বাস্কেটবল খেলার নিয়মকানুন এবং ইতিহাস

বাস্কেটবল খেলার নিয়মকানুন এবং ইতিহাস : ফুটবল, হকি এবং ক্রিকেটের মতো বাস্কেটবলও বিশ্বের একটি জনপ্রিয় খেলা। এ বাস্কেটবল অলিম্পিক গেমসেও ইভেন্ট হিসেবে খেলা হয়। বর্তমান বিশ্বে ক্রিকেট এবং ফুটবল অধিক জনপ্রিয়তা পেলেও এ খেলার জনপ্রিয়তাও একেবারেও কম না। বাস্কেটবইল খেলাটির জন্ম ১৮৯১ সালে।

 

Table of Contents

বাস্কেটবল খেলার নিয়ম

 

ম্যাসাচুসেটসের স্প্রিংফিল্ডে অবস্থিত স্প্রিংফিল্ড কলেজটি সে সময় ইয়াং মেনস ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ট্রেনিং স্কুল বা সংক্ষেপে ওয়াইএমসিএ ট্রেনিং স্কুল নামে পরিচিত ছিল।

১৮৯০ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেমস নেইস্মিথ। এই নেইস্মিথই তাঁর শিক্ষার্থীদের জন্য আবিষ্কার করেছিলেন বাস্কেটবল খেলাটি। নেইস্মিথ তাঁর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৮ জনকে বেছে নিয়ে তাদের দুটি দলে ভাগ করেন।

খেলাটির জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩টি নিয়মও তৈরি করেছিলেন জেমস নেইস্মিথ। তবে প্রথম দিকে বাস্কেটবল কোর্টের জন্য নির্দিষ্ট কোনো মাপ ছিল না। বল হিসেবেও খেলোয়াড়রা ব্যবহার করতেন ফুটবল খেলার বল। কোর্টের দুই পাশে দেয়ালের সঙ্গে দুটি ফলের ঝুড়ি লাগানো থাকত।

ওই ঝুড়িতে বল ফেলতে পারলেই একটি করে পয়েন্ট পাওয়া যেত। বাস্কেটবলের আদি নিয়ম-কানুনের মধ্যে কয়েকটি এ রকম ছিল- একজন খেলোয়াড় কোনো অবস্থাতেই বল নিয়ে দৌড়াতে পারবে না, সে যেই অবস্থান থেকে বলটি হাতে পাবে, সেই অবস্থান থেকেই এক হাত বা দুই হাতের সাহায্যে ছুড়ে দিতে হবে, খেলাটির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল

৩০ মিনিট, তবে প্রথম ১৫ মিনিট পর ৫ মিনিটের একটি বিরতি পাওয়া যাবে, ঝুড়িতে বল ফেলার পর বলটি যদি আপনাআপনিই ঝুড়ি থেকে বেরিয়ে আসে, তবে সেটিকে গোল বলে গণ্য করা হবে না। নেইস্মিথের এক ছাত্র নতুন এ খেলাটির নাম প্রস্তাব করেছিলেন ‘নেইস্মিথ গেম’। কিন্তু এ নামটি তাঁর পছন্দ ছিল না।

বাস্কেটবল খেলার নিয়মকানুন এবং ইতিহাস
একটি বাস্কেটবল

তিনি বললেন, ‘যেহেতু এ খেলাটিতে একটি বল এবং একটি বাস্কেট আছে, তাহলে এ খেলাটিকে আমরা বাস্কেটবল নামেই ডাকি না কেন’? আর এর পর থেকেই বাস্কেটবল নামে পরিচিতি পেয়ে যায় এ খেলাটি। ১৮৯৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এ খেলাটি। বাস্কেটবলের প্রথম বড় আসরটি বসে ১৮৯৮ সালে। খেলার নিয়মেও আসতে থাকে ছোটখাটো পরিবর্তন। আর এভাবেই ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে বাস্কেটবল।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও বাস্কেট বল খেলার প্রচলন রয়েছে। এই খেলাটির প্রচলন যদিও সর্বস্তরে নেই তবুও খেলাটি আমলে দেশে খুব একটা কম জনপ্রিয় নয়। আমাদের দেশে বাস্কেট বল ফেডারেশন রয়েছে। ঢাকায় প্রথম বিভাগ দ্বিতীয় বিভাগ বাস্কেট বল লীগ ছাড়াও অন্যান্য প্রতিযোগিতা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই খেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে বেশ জনপ্রিয়।

১. কোর্ট :

বাস্কেটবল খেলার কোর্ট হবে আয়তাকার, মেঝে হবে শক্ত ও সমতুল্য এবং বাধামুক্তহীন জাতীয় ও আঞ্চলিক খেলার কোর্টের দৈর্ঘ্য হবে ২৬ মি. এবং প্রস্থ ১৪ মিটার। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য কোর্টের দৈর্ঘ্য হবে ২৮ মিটার ও প্রস্থ হবে ১৫ মিটার।

বাস্কেটবল খেলার নিয়মকানুন এবং ইতিহাস
বাস্কেটবল খেলার কোর্ট

২. কোর্টের বৃত্ত :

কোর্টের মাঝে ৩ টি বৃত্ত আছে। প্রত্যেকটির ব্যাসার্ধ ১.৮০ মিটার।

৩. সংরক্ষিত এলাকা :

এন্ডলাইনের মধ্যবিন্দু থেকে উভয় দিকে ১.৮০ মিটার করে নিয়ে দুটি চিহ্ন দিতে হবে। এন্ড লাইনের মাঝ থেকে সামনের দিকে ৫.৮০ মিটার নিয়ে উভয় দিকে ১.৮০ মিটার নিয়ে ৩.৬০ মিটার দাগের দুই মাথা বরাবর দাগ টানতে হবে। এই দাগের ভেতরের জায়গাকে সংরক্ষিত এলাকা বলে।

৪. রিং :

কোর্ট থেকে রিং এর উচ্চতা ৩.০৫ মি. বোর্ড থেকে ১৫ সে.মি দূরে রিং লাগানো হয়। রিং এর ব্যাসার্ধ ৪৫ সে.মি। রিং এর সাথে নেট লাগানো থাকবে যার দৈর্ঘ্য হবে ৪০ সে.মি।

৫. বল :

বলের আকৃতি হবে গোলাকার। ওজন ৫৬৭ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রাম পর্যন্ত, পরিধি ৭৪.৯-৭৮ সে.মি। বলের উপরে ৮টি প্যানেল থাকবে। বলের রং হবে কমলা। উপরি ভাগ খসখসে।

৬. খেলার সময় বিভাজন:

খেলার সময়  ৪০ মিনিট। চারভাগে খেলা হয়। প্রতিভাগে ১০ মিনিট করে। ১ম ও ২য় পর্বের এবং ৩য় ও ৪র্থ পর্বের মাঝে বিরতি ২ মিনিট। খেলার মাঝে বিরতি ১৫ মিনিট।

৭. পয়েন্ট :

৬.২৫ মিটার দাগের বাইরে থেকে স্কোর হলে ৩ পয়েন্ট। ৬.২৫ মিটার দাগের ভেতর থেকে স্কোর হলে ২ পয়েন্ট। ফ্রি থ্রো থেকে স্কোর ১ পয়েন্ট।

৮. খেলা শুরু :

টসের মাধ্যমে কোনো দল কোন বাস্কেটে গোল করবে তা নির্ধারণ করতে হবে। পরে কোর্টের মাঝে বৃত্তের দুই দলের দুই জন খেলোয়াড় দাঁড়িয়ে থাকবে। রেফারি মাঝে দাঁড়িয়ে বল শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে খেলা শুরু করবেন।

৯. ৩ সেকেন্ড রুল:

যে দলের খেলোয়াড় বল নিয়ন্ত্রণ করছে সেই দলের কোনো খেলোয়াড় সংরক্ষিত এলাকায় বল ছাড়া ৩ সেকেন্ডের বেশি সময থাকতে পারে না। এমনকি দাগও স্পর্শ করতে পারে না।

বাস্কেটবল; Basketball; बास्केटबाल; باسکٹ بال ; كرة سلة
বাস্কেটবল; Basketball; बास्केटबाल; باسکٹ بال ; كرة سلة

১০। ৫ সেকেন্ড রুল :

ক. রেফারির সংকেতের পর ৫ সেকেন্ডের ভেতর বল থ্রো করতে হবে।

খ. ৫ সেকেন্ডের বেশি সময় কেউ বল ধরে রাখতে পারবে না।

গ. দুই দলের খেলোয়াড় ৫ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে টানাটানি করতে পারবে না।

ঘ. বল ধরার পর ৫ সেকেন্ডের ভেতর বল ড্রিবল বা পাস করতে হবে।

১১. ৮ সেকেন্ড রুল :

নিজেদের কোর্টে বল ৮ সেকেন্ড পর্যন্ত আয়ত্ত্বে রাখা যায়। ৮ সেকেন্ডের ভেতর বিপক্ষের কোর্টে বল নিতে হবে।

১২. ২৪ সেকেন্ড রুল :

একটি দলের সমস্ত খেলোয়াড় মিলে ২৪ সেকেন্ড পর্যন্ত বল আয়ত্ত্বে রাখতে পারবে।

১৩. ভায়োলেশন :

খেলার নিয়ম ভঙ্গ করা যেমন ব্যক্তিগত ফাউলের সময় হাত না তোলা, ৩, ৫, ৮ সেকেন্ডে রুল ভঙ্গ করা ইত্যাদি।

১৪. টেকনিক্যাল ফাউল :

অফিসিয়ালদের বিরুদ্ধে অবজ্ঞা প্রদর্শন করলে ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার নিয়মভঙ্গ করে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করলে।

১৫. ব্যক্তিগত ফাউল :

বল খেলার সময় বা ডেড অবস্থায় বিপক্ষ খেলোয়াড়ের সাথে অবৈধ কায়িক সংঘর্ষ হলে তাকে ব্যক্তিগত ফাউল বলে।

বাস্কেটবল; Basketball; बास्केटबाल; باسکٹ بال ; كرة سلة
বাস্কেটবল; Basketball; बास्केटबाल; باسکٹ بال ; كرة سلة

১৬. ইচ্ছাকৃত ফাউল :

কোনো খেলোয়াড় ইচ্ছাকৃতভাবে বিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়কে ফাউল কররে ইচ্ছাকৃত ফাউল হয়।

১৭. ডাবল ফাউল :

দুই দলের খেলোয়াড় একই সাথে একে অপরের বিরুদ্ধে ফাউল করলে যে অপরাধ হয় তাকে ডাবল ফাউল বলে।

১৮. ফাইভ ফাউল :

৪০ মিনিটের খেলায় কোনো খেলোয়াড় ব্যক্তিগত ও টেকনিক্যাল সর্বমোট ৫ টি ফাউল করলে তাকে অবশ্যই কোর্ট ত্যাগ করতে হবে।

১৯. সেভেন ফাউল :

দলীয়ভাবে কোনো দল প্রতি অর্ধে ৭টি ব্যক্তিগত বা টেকনিক্যাল ফাউল করলে এবং ৪ X ১০ মিনিটের খেলায় প্রতি পর্বে ৪টি ব্যক্তিগত ও টেকনিক্যাল ফাউল করলে পরবর্তী ফাউলের জন্য ২টি ফ্রি থ্রো দেওয়া হবে। যাকে ফাউল করা হয়েছে তিনিই ফ্রি থ্রো মারবেন।

 

 

বাস্কেট বল খেলার আইন কানুন:

বাস্কেট বল খেলার সংজ্ঞা

প্রতি দলে ৫ জন করে খেলোয়াড় নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের মধ্যে বাস্কেট বল খেলা হয়। প্রতি পক্ষের বাস্কেটের মধ্যে বল ঢুকিয়ে পয়েন্ট সংগ্রহ করা হয়। বলতে পাসের মাধ্যমে, গড়িয়ে ছুঁয়ে বা খেলোয়াড় কাটিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় ।

কোর্টের আয়তন

বাজেট বল কোর্ট হবে আয়তকার। দৈর্ঘ্য হবে ২৮ মিটার ও প্রস্থে ১৫ মিটার মাপটি হবে কোর্টের ভিতরের লাইনের সীমা রেখা থেকে।

প্রয়োজনে দৈর্ঘ্যের সাথে ৪ মিটার এবং প্রস্থের সাথে ২ মিটার বাড়িয়ে বা কমিয়ে কোর্টের আকার করা অনুমোদিত।

ইনডোরে কোর্টের ছাদের উচ্চতা হবে কমপক্ষে ৭ মিটার। কোর্টে পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে। তবে তা যেন খেলোয়াড়ের চোখ ধাঁধিয়ে না দেয়।

সীমা রেখা বা বাউন্ডারি লাইন

কোর্ট নির্দিষ্ট সীমারেখা দ্বারা চিহ্নিত থাকবে। সীমানা থেকে কোর্টের বাইরে চারিদিকে কমপক্ষে ৩ মিটার খালি জায়গা থাকবে।

কোর্টের দুই পাশের লম্বা লাইনদ্বয়কে সাইড লাইন বা পার্শ্বরেখা এবং অপেক্ষাকৃত ছোট লাইনদ্বয়কে এন্ড লাইন বা প্রান্তরেখা বলা হয়। কোর্টের প্রতিটি লাইন ৫ সেন্টিমিটার চওড়া হবে।

 

বাস্কেট বল খেলার আইন কানুন

 

সেন্টার সার্কেল বা কেন্দ্রের বৃত্ত

কোর্টের সেন্টারে একটি বৃত্ত থাকবে। বৃত্তটি ১৮০ মিটার ব্যাসার্ধের হবে। বৃত্তের পরিধির যে লাইনটি থাকবে তার বাইরের ভাগ থেকে এই মাপটি ধরা হবে প্রান্ত রেখা সমান্তরাল একটি ব্যাসার্ধ এই বৃত্তে আঁকতে হবে।

সেন্টার লাইন বা মধ্য রেখা

কোর্টের সাইড লাইনের মাঝখান থেকে প্রান্তরেখা বরাবর একটি সেন্টার লাইন টানা হবে। তা উভয় সাইড লাইন থেকে ১৫ সেন্টিমিটার বেরিয়ে থাকবে। কোন দলের সামনের কোর্ট বলতে বিপক্ষের বাস্কেট ও কাছের সেন্টার লাইনকে বুঝায় । এছাড়া বাকী অংশ দলের পিছন কোর্ট।

তিন পয়েন্ট এরিয়া

কোর্টে তিন পয়েন্ট গোল এরিয়া আঁকার জন্য বাস্কেটের কেন্দ্র বিন্দু থেকে কোর্টের উপরে ঐ বিন্দুকে কেন্দ্র করে ৬.২৫ মিটার ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি অর্ধবৃত্ত আঁকতে হবে। ঐ বিন্দু হতে প্রান্তরেখার ভিতরের অংশের মাপ হবে ১৫৭৫ মিটার।

 

বাস্কেট বল খেলার আইন কানুন

 

ফ্রি থ্রো লাইনদ্বয় ও সীমাবদ্ধ জায়গা

সীমাবদ্ধ জায়গাটি ও ফ্রি-থ্রো রেখাদ্বয় কোর্টে ১.৮০ মিটার অর্ধ বৃত্তাকার ব্যাসার্ধের দ্বারা ফি-থ্রো রেখার মধ্যে বিন্দু লাইন থেকে লাইন টেনে করা হয়।

ফ্রি-থ্রোর সময় খেলোয়াড়েরা ফ্রি থ্রো লাইনের যে প্রসস্ততা ব্যবহার করবেন তা এরকম হবে, প্রথম প্রসস্ততা প্রান্ত রেখার ভিতরের কিনার থেকে ১.৮০ মিটার দূরে থাকবে। এটি সাইড লাইনের ফ্রি থ্রো লাইনের সাথে মাপা হবে এবং তা ৮৫ সেন্টিমিটার চওড়া হবে। দ্বিতীয় প্রসস্ততা প্রথমটির কাছে হবে এবং তা ৮৫ সেন্টিমিটার চওড়া হবে। যে লাইন দ্বারা এই প্রসস্ততাগুলি চিহ্নিত হবে তা ১০ সেন্টিমিটার লম্বা ও সাইড লাইনের ফ্রি থ্রো লাইনের সাথে লম্বাভাবে থাকবে। এগুলি প্রসস্ততা গণ্ডির বাইরে আঁকা হবে।

ফ্রি থ্রো লাইন

প্রত্যেক প্রান্ত রেখা সমান্তরাল করে একটি ফ্রি থ্রো লাইন আঁকতে হবে। প্রান্তরেখার ভিতরের দিক থেকে তা ৫.৮০ মিটার এবং মধ্য স্থানকার লাইনটি ৩.৬০ মিটার লম্বা হবে। এই রেখার মধ্য বিন্দু প্রান্ত রেখাদ্বয়ের মধ্যবিন্দুর সাথে এক বরাবর থাকবে।

ব্যাকবোর্ড

ব্যাকবোর্ড হবে শক্ত কাঠের। কাঠ ৩ সেন্টিমিটার পুরু হবে। অথবা অন্য কোন স্বচ্ছ উপাদান দিয়েও ব্যাকবোর্ড তৈরি করা যেতে পারে। ব্যাকবোর্ডের আয়তন আনুভূমিকভাবে হবে এবং ১.৮০ মিটার ও খাড়াভাবে ১.২০ মিটার হবে।

ব্যাকবোর্ডের সামনের তলাটি চেপ্টা হবে এবং তা সাদা রং করা থাকবে। বোর্ডের সম্পূর্ণ তলটির রিংয়ের পিছনের অংশে ৫ সেন্টিমিটার চওড়া করে একটা আয়তক্ষেত্র আঁকতে হবে। আয়তক্ষেত্রটি লাইনের বাইরের দিক থেকে মাপলে তার আয়তন হবে ৫৯ সেন্টিমিটার চওড়া রেখা দ্বারা বোর্ডের চারিদিকে কোন উজ্জল রং দ্বারা সীমারেখা টানা থাকবে। মাটি থেকে ২.৭৫ সেঃ মিঃ উপরে মাটির সমকোণে কোর্টের প্রান্তে ব্যাকবোর্ড থাকবে। বোর্ডের মধ্য স্থান লম্বাভাবে প্রান্তরেখার মধ্য বিন্দু থেকে ১.২০ মিটার দূরে থাকবে। ব্যাকবোর্ডের পায়াগুলি কোর্টের সীমা রেখা থেকে ১মিটার বাইরে থাকবে।

 

বাস্কেট বল খেলার আইন কানুন

 

বাস্কেট

বাস্কেটটি সাদা দড়ির বুননী করা নেট হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বাস্কেটের ভিতরের ব্যাস হবে ৪৫ সেন্টিমিটার। রিংয়ের রডটি ২০ সেন্টিমিটার মোটা হবে। তা রডটির নিচে নেট আটকানো থাকবে। নেটটা এমনভাবে তৈরি হবে যাতে বলটা বাস্কেটের উপর পড়ে নেটের ভিতর দিয়ে বের হয়ে আসার সময় মুহূর্তের জন্য নেটের ভিতর অবস্থান করে। এটি লম্বায় ৪০ সেন্টিমিটার হবে।

রিংটি ব্যাকবোর্ডের সঙ্গে ৩.০৫ মিটার উঁচুতে আটকানো থাকবে। রিংয়ের সবচেয়ে কাছের ভিতরের দিকটা ব্যাকবোর্ড থেকে ১৫ সেন্টিমিটার দূরে হবে ।

বল

বলটি হবে গোলাকার এবং চামড়ার আচ্ছাদনযুক্ত ও ভিতরে ব্লাটার বা বায়ুধারক থাকবে বা কোন প্রকার রবারের আবরণ দ্বারা আচ্ছাদিত থাকবে। বলের পরিধি ৭৫ সেন্টিমিটারের কম বা ৭৮ সেন্টিমিটারের বেশি হবে না। বল ওজনে ৬০০ থেকে ৬৫০ গ্রাম হবে ৷ বল এমনভাবে বায়ু ভর্তি থাকবে যাতে তা ১.৮০ মিটার উপর থেকে মাটিতে ফেললে ১২০ থেকে ১.৪০ মিটার লাফিয়ে ওঠে।

 

বাস্কেট বল খেলার আইন কানুন

 

যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি

স্থানীয় দলের দেয়া যান্ত্রিক সমঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হবে । এগুলি অফিসিয়ালদের অধিকারে থাকবে।

(ক) ঘড়িঃ খেলার সময় দুইটি ঘড়ি দিতে হবে। এর একটি ঘড়ি থাকবে প্রকাশ্যে টেবিলের উপর যাতে স্কোরার বা টাইম-কীপার তা দেখতে পারেন।

(খ) ৩০ সেকেন্ডের নিয়ম যথাযথভাবে পালিত হবে। তা ৩০ সেকেন্ডের নিয়ম পরিচালকের দ্বারা পরিচালিত হবে।

(গ) সরকারী স্কোরশীট হবে আন্তর্জাতিক বাস্কেটবল ফেডারেশন কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত স্কোরার খেলায় আইনানুসারে স্কোরশীটের ঘরগুলিতে লিখবেন।

(ঘ) স্কোরশীট ছাড়া দর্শক ও খেলোয়াড়দের দেখার সুবিধার জন্য স্কোরবোর্ডও থাকবে।

(ঙ) স্কোরারের কাছে ১ থেকে ১৫ পর্যন্ত নাম্বার থাকবে। কোন খেলোয়াড় কোন অপরাধ করলে স্কোরার নাম্বার তুলে তা দেখাবেন। যতবার অপরাধ হবে ততবার নম্বর দেখানো হবে। ১ থেকে ৪ নম্বর হবে সাদা-কালো এবং ৫নং নম্বর হবে-লাল। আকার হবে ২০ সেন্টিমিটার। নম্বরগুলি দেখতে এমনভাবে হবে যাতে উভয়ে তা দেখতে পান।

(চ) দলীয় ফাউল মার্কার হিসেবে স্কোরারের কাছে দুটি লাল পতাকা থাকবে। যখনই কোন দল ৭টি ফাউল করবে তখনই স্কোরার টেবিলের যে পাশে সেই দলের অন্যান্য খেলোয়াড় বসে থাকবে সেদিকে পতাকা তুলে রাখবেন যা সমস্ত খেলোয়াড়, কোচ ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ দেখবেন ।

 

গুগুল নিউজে আমাদের ফলো করুন

বাস্কেট বল খেলোয়াড়, বদলি খেলোয়াড় ও কোচেজ

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড়, বদলি খেলোয়াড় ও কোচেজ:

দল গঠন

প্রত্যেক দলে ১০ জন করে খেলোয়াড় থাকবে। প্রত্যেক খেলায় ৫জন করে খেলোয়াড় অংশ গ্রহণ বাঁকি ৫জন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামতে পারবে। ১০ জনের মধ্যে একজন হবেন অধিনায়ক।

কোন দলকে যদি ৫টির বেশি ম্যাচ খেলতে হয় তবে সেই দলে ১২ জন খেলোয়াড় থাকতে পারবে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সার্টের সামনে ও পিছনে নম্বর দেয়া থাকবে। নম্বরের রং সার্ট থেকে ভিন্ন হবে। পিছনের নম্বরগুলি কমপক্ষে ২০ সেন্টিমিটার ও সামনের গুলি ১০ সেন্টিমিটার প্রসস্ত হবে। খেলোয়াড়েরা ১ থেকে ১৫ পর্যন্ত নাম্বার ব্যবহার করতে পারবে।

কোন অফিসিয়ালের অনুমতি ছাড়া কোন খেলোয়াড় টাইম আউট, বিরতি, অর্ধবিরতির সময় ছাড়া কোর্ট থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না ।

অধিনায়ক

ক্যাপ্টেন হচ্ছেন তার দলের প্রতিনিধি। তার দায়িত্ব হচ্ছে, তার দলকে নিয়ন্ত্রণে রাধা । কোন খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে রেফারিকে কোন প্রশ্নে করতে পারবেন না । তা করতে হলে অধিনায়কের মাধ্যমে করতে হবে। অধিনায়ক কোর্টের বাইরে যেতে চাইলে রেফারিকে জানাবেন। অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে দলের অপর কোন খেলোয়াড় এ দায়িত্ব পালন করবেন।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড়, বদলি খেলোয়াড় ও কোচেজ

 

কোচ

দলের কোচ এমন পোশাক পরবেন যাতে তাকে সহজেই তার দলের হিসেবে বোঝা যায় । খেলা শুরুর ২০ মিনিট আগে কোচ তার দলের খেলোয়াড় তালিকায় অধিনায়কের নাম ও নম্বর স্কোরারের কাছে জমা দেবেন। খেলা চলাকালে কোন খেলোয়াড়ের নম্বর বদলি করতে হলে এ ব্যাপারে স্কোরার ও রেফারিকে জানাতে হবে। খেলোয়াড় বদল করার দায়িত্ব কোচেরই। যদি কোন কোচ কোন কারণে কোর্ট ত্যাগ করেন তবে তার দলের অধিনায়ক তার দায়িত্ব পালন করবেন ।

খেলার কর্মচারিগণ

খেলায় একজন রেফারি ও একজন আম্পায়ার থাকবে। এদের সাহায্যকারী হিসেবে একজন টাইম-কীপার, একজন স্কোরার, একজন ৩০ সেকেন্ডের আইন বলবৎকারী থাকবেন। খেলার কর্মচারিগণ কোন দল থেকে হতে পারবে না। তাদেরকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হতে হবে। কর্মচারিরা ইচ্ছে করলেই নিজেদের মধ্যে সমঝোতা শেষে কোন নতুন নিয়মে খেলা চালাতে পারবেন না। কর্মচােিররা নিজেদের জুতা, শার্ট, পাজামা, ধূসর পুলওভার বা কব্জি পর্যন্ত ঢাকা সোয়েটার পরতে পারেন ।

রেফারি

খেলায় একজন রেফারি থাকবেন। তিনি খেলার সমস্ত বৈধ সরঞ্জামাদি তদারক ও পরীক্ষা করে ব্যবহারের অনুমতি দেবেন। তিনি ঘড়ি, টাইম-কীপার ও অন্যান্য কর্মচারি মনোনীত করবেন। অপর খেলোয়াড়ের আঘাত লাগতে পারে তিনি এমন কোন জিনিস কোন খেলোয়াড়কে ব্যবহার করতে দেবেন না। রেফারি কোর্টের কেন্দ্র থেকে বলটিকে শূন্যে ছুঁড়ে খেলা শুরু করবেন।

কোন গোল হলে অথবা কোন মতানৈক্যের সৃষ্টি হলে রেফারির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি ইচ্ছে করলে কোন খেলাকে স্থগিত অথবা বন্ধ করে দিতে পারেন। স্কোরার ও টাইম কীপারের মধ্যে মাতানৈক্য দেখা দিলে তিনি তার মীমাংসা করবেন।

খেলার অর্ধ বিরতি ও অতিরিক্ত সময়ের প্রতি তিনি সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন এবং সিদ্ধান্ত দেবেন। তার অনুমোদনে খেলা শেষ হওয়ার পর সকল কর্মচারির খেলার সাথে সকল দায়িত্ব শেষ হবে। নিয়মে যে বিষয়গুলির উল্লেখ নেই সে বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত তিনি নিজের মতানুসারে দেবেন।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড়, বদলি খেলোয়াড় ও কোচেজ

 

স্কোরারের কাজ

যতগুলি ফিল্ড গোল হবে স্কোরার তার হিসাব রাখবেন। কতগুলি ফ্রি-থ্রো করা হয়েছে তার মধ্যে কতগুলি গোল হয়েছে। কতগুলি অকৃতকার্য হয়েছে৷ মোট কত পয়েন্ট হয়েছে তার হিসাব তাকে রাখতে হবে। তিনি প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত ফাউল, টেকনিক্যাল ফাউলের হিসাব রাখবেন। কোন খেলোয়াড়ের ৫ম বার ফাউল ধরা হলে সাথে সাথে তা রেফারিকে জানাবেন। প্রত্যেক দলের টাইম আউটের হিসাব রাখবেন ।

বিরতিতে কোন দল দ্বিতীয়বার টাইম-আউট নিলে তা কোন খেলোয়াড় দ্বারা সে দলের কোচকে জানাবেন। স্কোরার সকল খেলোয়াড়ের নাম, নম্বর, বদলি খেলোয়াড়ের হিসাব রাখবেন। যখন কোন নিয়ম ভংগের ব্যাপারে সবাইকে লাইনে দাঁড় করানো হয় বা খেলোয়াড় বদল করা হয় তখন বল স্থির বা খেলার বাইরে থাকে তা রেফারিকে জানাবেন। নিয়ম ভাংগার সময় বলের অবস্থা সম্পর্কে রেফারিকে জানাবেন। স্কোরারের বাঁশির শব্দে খেলা বন্ধ হয় না। বলটি যখন খেলার বাইরে থাকে তখনই শুধু স্কোরার বাঁশি বাজাবেন। অবশ্যই তার বাঁশির শব্দ রেফারির বাঁশি থেকে আলাদা হবে।

টাইম কীপারের কাজ

কখন খেলার কোন অর্ধাংশে আরম্ভ হচ্ছে তার হিসাব রাখবেন। টাইম-কীপার খেলা শুরুর ৩ মিনিট আগে রেফারিকে জানাবেন। রেফারি দল দুটিকে জানাবেন। খেলার হাফ টাইমের ৩ মিনিট আগেও তিনি তা করবেন। টাইম কীপার খেলা শুরু হওয়ার ২ মিনিট আগে স্কোরারকে জানাবেন। তিনি খেলার সময় ও বিরতির পূর্ণ হিসাব রাখবেন। তিনি প্রত্যেক বিরতি বা অতিরিক্ত খেলার সময় বাঁশি বা পিস্তলের শব্দে সংকেত জানাবেন যে খেলা শেষ হয়েছে। এজন্য তিনি অন্য পন্থাও অবলম্বন করতে পারেন। এ সময় যদি কোন গোল বা ফাউল হয়ে থাকে তবে রেফারি স্কোরার ও টাইম-কীপারের সাথে আলোচনা করে সমাধানে আসবেন।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড়, বদলি খেলোয়াড় ও কোচেজ

 

৩০ সেকেন্ডের অপারেটারের কাজ

৩০ সেকেন্ডের অপারেটার ঘড়ি সহকারে ৩০ সেকেন্ড সময় রাখবেন। ৩০ সেকেন্ডের অপারেটারের সংকেতের সাথে সাথে বল অচল হয়ে যাবে বা খেলার বাইরে চলে যাবে।

নিম্নোক্ত কারণে একটি দল নিয়ন্ত্রণ হারাবে

(ক) যখন গোলে সুট করবে এবং সুটারের হাতে বল থাকবে না।

(খ) যখন বিপক্ষ দল নিয়ন্ত্রণ হারাবে।

(গ) যখন বল ডেড হবে । খেলা যখন পুনরায় আরম্ভ হবে তখন তার সিদ্ধান্ত ধরা হবে।

নিচের অবস্থায় ৩০ সেকেন্ড ধরা হবে নাঃ

(ক) যে দলের নিয়ন্ত্রণে বল ছিল সেই দল যদি প্রো-ইন পায়।

(খ) খেলোয়াড় আহত হওয়ার কারণে যদি খেলা বন্ধ থাকে যে দলের নিয়ন্ত্রণে বল ছিল তারাই গো-ইন পায় ।

উল্লেখিত বিষয়ে যেখানে ঘড়ি বন্ধ ছিল সেখান থেকে সময় ধরতে হবে।

যদি কোন দল ৩০ সেকেন্ডের ভিতর গোলে সুট করতে ব্যর্থ হয় তবে স্কোরার জোরে চিৎকার করে সংকেত দেবেন।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড়, বদলি খেলোয়াড় ও কোচেজ

 

কর্মচারিদের কর্তব্য

রেফারি এবং অন্যান্য কর্মচারিরা আইনানুযায়ী খেলা পরিচালনা করবেন। খেলা আরম্ভ করানো, বল খেলার বাইরে গেলে তার সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়া, প্রয়োজনে বাঁশির সংকেতে খেলা বন্ধ রাখা, নিয়ম ভংগের দন্ড দেয়া, টাইম আউট ঘোষণা করা, বদলি খেলোয়াড়কে মাঠে আসার ইঙ্গিত দেয়া, খেলার বাইরের বলকে খেলায় ফিরিয়ে আনা বিষয়গুলিতে তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন ।

খেলার পূর্বে সকল কর্মচারিগণ নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে পূর্ণভাবে জেনে নেবেন। কর্মচারীদের যে কোন সিদ্ধান্ত সবাইকে জানাবার জন্য বাঁশি ব্যবহার করবেন। যখন কোর্টে ফাউলের পেনাল্টি থেকে কোন গোল হবে তখন বাঁশি না বাজিয়ে বরং টেবিলে ভালভাবে দর্শনীয় সংকেত দেবেন ।

সময় এবং সিদ্ধান্তের জায়গা

কোর্টের ভিতরে বা বাইরে যেখানেই আইন ভংগ হোক না কেন খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল খেলোয়াড় ও কোচকে খেলার কর্মচারিদের যেকোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। খেলা চলাকালে হঠাৎ কোন কারণে খেলা বন্ধ হয়ে গেলেও তারা এই আইনাধীনে থাকবেন।

একই ধরনের আইন ভংগের জন্য যদি দুজন কর্মচারী দু’রকম সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন তবে যেটি গুরুতর সেটিই প্রযোজ্য হবে।

