২৫ মিটারের মধ্যে যা আউটডোরের ক্ষেত্রে হয় ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
অলিম্পিকে স্ট্যান্ডার্ড দূরত্ব হল ৭০মিটার। আর্চারি প্রতিযোগীতা কয়েকটি ভাগে বা প্রান্তে ভাগ করা হয়। প্রতি ভাগে বা প্রান্তে একজন প্রতিযোগী ৩ থেকে ৬টা তীর ছুড়তে পারে। ইনডোরের ক্ষেত্রে ২০টা প্রান্ত থাকে এবং প্রতি প্রান্তে ৩ টি তীর ছোড়া যায়। আর এ জন্য সময় দেওয়া হয় ২ মিনিট।

কেবল সিগ্যনাল দেওয়ার পরেই আর্চাররা তীর নিক্ষেপ করতে পারে। সিগন্যাল দেওয়া হয় লাইট কিংবা পতাকার মাধ্যমে, এক্ষেত্রে কোন শব্দ সংকেত ব্যবহার করা হয় না। তীর টার্গেটের কোথায় আঘাত করেছে তার উপর ভিত্তি করে পয়েন্ট দেওয়া হয়। বাইরের সাদা বৃত্ত থেকে ভিতরের কেন্দ্র পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ১ থেকে ১০ পয়েন্ট দেওয়া হয়। যদি তীর টার্গেট আঘাত না করে তবে সেটাও গণনা করা হয়। যদি কেউ নির্দিষ্ট সময়ের পরে তীর নিক্ষেপ করে তবে শাস্তি হিসেবে সেই প্রান্তের সর্বোচ্চ পয়েন্টটি বাতিল হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই খেলাটি খেলার জন্য অবশ্যই আপনাকে ধনুক ব্যবহার করতে হবে। ধনুক এর প্রধান হাতিয়ার। এই ধনুক টি অবশ্যই উন্নত মানের ধনুক হতে হবে। তা না হলে ধনুক মারার সময় আপনার তা বেকে থাকে সেটা দেখে যেতে পারে আর এটি বেঁকে গেলে আপনার লক্ষ্যবস্তু হবে না তাই অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো মজবুত এবং উন্নতমানের প্রয়োজন।তীর মারার সময় তিনি স্থিতিস্থাপকতা থাকতে হবে এবং তিনটি মারার সময় আপনার হাতা অবশ্যই নমনীয়তা করতে হবে।

প্রতিটি খেলায় প্রতিটা জিনিসের সমভাবে প্রয়োজন। ধনুকের পাশাপাশি তীরের প্রয়োজন। তীর নিক্ষেপ করার সময় আপনাদেরকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে এবং তিনটি ভালো মানের হতে হবে যদি তিনটি ভালো মানের না হয় তাহলে আপনি লক্ষ্যভেদ করতে পারবেন না এবং আপনি অবশ্যই হবেন এর জন্য আপনার দৃষ্টি ভালো এবং মজবুত ও উন্নত মানের দেখে নিতে হবে।তীরন্দাজরা যখন তীর প্রতিযোগিতায় যায় তখন প্রতিটি তীরন্দাজ কে ৩ থেকে ৬টি তীর দেওয়া হয় আবার ইনডোরের ক্ষেত্রে দেওয়া হয় এবং এদেরকে দুইটি মিনিট সময় দেওয়া হয় প্রতিটি প্রান্তে থেকে তারা তিনটি করে।
যখন তীর নিক্ষেপ করতে হয় তখন ধনুকের স্থিতিস্থাপকতা অনমনীয়তা থাকতে হবে।যখন তীর নিক্ষেপ করবে তখন ধনুকের স্থিতিশক্তি ও গতিশক্তি লাভ করে।এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় তা দ্রুত গতিতে অনেক দূরে বা বেশি দ্রুত লাভ করে।এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।তীর নিক্ষেপের সময় আপনি যদি আপনার হাতে নমনীয়তা ব্যবহার না করেন তাহলে তিনটি অন্য দিকে বেঁকে যেতে পারে তাই তীর নিক্ষেপ করার সময় আপনার নিশানা এবং আপনার হাতের নমনীয়তা ভাব থাকতে হবে তাহলে আপনি গন্তব্য স্থানে আপনার দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: