ফুটবল বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মুসলিমদের প্রতি সম্মান : পুরো বিশ্বের সকল খেলাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হলো ফুটবল। এ ফুটবল শুধু একটি খেলাই নয়, বরং এটি একটি আবেগের নাম। মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে এমন উত্তেজনা এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা পৃথিবীর আর কোনো খেলা দিতে পারেনা বলেই ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।
[ ফুটবল বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মুসলিমদের প্রতি সম্মান ]
তবে, বর্তমান ফুটবল বিশ্বে মুসলিমদের প্রতি দিন দিন বাড়ছে সম্মান। মিসরের মোহাম্মদ সালাহ, সেনেগালের সাদিও মানে, ফ্র্যান্সের এনগোলো কান্তে কিংবা আরেক ফরাসি খেলোয়াড় করিম বেনজেমা ,এরা সকলেই যেনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ইউরোপের নামীদামী ক্লাবগুলো। এ ক্লাবগুলোর সমর্থকদের কাছেও এরা মুসলিম খেলোয়াড় হিসেবে পাচ্ছেন সম্মান। সব কিছুইর পরিপ্রেক্ষিতে ফুটবল বিশ্বের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুসলিম খেলোয়াড়েরা পাচ্ছেন বাড়তি সুবিধা।

রিয়াল মাদ্রিদ স্টার, করিম বেনজেমা। নিজের দুর্দান্ত গোল স্কোরিং অ্যাবিলিটির কারণে রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের কাছে তিনি হলেন মধ্যমণি। এখন পর্যন্ত এ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার তিনিই। এবারের মৌসুমে লা লীগা জয় করেছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালেও উঠেছে তারা। রিয়াল মাদ্রিদের এ চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে উঠা এবং লা লীগা জয়ের মূল কারিগর হলেন করিম বেনজেমা। এবারের লা লীগায় ২৬টি গোলের পাশাপাশি মোট ৭৩টি গোল করার সুযোগ তৈরি করেছেন করিম বেনজেমা। এ কারণে রিয়াল ভক্তদের কাছে তিনি বর্তমানে তিনি এক প্রাণ ভোমরা।
ঠিক তেমনি লিভারপুলের দুই মুসলিম তারকা মোহাম্মদ সালাহ এবং সাদিও মানে। লিভারপুলের এ দুই তারকাই যেন এ ক্লাবের সমর্থকদের কাছে এক অন্যতম ভালোবাসার নাম।

তবে, এতসব মুসলিম তারকাদের খেলা এবং সুন্দর আচরণে মুগ্ধ হয়ে যেনো মুসলিমদের প্রতি ফুটবল বিশ্বের সমর্থকদের দিন দিন বাড়ছে সম্মান এবং ভালোবাসা।

শুধু ঈদের জামাতই নয়, বরং মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য সেদিন ফ্রি বাস সার্ভিসও রেখেছিল ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এমন সম্প্রীতির উদাহরণ দেখিয়ে একদিক থেকে ইংল্যান্ডের অন্য সব ক্লাবকে ছাপিয়ে গেছে ব্ল্যাকবার্ন ক্লাব।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইউরোপের প্রায় সব দেশ ঈদ উদযাপন করেছিল সোমবার। ইংল্যান্ডেও যথারীতি সেদিনই ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছিল সেখানের মুসলিম কমিউনিটি।
সেদিন সকালেই, ব্ল্যাকবার্নের মাঠ ইউড পার্কে আয়োজন করা হয় ঈদ উল ফিতরের জামাত। যেখানে প্রায় তিন হাজার মুসল্লি অংশ নেয়। এ জামাতে বিশেষ আরেকটি দিক হলো, সেদিন নারীদের জন্যও ঈদের সালাত আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়।
“ফুটবল বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মুসলিমদের প্রতি সম্মান”-এ 4-টি মন্তব্য