ফাউলের নির্দেশ

কোন ফাউল হলে রেফারি হাতের ইশারায় অপরাধী খেলোয়াড়ের নম্বর স্কোরারকে জানাবেন। যে খেলোয়াড়কে অভিযুক্ত করবেন এবং তিনি সাথে সাথে টেবিলের দিকে মুখ করে এক হাত মাথার উপরে তুলবেন। অপরাধীকে সতর্ক করে দেয়ার পরও যদি তিনি পুনরায় একই ফাউল করেন তবে তাকে টেকনিক্যাল ফাউল ধরা হবে। অপরাধটি ব্যক্তিগত হলে বিপক্ষকে একটি ফ্রি থ্রো দেয়া হবে। কোন খেলোয়াড় ফ্রি থ্রো করবে রেফারি নির্দিষ্ট করে দেবেন। ফ্রি থ্রো দেয়া না হলে রেফারি নিজে বলটি সাইড লাইন থেকে ছুঁড়ে খেলায় ফেরৎ পাঠাবেন।

খেলার কর্মচারিরা অখেলোয়াড়োচিত আচরণের জন্য যে কোন খেলোয়াড়, কোচ ৰা ভুত অন্য কাউকে শান্তি দিতে পারেন। অপরাধ গুরুতর হলে অপরাধীকে বহিষ্কারও করতে পারেন।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড় সম্পর্কিত

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড় সম্পর্কিত:

বদলি খেলোয়াড়:

বদলি খেলোয়াড় খেলায় যোগ দেয়ার আগে স্কোরারের কাছে জানাতে হবে এবং তাকে তৈরি করতে হবে।

স্কোরার বল খেলার বাইরে যাওয়ামাত্র খেলার ঘড়ি থামাবেন এবং বল পুনরায় খেলায় ফিরে আসার আগে সংকেত দেবেন।

যে দলের নিয়ন্ত্রণে বল থাকবে শুধু তারাই বাইরে থেকে প্রো-ইন থেকে কোন নিয়ম ভংগ হলে বদলি নিতে পারবে। যে পর্যন্ত একজন কর্মচারি হাতের ইশারায় না ডাকবেন সে পর্যন্ত বদলি খেলোয়াড়কে কোর্টের বাইরে থাকতে হবে। স্কোরার ইশারা দিলে বদলি খেলোয়াড় নিজের নাম ও নম্বর জানাবেন। তিনি স্কোরারের কাছে রিপোর্ট করবেন। খেলোয়াড় বদলে ২০ সেকেন্ডের বেশি সময় নেয়া যাবে না। তা নেয়া হলে তা টাইম আউট হিসেবে দোষী দলের সময় কাটা যাবে।

সকল ফ্রি-থ্রোর পর যে খেলোয়াড় গোল করেছে তাকেই বদল করা যায়। জাম্পারকে অন্য খেলোয়াড়ের সাথে বদল করা যেতে নাও পারে।

খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের অবস্থান:

খেলোয়াড়ের অবস্থান বলতে তার কোর্টের ভূমিতে অবস্থান করাকেই বুঝায়। খেলোয়াড়দের মত অফিসিয়ালদেরও অবস্থান একই রকমের যার যার অবস্থানে হবে। বল খেলায় থাকাকালে যদি কোন অফিসিয়ালকে স্পর্শ করে তবে অফিসিয়াল যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন সেখানে বলটি ছোঁয়া বা ছোয়ার সামিল ধরা হয়।

কিভাবে খেলতে হবে:

হাতের সাহায্যে বাস্কেটবল খেলা হয়। বলে লাথি বা ঘুখি আইনসম্মত নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে বলে লাখি মরা হলে তা শাস্তিযোগ্য। তবে যদি অনিচ্ছাকৃতভবে বলে লাথি লেগে যায় তাতে দোষ হবে না।

বলের নিয়ন্ত্রণ:

যখন কোন খেলোয়াড় বল ড্রিবল করেছে বা খেলায় থাকা অবস্থায় যার দখলে আছে বলটি তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ধরা হবে। বল কোন দলের নিয়ন্ত্রণে যাবার আগ পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হবে।

খেলোয়াড় ও বল সীমানার বাইরে:

খেলোয়াড় যখন কোর্টের বাইরের ভূমি স্পর্শ করে অথবা কোর্টের বাইরে চলে যায় তাকে কোর্টের সীমানার বাইরে আছে বলে ধরা হয়। বল যখন কোর্টের বাইরে কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে স্পর্শ করে তখন বলটিকে কোর্টের সীমানার বাইরে ধরা হয়।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড় সম্পর্কিত

 

বল খেলার বাইরে:

বল যদি খেলোয়াড় ব্যতীত অন্য কোন বস্তুতে লেগে খেলার বাইরে চলে যায় তবে বাইরে যাবার আগে যে খেলোয়াড়ের শেষ ছোঁয়া লেগেছিল তাকেই বলটি বাইরে যাবার কারণ হিসেবে ধরা হবে। অফিসিয়াল তার বিপক্ষ দলকে কোর্টের বাইরে থেকে বল খেলায় আনার নির্দেশ দেবেন। অফিসিয়াল বল খেলার বাইরে গেলে তার সংকেত দেবেন এবং তিনি অপরাধী খেলোয়াড় এবং কার খেলায় পাঠাবার অধিকার পাবে তা স্থির করা পর্যন্ত বল হাতে নিয়ে দেরি করবেন। বল খেলার সীমারেখার বাইরে চলে যেতে দেয়া আইন বিরুদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য । কোন দলের দ্বারা বল খেলার বাইরে গেছে তা যদি অফিসিয়াল স্থির করতে না পারেন তবে জাম্প বল দেবেন।

পিভট:

যখন খেলোয়াড় বল ধরে এক পা কোর্টের সংস্পর্শে রেখে অন্য পা দ্বারা যে কোন দিকে এক বা একাধিকবার পদক্ষেপ নেয় তাকে পিভট বলে।

ড্রিবলিং:

কোন খেলোয়াড় যখন বলকে মাটিতে ছুঁড়ে বা গড়িয়ে নিয়ে বারবার হাতের ধাক্কায় মাটিতে প্রতিহত করিয়ে অন্য খেলোয়াড়ের ছোঁয়া বাঁচিয়ে বা ছোঁয়ার বাইরে রেখে তার নিজের আয়ত্তে রাখে তখন এই অবস্থাকে ড্রিবলিং বলা হয়। ড্রিবলিং করার সময় বল মাটির সংস্পর্শে আসতে হবে। তবে শূন্যে বলটি একবার ছুঁড়ে মাটি ছোঁয়ার আগেই হাতে ধরে একবার ড্রিবলিং করা যেতে পারে। ড্রিবলিং করতে যখন বলটি উভয় হাত দ্বারা ছোঁয়, হাতের উপর রাখে বা হাতের উপর স্থির হয় বা থেকে যায় তখন ড্রিবলিং করা শেষ হয়েছে বলে ধরা হয়। ড্রিবলিং করার সময় খেলোয়াড় যত খুশি পদক্ষেপ দিতে পারেন।

ব্যতিক্রম

নিম্নোক্ত ড্রিবলিং নয়ঃ

(ক) গোল করার জন্য উপর্যুপরি চেষ্টা করা ।

(খ) বলকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে না পারা।

(গ) বাধোবাধো ভাব বা জড়তা বা অন্যের এলাকা থেকে হাতকে ধাক্কা দিয়ে বলের উপর অধিকার নেয়ার চেষ্টা করা বা বিপক্ষ খেলোয়াড়দের বল আদান প্রদানের সময় ধাক্কা দিয়ে বল নেয়া।

(ঘ) বল চালনায় বল আটকানো ও নিজের আয়ত্তে আনা খেলোয়াড় একবার ড্রিবলিং শেষে দ্বিতীয়বার ড্রিবলিং করবেন না, যদি তা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় অথবা অপর খেলোয়াড়কে স্পর্শ করে বা বিপক্ষের বাস্কেট, ব্যাকবোর্ড, থাবার দ্বারা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দ্বিতীয়বার ড্রিবলিং করা আইন বিরুদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য।

বল নিয়ে বেড়ানো বা পদক্ষেপ দেয়া:

খেলোয়াড় বল নিয়ে যে কোন দিকে পদক্ষেপ দিতে বা যেতে পারেন।

(১) যে খেলোয়াড় এক জায়গায় স্থিরভাবে দাঁড়ানো অবস্থায় বল পাবেন তিনি যে যে কোন পা ব্যবহার করে এক পায়ে পিভট দিতে পারেন ।

(২) যে খেলোয়াড় আগে বেড়ে যাওয়ার সময় বা ড্রিবল শেষ করার পরে বলটি পায়, তিনি বলসহ কোন একস্থানে স্থির হতে বা থামাতে বা বল অন্য কারো কাছে পাস দিতে দুই সংখ্যাযুক্ত তাল রেখে কাজটি করবেন।

প্রথম কাউন্ট ঘটে, যখনঃ

(ক) বল পাওয়ামাত্র যে কোন একটি পা মাটিতে ছুঁয়ে থাকবে।

(খ) বল পাওয়ামাত্র যে কোন একটি পা মাটিতে দেয়া অবস্থায় থাকে বা উভয় পা একই সাথে মাটিতে ছুঁয়ে থাকে বা উভয় পা বল পাওয়ার সময় কোর্টের বাইরে থাকে।

দ্বিতীয় কাউন্ট ঘটে, যখনঃ

প্রথম বলটির পরে যে কোন পা মাটি ছোঁয়ান, উভয় পা একসাথে মাটি ছুঁয়ে থাকে ।

(৩) কোন খেলোয়াড় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ে ও একটি পা আগে ও অপরটি পিছনে থাকে তবে শুধুমাত্র পিছনের পা পিডট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি দুই পা একস্থানে থাকে তবে যে কোন পা পিভট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

(৪) যে খেলোয়াড় এক জায়গায় দাঁড়ানো অবস্থায় বলটি পায় বলটি পাওয়ার পর বল ধরা অবস্থায় স্থির হয়ে পড়েঃ

(ক) তার পিভট পা টি উঠাতে পরেন বা গোল করার জন্য লাফ দিতে পারেন। তবে লাফের পর উভয় পা মাটিতে পড়ার আগে বল তার হাত ছাড়া হবে।

(খ) পিভট পা টি না উঠাতে পারেন, যদি বল তার হাত ত্যাগ করার আগেই ড্রিবলিং আরম্ভ করেন নিয়মের বাইরে বল নিয়ে পদক্ষেপ দেয়া আইনানুগ নয় এবং তা শাস্তিযোগ্য ।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড় সম্পর্কিত

 

হেন্ডবল:

যদি উভয় দলে দুইজন খেলোয়াড় বলকে এক বা উভয় হাতে একই স্থানে সতর্কতার সাথে ধরে রাখেন বা বলকে খেলায় যেতে দিতে না চেষ্টা করেন বা যখন কড়া পাহারায় থাকা অবস্থায় বলের অধিকারী বলকে ছুঁড়ে, গড়িয়ে বা ড্রিবল না করেন, একই অবস্থায় বল ৫ সেকেন্ড স্থির অবস্থায় থাকলে তাকে হেল্ডবলের সিদ্ধান্ত না দেয়া ভাল। এতে এক দলের সুবিধা হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যখন বল আত্মরক্ষাকারী খেলোয়াড়ের হাতে দৃঢ়ভাবে রয়েছে এবং এ জন্য কোন বিশেষ সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রতি অন্যায় হয় তেমন হেন্ডবলের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয় ।

যদি কোন খেলোয়াড় বল নিয়ে কোর্টে বসে বা শুয়ে পড়ে তবে তার বল খেলার মত সুযোগ থাকতে হবে। এ অবস্থায় যদি আঘাত পাওয়ার আশংকা থাকে তবে হেল্ড বল ডাকা যেতে পারে।

হেন্ডবল ডাকা হলে, দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রতিযোগীর মধ্যে নিকটবর্তী বৃত্ত থেকে বলটি উপরের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হবে ।

সন্দেহ থাকলে সেন্টার সার্কেল থেকে উপরের দিকে ছুঁড়ে দেয়া যেতে পারে।

বিশেষ অবস্থায় হেল্ড বল:

বল খেলার বাইরে চলে যাবার সময় উভয় দলের দুইজন খেলোয়াড় একসাথে স্পর্শ করলে কে শেষবার বল ছুঁয়েছে তা নির্ণয় করা না গেলে ঘটনাস্থলের কাছের সার্কেল থেকে জাম্প বল দিয়ে খেলা শুরু হবে।

বল যদি বাস্কেটের দিকে আটকে যায় তবে কাছের ফি-গো লাইন থেকে জাম্প বল দিয়ে খেলা পুনরায় শুরু হবে।

 

খেলোয়াড়দের বল গোলে ছোঁড়া:

খেলোয়াড় যখন গোল করার জন্য বল ছোঁড়েন বা চেষ্টা করেন তখন বল গোল করার জন্য ছোঁড়া ধরা হয়।

৩ সেকেন্ডের আইন:

বল যতক্ষণ এক দলের হাতে থাকে ততক্ষণ প্রতিপক্ষের ফ্রি-থ্রো লাইন থেকে সমাপ্তি রেখা লাইন পর্যন্ত যে সীমাবদ্ধ স্থান রয়েছে তার মধ্যে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় অবস্থান করা যাবে না। এই নিয়ম বল কোর্টের বাইরে চলে গেলেও বলবৎ থাকে। যখন থেকে বল কোর্টের বাইরে থেকে খেলায় আসে এবং কোন খেলোয়াড় দ্বারা তা স্পর্শিত হয় তখন থেকে ৩ সেকেন্ড সময় গনণা শুরু হয়।

কোর্টের সীমারেখাগুলি কোর্টের ভিতরে ধরা হয়। কোন খেলোয়াড় সীমারেখা স্পর্শ করলে তাকে কোর্টের ভিতরে ধরা হয়।

নিচের নিয়মগুলিতে ৩ সেকেন্ড আইন প্রযোজ্য নয়। গোল করার জন্য বল যখন শূন্যে থাকে বা ব্যাকবোর্ড থেকে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে বা খেলার বাইরে চলে যায় এই নিয়ম ভঙ্গ আইন বিরুদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য।

৫ সেকেন্ড আইন:

কোন খেলোয়াড় বল পাস না দিয়ে ৫ সেকেন্ডের বেশি সময় বল রাখতে পারবে না। তা করা আইন বিরুদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য।

১০ সেকেন্ড আইন:

কোন দল ১০ সেকেন্ডের বেশি সময় নিজেদের কোর্টে বল রাখতে পারবে না। ১০ সেকেন্ডের ভিতর বল বিপক্ষের কোর্টে যেতে হবে। বল বা খেলোয়াড় বলসহ সেন্টার লাইন স্পর্শ বা অতিক্রম করতে পারবে না।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড় সম্পর্কিত

 

বল পিছনের কোর্টে পাঠানো

খেলার সময় বল একবার সামনের কোর্টে গেলে ঐ বল আর পিছনের কোর্টে ফেরৎ পাঠনো যাবে না। বল যদি সামনের কোর্ট দিয়ে সীমানার বাইরে যায়, তবে সামনের কোর্ট দিয়ে প্রো-ইন করতে হবে। এই আইন ভঙ্গ হলে বিপক্ষ দল একটি প্রো-ইন পাবে। সেন্টার লাইন থেকে প্রো-ইন হবে।

৩০ সেকেন্ডের আইন

কোন দলের খেলোয়াড় বল নিজেদের অধিকারে থাকাকালে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করার চেষ্টা করতে হবে। তা না করলে এই নিয়ম ভংগ হবে এবং তা শাস্তিযোগ্য। বল খেলার বাইরে চলে গেলে যে দলের হাত থেকে বাইরে যায়, সেই দলকেই তা পুনরায় চালান করতে দেয়া হয়। তবে বল পুনরায় কোর্টে আসার পর থেকে নতুন করে ৩০ সেকেন্ডের আইন ধরা হবে। কোন দলের হাতে বল থাকলে কেবলমাত্র বিপক্ষের ছোঁয়া এই নিয়ম অমান্য হয় না।

যদি কোন দল ইচ্ছাকৃত বল খেলার বাইরে পাঠায় তবে তার শাস্তি হিসেবে বিপক্ষ দলকে একটি থ্রো দেয়া হবে। যদি বলটি বাইরে যাবার সময় বিপক্ষের গা ছুঁয়ে যায়।

শাস্তি:

নিয়ম ভংগ করা

কোন আইন ভংগের শাস্তি হলো বলটি হারানো।

অপরাধ:

কোন খেলোয়াড় শারীরিক সংঘর্ষ বা অখেলোয়াড়োচিত আচরণ অথবা বিপক্ষকে আক্রমণ করার অপরাধ করলে তা আইনানুসারে শাস্তিযোগ্য।

নিয়ম ভংগের পর বল খেলার মধ্যে:

আইন ভংগের ফলে বল খেলার বাইরে চলে গেলে নিম্নোক্ত উপায়ে তা খেলায় আনতে হবেঃ

(ক) কোর্টের সীমারেখার বাইরে থেকে থ্রো করে।

(খ যে কোন সার্কেলে জাম্প বল দিয়ে।

(গ) এক বা একাধিক ফ্রি-প্রো নিয়ে।

 

আইন অবমাননায় যে পন্থা অবলম্বন করতে হবে:

আইন অমান্য হবার সংকেত দানের সাথে সাথে বলটি খেলার বাইরে চলে যায়। বিপক্ষকে আইন অবমাননার স্থান থেকে প্রো দিয়ে বলটি খেলায় ফিরিয়ে আনা হয় । আইন অবমাননায় যদি বল বাস্কেটে ঢুকে যায় তবে কোন গোল হবে না।

অপরাধ ডাকার নিয়ম

কোন ফাউল হলে অফিসিয়াল হাতের ইশারায় দোষী খেলোয়াড়ের নম্বর স্কোরারকে জানাবেন। দোষী খেলোয়াড় সনাক্ত হলে তিনি স্কোরারের টেবিলের দিকে মুখ করে এর হাত মাথার উপরে তুলবেন। তাকে সাবধান করে দেয়ার পর যদি তিনি পুনরায় ফাউল করেন তবে তার বিরুদ্ধে টেকনিক্যাল ফাউল ধরা হবে। অপরাধটি যদি যে খেলোয়াড় সুটিংয়ে অংশ নিচ্ছে না তার উপর হয়ে থাকে তবে অফিসিয়াল তাকে বা তার দলের অপর খেলোয়াড়কে যেখানে অপরাধটি ঘটেছে সেখানেই সাইড লইনের বাইরে থেকে থ্রো করার জন্য বলটি ছুঁড়ে দেবেন।

অপরাধটি বাস্কেট করার সময় হয়ে থাকলে

(ক) যদি গোল হয় তা ধরা হবে এবং অফিসিয়াল বলটি খেলোয়াড়কে প্রান্ত রেখা হতে কোর্টের ভিতরে ছুঁড়ে দিতে দেবেন।

(খ) যদি গোল না হয় তবে অফিসিয়াল বল ফ্রি-থ্রো লাইনে নিয়ে যাবেন এবং ফ্রি. প্রোকারীর কাছে দেবেন যে পর্যন্ত না জাম্প বল দিয়ে খেলা আরম্ভ করা হয়।

সীমানার বাইরে থেকে থ্রো-ইন

সাইড লাইনের বাইরে থেকে যেখান দিয়ে বল কোর্টের বাইরে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে বল কোর্টের মধ্যে আনা হবে। এর জন্য ৫ সেকেন্ড সময় দেয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে বল ছুঁড়ে, ধাক্কা দিয়ে বা গড়িয়ে কোর্টের ভিতরে অন্য খেলোয়াড়ের কাছে দিতে হবে। বল কোর্টের বাইরে থেকে ছোড়ার সময় কোন খেলোয়াড় তার দেহের কোন অংশ সাইড লাইনের উপর দিয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। যখন বাইরের বাধাহীন সীমানা হতে বল নিক্ষেপের সীমানার দূরত্ব ২ মিটারের কম হয় তখন নিক্ষেপকারী থেকে অপর খেলোয়াড়েরা ১ মিটার বেশি দূরে অবস্থান করবেন।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড় সম্পর্কিত

 

কোর্টের বাইরে থেকে বল খেলায় পাঠানোর আইন লঙ্ঘন

কোন খেলোয়াড় কোর্টের বাইরে থেকে বল খেলায় পাঠাতে কোন আইন ভংগ করবে না।

(ক) নিক্ষেপকারী যেন বলটি বহন করে খেলায় নিয়ে না আসেন তিনি নিক্ষেপের পর অপর কোন খেলোয়াড় ছোড়ার আগে তিনি পুনরায় ছুঁতে পারবেন না। বল পুনরায় খেলায় পাঠাতে ৫ সেকেন্ডের বেশি দেরি করা যাবে না।

(খ) বল ছুঁড়ে দেয়ার আগে নিক্ষেপকারীর দেহের কোন অংশ সীমারেখার উপর রাখবেন না। তা করলে অফিসিয়াল বিপক্ষকে বলটি নিক্ষেপের জন্য দেবেন। এই নিয়ম ভংগ অবশ্যই শাস্তিযোগ্য।

ফ্রি থ্রো বা মুক্ত নিক্ষেপ ঃ ফ্রি থ্রো রেখার পিছন থেকে নির্বিঘ্নে গোল করে এক পয়েন্ট লাভ করার সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে।

যে খেলোয়াড় ফ্রি-থ্রো করবেন

কোন খেলোয়াড়ের নিজস্ব ফাউল ডাকা হলে তার শাস্তি স্বরূপ ফ্রি থ্রো দেয়া হয়। যে খেলোয়াড়ের উপর ফাউল করা হবে তাকেই ফ্রি থ্রো করতে দেয়া হবে। খেলোয়াড়কে ফ্রি থ্রোর সীমার বাইরে থেকে বা সাইড লাইনের পিছন থেকে থ্রো করতে দেয়া হবে।

ভুল করে কোন খেলোয়াড় নিজের বাস্কেটে ফ্রি থ্রো করলে তাতে গোল হোক বা না হোক এই চেষ্টাকে বাতিল করা হবে এবং থ্রোটি পুনরায় নিতে দেয়া হবে। যদি আঘাতের জন্য খেলোয়াড়কে বাইরে চলে যেতে হয় তবে বদলি খেলোয়াড় থ্রো করবে। যদি কোন অপরাধ করার কারণে তাকে খেলার বাইরে যেতে হয় তবে থ্রো করে বাইরে যেতে হবে। বদলি খেলোয়াড় পাওয়া না গেলে অধিনায়ক নিজে অথবা তার নির্দেশে অপর কোন খেলোয়াড় প্রোটি করতে পারেন। টেকনিক্যাল ফাউলের থ্রো বা থ্রোগুলি বিপক্ষ দলের যে কেউ করতে পারেন।

ফ্রি থ্রোর সময় খেলোয়াড়দের অবস্থান

ফ্রি থ্রো রেখার বলটি ফ্রি-প্রোকারীর হাতে দেয়ার পর গোল করার জন্য ৫ সেকেন্ড সময় দেয়া হবে।

প্রত্যেক ফ্রি-থ্রোর বেলায় এই নিয়ম প্রযোজ্যঃ

ফ্রি-থ্রো রেখার পিছনে দাঁড়িয়ে বাস্কেটের দিকে ফ্রি থ্রো করতে হবে। ফ্রি-থ্রোর সময় অপর খেলোয়াড়েরা ফ্রি থ্রোকারীকে উত্ত্যক্ত করতে পারবেন না বা কোন অফিসিয়াল ফ্রি-থ্রো করার স্থানে বা ব্যাকবোর্ডের পিছনে দাঁড়াবেন না।

ফ্রি-থ্রোর অপর খেলোয়াড়েরা নিম্নোক্ত অবস্থানে থাকবেনঃ

(ক) বিপক্ষ দলের দুইজন বাস্কেটের নিকটবর্তী স্থানে দু’জায়গায় দাঁড়াবেন ।

(খ) অপর খেলোয়াড়েরা একজন বিপক্ষ একজন স্বপক্ষ এমনভাবে দাঁড়াবেন অর্থাৎ একের পর এক।

(গ) অবশিষ্ট খেলোয়াড়েরা যে কোন অবস্থানে দাঁড়াতে পারবেন ।

তবে তারাঃ

(অ) ফ্রি-প্রোকারী বা অফিসিয়ালদের বিঘ্নের কারণ হবেন না।

(আ) বল বাস্কেটে বা রিংয়ে বা ব্যাকবোর্ডে না লাগা পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থান থেকে নড়বেন না

(ই) ফ্রি-থ্রো রেখার শেষে সমাপ্তি রেখার দিকের জায়গা তারা দখল করবেন না।

(ঈ) ফ্রি-প্রোর সময় নিরপেক্ষ এলাকা এবং ফ্রি-থ্রো লাইন দখল করতে পারবেন না।

কোচ বা বদলি খেলোয়াড়ের অপরাধের কারণে টেকনিক্যাল ফাউলে সময় ফ্রি-প্রো দেয়া হলে খেলোয়াড়রা ফ্রি-থ্রোর রেখায় লাইন করে দাঁড়াবেন।

 

বাস্কেট বল খেলোয়াড় সম্পর্কিত

 

ফ্রি-থ্রো আইন অমান্য

বল ফ্রি-প্রোকারীর কাছে দেয়ার পরঃ

(ক) বল ৫ সেকেন্ডের মধ্যে থ্রো করতে হবে এবং তা অন্য খেলোয়াড় ছোঁয়ার আগে বাস্কেট বা রিং ছুঁতে হবে।

(খ) ফ্রি-থ্রো করার পর গোল হলে থ্রোকারী বা তার দলের অপর কোন খেলোয়াড় দ্বিতীয়বার স্পর্শ করতে পারবে না।

(গ) তিনি ফ্রি লাইন ছোঁবেন না বা পিছনের সীমানায় ফ্রি-থ্রোকারী বা উভয় দলের কোন খেলোয়াড় সীমানা অতিক্রম করবেন না বা থ্রোকারীর অন্যমনস্কতা আনতে চেষ্টা করবেন না যতক্ষণ বল বাস্কেট, রিং ব্যাকবোর্ড না ছোঁয়।

শাস্তি

এই নিয়ম ভংগ হলে এই থ্রোতে কোন পয়েন্ট হবে না। নিয়ম লঙ্ঘন হলে বলটি খেলার বাইরে চলে যায়।

আর যদি ফ্রি থ্রো কারী ফাউল করে তবে বিপক্ষ দলকে একটি ফ্রি-থ্রো দেয়া হবে।

খেলার বিরতিকালে টেকনিক্যাল ফাউল

খেলার হাফ টাইম বা অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে টেকনিক্যাল ফাউল ডাকা হলে ঘোর চেষ্টা করার পর সেন্টার সার্কেল থেকে জাম্প বল দিয়ে খেলাটি পুনরান্ত হবে।

ফ্রি-প্রো সফল না হলেও বল খেলায় থাকে

ফাউলের জন্য প্রো নিলে শেষ ফ্রি থ্রোটি সফল না হলে বলটি খেলায় চলে যায়। শেষ ফ্রি থ্রোর পর যদি বল রিং বা ব্যাকবোর্ডে লেগে কোর্টের বাইরে চলে যায় তবে বিপক্ষকে একটি প্রো-ইন দিয়ে বল খেলায় আনতে হবে।

 

বাস্কেট বল খেলার নিয়মাবলী

 

 

বাস্কেট বল খেলার নিয়মাবলী:

খেলার সময়

২০ মিনিট করে দুই অর্ধে ৪০ মিনিট খেলা অনুষ্ঠিত হবে। মাঝে ১০ মিনিট বিরতি থাকবে। বিরতির সময়কাল প্রয়োজনে বাড়িয়ে ১৫ মিনিট করা যেতে পারে।

খেলা আরম্ভ

রেফারি কোর্টের সেন্টার সার্কেলের ভেতরে উভয় দলের দুইজন খেলোয়াড়ের মধ্যে বল শূন্যে ছুঁড়ে দিয়ে খেলা আরম্ভ করবেন। একই প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এবং অতিরিক্ত সময়ের শুরুতে খেলা আরম্ভ হবে।

নিরপেক্ষ কোর্টে খেলা হলে বাস্কেট পছন্দের জন্য টস করা হবে। স্থানীয় কোটে খেলা হলে অতিথি দল ইচ্ছেমত বাস্কেট নিতে পারে। দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দল বাস্কেট বা প্রান্ত বদল করবে। একটি দলে কমপক্ষে ৫জন খেলোয়াড় না হাজির থাকলে খেলা আরম্ভ হবে না। খেলার নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ মিনিটের মধ্যে একটি দল উপস্থিত না হলে তার বিপক্ষ দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

 

বাস্কেট বল খেলার নিয়মাবলী

 

জাম্প বল

যখন রেফারি দুই দলের মাঝখানে বল ছুঁড়ে উপরের দিকে দেন তখন তাকে জাম্প বল বলে। দুই দলের খেলোয়াড় দুইজন নিজ কোর্টের অর্ধচক্রে নিকটবর্তী দূরতে অবস্থান করবেন। বলটি শূন্যে থাকাকালে ধরতে হবে। শূন্যে থাকাকালে ধরতে না পারলে অর্থাৎ ধরার আগে মাটিতে পড়ে গেলে তা পুনরায় ছোঁড়া হবে। বলটি শূন্যে না ছোঁড়া পর্যন্ত কোন খেলোয়াড় তার জায়গা থেকে নড়তে পারবেন না এবং ছোঁড়ার পর বলটি সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছার আগ পর্যন্ত বলকে দুইবার ছোঁয়া যাবে। অর্থাৎ উভয় জাম্পার দুইবার করে চারবার বল ছুঁতে পারবেন। জাম্প বলে বল জাম্পার দুইজন ছোঁয়ার আগ পর্যন্ত বাকি খেলোয়াড়েরা বৃত্তের বাইরে থাকবেন ।

জাম্প বল অনুষ্ঠানের সময় অফিসিয়াল বা রেফারি লক্ষ রাখবেন বৃত্তের বাইরে অবস্থানকারী খেলোয়াড়েরা যেন জাম্পারদের অসুবিধার সৃষ্টি না করে।

জাম্প বলের সময় নিয়ম ভংগ

জাম্প বলে খেলোয়াড়দের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যদি বলে হাত দিয়ে ধাক্কা 1 মারার আগে জাম্পকারী তার অবস্থান ত্যাগ করেন বা জাম্পকারী ছাড়া অন্য কোন খেলোয়াড় সার্কেলে ঢোকেন তবে রেফারি বা অফিসিয়াল হাত দ্বারা সংকেত দেবেন বিপক্ষের জাম্পারকে বল খেলতে সুযোগ দেয়ার। এই কাজে তিনি বাঁশি বাজাবেন না। উপরোক্ত কারণে আইন অমান্য হয় না। যদি উভয় জাম্পার আইন ভঙ্গ করেন অথবা রেফারি খারাপভাবে বল পাস করেন তবে পুনরায় বল টস (ছুঁড়তে) করতে হবে।

গোল

যখন বল উপর দিয়ে বাস্কেটের মধ্যে প্রবেশ করে অথবা বাস্কেটের মধ্যে আটকা থাকে অথবা গড়িয়ে বেরিয়ে যায় তখন একটা গোল হয়েছে বলে ধরা হবে।

ফ্রি-থ্রো থেকে গোল হলে প্রতি গোলের জন্য ১ পয়েন্ট বা নম্বর, কোর্টের মধ্যে থেকে গোল হলে প্রতি গোলের জন্য ২ পয়েন্ট বা নম্বর এবং কোর্টের লাইনের বাইরে থেকে গোল করা হলে প্রতি গোলের জন্য ৩ পয়েন্ট বা নম্বর দেয়া হয়। বাস্কেট আক্রমণকারী খেলোয়াড় কোর্ট থেকে গোল দিলে তাদের স্বপক্ষে গোল ধরা হয় ।

কোন কারণবশতঃ বল বাস্কেটের নিচে দিয়ে গেলে তাকে ডেড বলে ধরা হয় এবং নিকটতম ফ্রি-থ্রো লাইন থেকে জাম্প বলের মাধ্যমে খেলা শুরু হয় ।

বাস্কেটের নিচে দিয়ে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ঢোকানো হয় তবে বিপক্ষ দলকে একটি থ্রো-ইন দেয়া হবে ।

 

বাস্কেট বল খেলার নিয়মাবলী

 

আক্রমণের সময় বলে বাধা দেয়া

বল গোল করার জন্য ছোঁড়া হোক অথবা পাস দেয়ার জন্য হোক বল যতক্ষণ পর্যন্ত বাস্কেটের সমতা থেকে নিচের দিকে পড়তে থাকবে ততক্ষণ আক্রমণকারী খেলোয়াড় নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ সীমানায় বল ছুঁতে পারবেন না। এই নিয়ম বলটি রিং বোর্ড বা ব্যাকবোর্ড না ছোয়া পর্যন্ত কার্যকরী হবে।

এই নিয়ম ভংগে কোন গোল হলে তাতে কোন পয়েন্ট দেয়া হবে না। নিয়ম লঙ্ঘিত স্থানের সাইড লাইন থেকে বিপক্ষ দলকে একটি প্রো-ইন দেয়া হবে। এতে কোন পয়েন্ট দেয়া হবে না।

রক্ষণকালে বাধাদান

আক্রমণকারী গোলের জন্য বল বাজেটের বিংয়ের সমতার উপরে আনলে তখন রক্ষণকারী দল বাধা দিতে বা ছুঁতে পারবে না।

এই নিয়ম শুধু নিক্ষেপের জন্য প্রযোজ্য এবং নিশ্চিত বোঝা যায় বল রিং বা ব্যাকবোর্ড ছুঁয়েছে। বল যখন গোল করার জন্য ছোঁড়া হয়েছে তখন রক্ষণকারী দলের কোন খেলোয়াড় তার নিজের বাস্কেট ছোঁবে না।

এই নিয়ম ভংগ হলে বল যদি প্রো-ইনের হয় তবে বিপক্ষকে ১ পয়েন্ট আর যদি গোলের হয় তবে ২ পয়েন্ট দেয়া হবে।

গোল হবার পর বল কোর্টে পাঠানো

কোন গোল হলে যারা গোল খেয়েছে সেই দলের কোন খেলোয়াড় সমাপ্তি রেখার পিছন থেকে বাস্কেটের কাছ থেকে কোর্টের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়ে খেলায় পাঠাবেন। বলটি খেলায় পাঠাতে ৫ সেকেন্ড বেশি সময় ব্যয় হবে না। কোর্টের বাইরে বল ছোঁয়ামাত্র সময় গণনা শুরু হবে । বল খেলায় পাঠাতে দেরি হলে একটা টেকনিক্যাল ফাউল দেয়া যেতে পারে। শেষ ফ্রি-থ্রোর পরে বল কোর্টের সীমারেখার বাইরে থেকে নিক্ষেপ করা হবে।

খেলার ফলাফল

খেলার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে দল বেশি পয়েন্ট বা নম্বর লাভ করবে তারাই জয়ী হবে।

 

বাস্কেট বল খেলার নিয়মাবলী

 

খেলা বাতিল হবে

(ক) রেফারি আরম্ভের বাঁশি দেয়ার সময় যদি কোন একটি দল উপস্থিত না থাকে। যে দল অনুপস্থিত থাকবে তাদের বিপক্ষ দলকে জয়ী ঘোষণা করা হবে।

(খ) রেফারি সিদ্ধান্ত দেয়ার পরও কোন দল খেলতে অস্বীকৃতি জানালে

(গ) যদি খেলার সময় কোন দলের খেলোয়াড় সংখ্যা দুই এর কম হয়। খেলা বাতিল হবার সময় যে দল পয়েন্টে এগিয়ে থাকবে তারা জয়ী হবে। অন্য কারণে কোন দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে বিজয়ী দলের স্কোর হবে ২-০।

বাড়তি সময় স্কোর

খেলার নির্দিষ্ট সময়ের শেষে যদি উভয় দলকে আরো ৫ মিনিট অতিরিক্ত খেলার চুক্তিতে আসতে হবে। প্রথমবারের অতিরিক্ত সময়ে যদি উভয় দলের স্কোর সমান হয় এবং খেলার ফলাফল না আসে তবে সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনঃপুনঃ অতিরিক্ত সময় খেলার চেষ্টা করতে হবে। প্রত্যেকবার অতিরিক্ত সময়ের আগে টস করে বাস্কেট পছন্দ করা। হবে। প্রত্যেকবার অতিরিক্ত সময়ের আগে ২ মিনিটের বিশ্রাম নিতে দেয়া হবে। প্রত্যেকবার খেলা আরম্ভে কোর্টের মাঝখানে বল এনে টস করতে হবে।

খেলা সমাপ্তি

টাইম কীপারের বাঁশির আওয়াজের সাথে সাথে খেলার সমাপ্তি ঘটবে। খেলার শেষ মুহূর্তে যদি কেউ ফাউল হয় তবে তার শাস্তি দিতে হবে। এই সময়ে যদি কোন গোল হয় তা ধরা তবে ।

রিং এ লেগে গোল হলে তা হবে। গোল না হলে সেই সাথে খেলা শেষ হবে। স্বপক্ষ ঐ সময় বল স্পর্শ করলে খেলা তখনই শেষ হবে। বিপক্ষ দল স্পর্শ করলে ২ বা ৩ পয়েন্ট পাবে ।

খেলায় ঘড়ির ব্যবহার

ঘড়ি খেলা আরম্ভে বা প্রথম একজন খেলোয়াড় বল স্পর্শ করার সাথে সাথে অন করতে হবে । খেলার সময় শেষ হলে ঘড়ি থামাতে হবে।

যে কোন বিরতিতে খেলার ঘড়ি বন্ধ থাকবে, যেমনঃ

(ক) আইন অমান্য হলে,

(খ) অপরাধ হলে,

(গ) হেল্ডবল হলে,

(ঘ) পুনরায় খেলা আরম্ভ করতে দেরি হলে,

(ঙ) খেলোয়াড় মারাত্মক আহত হলে,

(চ) কোন কারণে কর্মকর্তারা ম্যাচ বন্ধ রাখলে,

(ছ) ৩০ সেকেন্ড অপারেটার সংকেত দিলে,

(জ) ফিল্ড গোল হবার পর কোচ চার্জ টাইম-আউট চাইলে।

বল খেলার ভিতরে বা বল খেলার মধ্যে আসে, যখনঃ

(ক) কর্মচারি জাম্প বল করার জন্য অবস্থান নেন।

(খ) বল যখন ফ্রি-থ্রো করার জন্য অবস্থান নেন।

(গ) বল যখন কোর্টের সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়া অবস্থানে তখন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এটাকে ভিতরে ছুঁড়ে দেয়া হলে।

বল কার্যকরী হবে

(ক) জাম্প বলের সময় বল তার সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছবার পরে প্রথম খেলোয়াড় দ্বারা ছোঁয়া বা খেলার পরে।

(খ) রেফারি ফ্রি-থ্রো করার জন্য ব্রোকারীর কাছে দেয়ার পর।

(গ) কোর্টের বাইরে থেকে থ্রো করার পর তা কোর্টের ভিতরের কোন খেলোয়াড় ছোঁয়ার পর।

 

বাস্কেট বল খেলার নিয়মাবলী

 

ডেড বল

বল যখন খেলার বাইরে চলে যায় তখন ডেড বল হয় ।

যে সব কারণে ডেড বল হতে পারেঃ

(ক) কোন গোল হলে ।

(খ) যখন নিশ্চিত বোঝা যায় বল বাস্কেটে যাবে না, তখন টেকনিক্যাল ফাউলের জন্য ফ্রি-থ্রোর পর যখন আরো একটা থ্রো হবে তখন ফ্রি-থ্রোর সময়।

(গ) বলকে থামিয়ে রাখা হলে বা বাস্কেটে আটকে থাকাকালে ।

(ঘ) অর্ধ বা অতিরিক্ত সময় শেষে।

(ঙ) কোর্টের ভিতরে যখন কোন নিয়ম ভংগ করা হয় বা বাস্কেটের ব্যাপারে কোন প্রতিবাদ করা হয় বা থ্রোর ব্যাপারে নিক্ষেপকারী দল কোন নিয়ম ভংগ করে এবং বাজেটের ভিতর যদি বল না যায়।

(চ) বল খেলায় থাকাকালে কোন ফাউল হলে ।

(ছ) বল খেলায় থাকাকালে যখন অফিসিয়াল বাঁশি বাজান।

বিশেষ অবস্থা

বলকে ডেড বল ধরা হবে না বা গোল হলে গোল ধরা হবেঃ

(ক) ফ্রি-থ্রোর সময় বল শুন্যে থাকাকালে বা ছোঁয়ার চেষ্টার সময় উপরোক্ত নিয়ম চ ও ছ ঘটলে ।

(খ) খেলোয়াড় গোল করার চেষ্টাকালে তার গতি যদি ফাউল করার আগে থেকে শুরু হয় এবং বিপক্ষ খেলোয়াড় যদি ফাউল

(গ) জাম্প বলের আইন অমান্যের অপরাধকে অপরাধ বলে ধরা হবে না ।

 

টাইমড আউট

সাথে কোন অফিসিয়াল সংকেত দিলেই টাইম আউট দেয়া হবে এবং সাথে থামাতে বা বন্ধ করতে হবে।

যে সব কারণে টাইমড আউট দেয়া হতে পারেঃ

(ক) কোন নিয়ম ভংগ হলে,

(খ একটি ফাউল হলে,

(গ) একটি হেন্ডবল হলে,

(ঘ) বল বাইরে যাবার পর খেলায় পাঠাতে দেরি হলে,

(ঙ) কোন খেলোয়াড় বা কর্মচারি আহত হবার কারণে খেলাবদ্ধ থাকলে ।

(চ) অফিসিয়াল বা রেফারি যদি অন্য কারনে খেলা বন্ধ রাখেন,

(ছ) যখন ৩০ সেকেন্ডের সংকেত দেয়া হবে,

(জ) বল বাস্কেট হবার পর কোন দলের কোচ চার্জ টাইমড আউটের অনুরোধ করলে।

অনুরোধের মাধ্যমে টাইমড আউট

কোন অনুরোধ করে টাইমড আউট নিতে পারেন। এ জন্য তাকে নিজে স্কোরারের কাছে গিয়ে অনুরোধের মাধ্যমে টাইমড আউটের সংকেত দিতে হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সাহায্যে কোচ অবশ্য নিজের জায়গায় বসেও স্কোরারকে অনুরোধ করতে পারেন। তবে খেলোয়াড় বদলির ব্যাপারে জায়গায় বসে করা যাবে না। স্কোরার বল খেলার বাইরে যাবার সাথে সাথে অনুরোধটি রেফারিকে জানাবেন এবং সাথে সাথে খেলার ঘড়ি থামানো হবে।

 

বাস্কেট বল খেলার নিয়মাবলী

 

বিশেষ অবস্থা

যদি কোন আহত খেলোয়াড় বা অযোগ্য খেলোয়াড় বা ৫ম ফাউলকারী খেলোয়াড়কে ১ মিনিটের মধ্যে বদলি করা হয় অথবা আহত খেলোয়াড় খেলতে সমর্থ হয় বা কর্মচারির জুতোর ফিতে বাঁধতে সুযোগ দেয়া হয় তবে দেরির জন্য কেম টাইমড আউট দেয়া হবে না।

আহ্বানের মাধ্যমে টাইমড আউট

প্রত্যেক খেলার হাফ টাইমে উভয় দলকে ২টি আহ্বান দ্বারা টাইম আউটের সুযোগ দেয়া হবে এবং প্রত্যেক অতিরিক্ত সময় খেলাতে ১টি করে আহ্বানের দ্বারা টাইমড আউটের সুযোগ দেয়া হয়। খেলার এক অর্ধাংশ বা অতিরিক্ত সময়ে নিতে দেয়া হবে।

আহত হওয়ার কারণে টাইমড আউট

খেলোয়াড় বা কর্মচারি আহত হলে বা অন্য কোন মারাত্মক কারণে টাইমড আউট দেয়া যেতে পারে। কোন খেলোয়াড় আহত হলে বল ডেড না হওয়া পর্যন্ত টাইমড আউটের বাঁশি বাজানো যাবে না। তবে আহত খেলোয়াড়কে রক্ষা করার জন্য খেলা বন্ধ করা যেতে পারে। আহত হওয়ার এক মিনিটের মধ্যে যদি আহত খেলোয়াড় খেলতে সমর্থ না হন তবে তার বদলে বদলি খেলোয়াড় খেলবেন এবং তার জন্য বরাদ্দ ফি-থ্রোগুলি করবেন।

টাইম ইন

খেলার সময় রাখার যে ঘড়িটি থামিয়ে বা বন্ধ করে টাইম আউট দেয়া হয় সেই ঘড়ি পুনঃচালনা করে নির্ধারিত সময় সংকেতের মাধ্যমে টাইম ইন দেয়া হয়।

(১) জাম্প বলে খেলা আরম্ভ হলে কর্মচারী কর্তৃক ছুঁড়ে দেয়ার পর বল সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছার পর প্রথম একজন খেলোয়াড় দ্বারা ছোঁয়া বা খেলা হলে খেলাটি আরম্ভ হয়।

(২) ফ্রি-থ্রো ছোঁড়ার পর তাতে কোন গোল না হলে যখন বোঝা যাবে গোল হবে না তখন ঘড়িটি চালাতে হবে ।

(৩) কোর্টের বাইরে থেকে থ্রো করা হলে তা কোর্টের ভিতরের কোন খেলোয়াড় দ্বারা স্পর্শিত হবার পর খেলার ঘড়ি চালাতে হবে।

 

খেলা কিভাবে আরম্ভ হয়

টাইম আউটের পরে বা অন্য কোন কারণে বল খেলার বাইরে চলে গেলে নিম্নোক্ত উপায়ে খেলা আরম্ভ হবেঃ

(ক) যদি বল নির্দিষ্ট কোন দলের অধিকারে থাকে তবে বল যেখান দিয়ে সাইড লাইনের বাইরে চলে যাবে সেখান থেকে সে দলের অধিনায়কের নির্দেশে দলের যে কোন একজন খেলোয়াড় থ্রো করবেন।

(খ) যদি উভয় দলের কারো অধিকারে না থাকা অবস্থায় বল সাইড লাইন অতিক্রম করে তবে দুই দলের দুইজন খেলোয়াড় যেখান দিয়ে বল কোর্টের বাইরে চলে যাবে সেখান থেকে জাম্প বল দিয়ে খেলা পুনরায় করবেন।

(গ) কোন ফাউল হলে যারা ফাউল করবে তাদের বিপক্ষ দলকে একটি কি-বো দিয়ে বা নিকটবর্তী বৃত্ত হতে জাম্প বল দিয়ে খেলা পুনরায় হবার পরে।

(ঘ) হেও ফল হওয়ার পরে।

(ঙ) খেলার অর্থ সময় শেষে বা অতিরিক্ত সময়ের পরে।

(চ) ফিল্ড গোল হবার পরে।

(ছ) ফ্রি-প্রো হওয়ার পরে।

(জ) কোর্টের সীমানার বাইরে বল গেলে

(ঝ) কোন নিয়ম ভংগ হলে।

 

বাস্কেট বল খেলা পরিচালনা

 

বাস্কেট বল খেলা পরিচালনা:

খেলাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অংশগ্রহণকারী দলের সকল খেলোয়াড়, কোচসহ খেলার কর্মচারি ও সহকারি কর্মচারিদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। উভয় দলকে খেলোয়াড়ী মনোভব নিয়ে খেলতে হবে এবং সর্বাত্মক জয়ের জন্য লড়াই করতে হবে। সহযোগিতার মনোভাব যখন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয় এবং বারবার আইন অবমাননা করা হয় তখনই একটি টেকনিক্যাল ফাউল ধরা হয়।

খেলোয়াড়ের টেকনিক্যাল ফাউল সমূহ

অফিসিয়ালদের প্রতি খেলোয়াড়েরা খারাপ আচরণ বা অখেলোয়াড়োচিত কৌশল অবলম্বন করতে পারবে না। যেমনঃ

(ক) অসম্মানজনকভাবে কাউকে ডাকা বা অফিসিয়ালের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা।

(খ) অবজ্ঞাসূচক অংগভংগি ও উক্তি করা।

(গ) বিপক্ষকে বলের লোভ দেখানো বা তার মুখের সামনে হাত ঘোরানো যাতে তার দৃষ্টিশক্তি ব্যহত হয় ।

(ঘ) বলকে খেলায় যেতে দিতে অনর্থক দেরি করা।

(ঙ) কোন অপরাধ করে খেলোয়াড় সঠিকভাবে হাত না উঠালে ।

(চ) রেফারি বা স্কোরারকে না বলে খেলার নম্বর বদল করলে।

(ছ) স্কোরারকে না জানিয়ে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে কোর্টে ঢুকে পড়লে অথবা বল খেলার বাইরে থাকাকালে খেলা ত্যাগ করে, কোর্ট ত্যাগ করে আবার কোর্টে প্রবেশ করলে।

অনিচ্ছাকৃত টেকনিক্যাল ফাউল অপরাধ হিসেবে ধরা হয় না। তবে তার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তা অপরাধ হিসেবে ধরা হয়।

শাস্তি

একটি অপরাধের জন্য দুইটি ফ্রি-থ্রো দেয়া হয়। কোন খেলোয়াড় উপর্যুপরি এই আইন অমান্য করলে খেলোয়াড়কে খেলায় অংশগ্রহণ করতে অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়। বলটি খেলায় চলে যাবার পর যদি অপরাধটি ধরা পড়ে তবে যখন ধরা পড়বে তখনই শান্তির ব্যবস্থা করা হবে। এর পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে সংগঠিত সকল ঘটনা বৈধ হিসেবে ধরা হবে ।

 

বাস্কেট বল খেলা পরিচালনা

 

কোচ বা বদলি খেলোয়াড় কর্তৃক টেকনিক্যাল ফাউল

খেলার কোচ বা কোন বদলি খেলোয়াড় অফিসিয়ালদের অনুমতি ছাড়া নিজের জায়গা ত্যাগ করতে বা খেলোয়াড়দের তদারক করতে বা কোর্টের ভিতের ঢুকে কোন আহত খেলোয়াড়কে সেবা করতে অথবা প্রতিপক্ষের কারো প্রতি খারাপ কোন উক্তি করতে পারবেন না।

চার্জ টাইম আউটের সময় কোচ নিজের দলের খেলোয়াড়দের কোর্টের বাইরে থেকে উপদেশ দিতে পারবেন। খেলোয়াড়েরা কোর্টে অবস্থান করবেন ।

কোন খেলোয়াড় দ্বারা ৫ম ফাউল হলে ঐ ফাউলকে বদলি ফাউল ধরে শাস্তি দেয়া হবে।

শাস্তি

কোচের বিরুদ্ধে এই আইন লঙ্ঘনের শাস্তি হবে বিপক্ষ দলকে ফ্রি-থ্রো করতে দেয়া। ফ্রি-ঘোর সময় খেলোয়াড়েরা ফ্রি-প্রো লাইনে সার বেঁধে দাঁড়াবেন না। এই নিয়ম উপর্যুপরি ৩বার লঙ্ঘন হলে কোচকে খেলার সীমানা থেকে বহিষ্কার করা হবে। তখন অধিনায়ক কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।

নিজস্ব সংঘর্ষ

বাস্কেটবল মূলতঃ শারীরিক সংযোগ বিহীন খেলা। তবুও যেহেতু একই কোর্টে ১ জন খেলোয়াড় একসাথে খেলবেন সেহেতু কখনো কখনো একে অপরে সংঘর্ষে আসতে পারেন এবং তা আসাই স্বাভাবিক। ধরা যাক, বল উপরে আছে, তা ধরার জন্য এক সাথে দুইজন খেলোয়াড় লাফিয়ে উঠলেন। এক্ষেত্রে যে খেলোয়াড় পিছন থেকে লাফ দেবেন তার একটি অপরাধ হবে। তিনি এ ক্ষেত্রে সংযোগ বা সংঘর্ষটির জন্য দায়ী হবেন। যদি ন্যায্য চেষ্টায় সেই খেলোয়াড় লাফ দেন তবে তাতে কোন অপরাধ ধরা হবে না।

নিজস্ব অপরাধ

খেলোয়াড়ের নিজের অপরাধ যা বিপক্ষের সাথে সরাসরি সংঘর্ষে হয়ে থাকে তা তার নিজস্ব অপরাধ। যে খেলোয়াড়ের কাছে বল নেই তাকে সরাসরি বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় দ্বারা তার গতি ব্যহত করাকে ব্লকিং করা বলা হয়।

হোল্ডিং বলতে যখন খেলোয়াড় দেহের সাহায্যে বিপক্ষের খেলায় বা স্বাধীনতায় বাধা জন্মায়। পিছন থেকে পাহারা দেবার সময় একে অন্যের সংস্পর্শে এসে গেলে তাকে নিজস্ব ফাউল বলে। অফিসিয়াল এ ধরনের অপরাধের প্রতি বিশেষ নজর রাখবেন। কোন খেলোয়াড় বিপক্ষের কাউকে ধরে রাখবেন না, ধাক্কা দেবেন না আক্রমণ করবেন না, হোঁচট খাওয়াবেন না, বাহু, কাঁम, কোমর বা হাঁটু দ্বারা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবেন না।

ড্রিবলকারী কাউকে চার্জ করবেন না বা কারো সাথে শারীরিক সংঘর্ষে আসবেন না বা বিপক্ষের দুইজন খেলোয়াড়ের সাথে বা সীমারেখার মধ্যে বিপক্ষের একজন খেলোয়াড়কে ড্রিবল করবেন না। তবে শারীরিক সংঘর্ষ ছাড়া ড্রিবল করা যেতে পারে। বিপক্ষের ছোঁয়া বাঁচিয়ে ড্রিবল করা যেতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনে ড্রিবলকারীকে তার সঠিক পথ পরিবর্তন করতে হবে। বল বহনকারী বা ড্রিবলকারীকে নিম্নোক্তভাবে আটকানো বা বাধা দেয়া যেতে পারে। তাতে ছোঁয়া লাগলে বা মৃদু সংযোগ ঘটলে খেলোয়াড়ের দায়িত্ব নিম্নরূপ হবেঃ

(ক) যদি কোন খেলোয়াড় বিপক্ষের বেশি নিকটবর্তী থাকেন যাত তার স্বাভাবিক নড়াচড়ার সময় ধাক্কা লাগতে পারে বা চার্জ হয় ।

(খ) যদি তিনি এমন দ্রুত গতিশীল অবস্থায় বিপক্ষের চলার পথে পড়ে যান, যাতে ধাক্কা দেয়া বা চার্জ এড়ানো সম্ভব না হয় ।

 

বাস্কেট বল খেলা পরিচালনা

 

শাস্তি

সব ক্ষেত্রে নিজস্বকৃত জন্য যে শাস্তি দেয়া হয়ে থাকে তাই প্রযোজ্য

উপরোন্ত

(ক) বল বাস্কেটে ছুঁড়ে দেয়ার সময় তার উপর না হয় এবং অপরাধটি ঘটে তবে যেখানে ফাউল হয়েছে তার কাছেই সাইড লাইনের বাইরে থেকে বিপক্ষ দলকে ছুঁড়ে দেয়ার জন্য দেয়া হবে। রেফারি অপরাধীর নাম ও নম্বর স্কোরারকে জানাবেন ।

(খ) বল বাস্কেটে ছোড়ার সময় যদি সেই নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে ফাউল করা হয়, তবেঃ

(১) থ্রোর দ্বারা গোল হলে তা ধরা হবে এবং অতিরিক্ত একটি ফ্রি-প্রো দেয়া হবে ।

(২) গোল না হলে দুটি ফ্রি-থ্রো দেয়া হবে। যে কোন একটি থ্রো অকৃতকার্য হলে আরো অতিরিক্ত একটি গো দেয়া হবে।

(৩) থ্রো যদি ৩ পয়েন্টের জন্য হয় তবে ৩টি ফ্রি-থ্রো দেয়া হবে। অপরাধ ডাকামাত্র রেফারি সংকেত দ্বারা অপরাধীর নম্বর দেখাবেন।

এবং (ক) বল সেই খেলোয়াড়ের কাছে দেবেন যাতে তিনি সমাপ্তি রেখার বলটি ছুঁড়ে দিতে পারেন।

(খ) শাস্তি হিসেবে ফ্রি-থ্রো দেয়া হলে ফ্রি-প্রোকারীর কাছে পৌঁছে দিতে ফাউল ডাকার সাথে সাথে রেফারি সংকেত দেবেন। হবে।

 

ইচ্ছাকৃত ফাউল

ইচ্ছাকৃত ফাউল হচ্ছে নিজস্ব ফাউল। যা খেলোয়াড় কর্তৃক ইচ্ছাকৃত করা খেলোয়াড় বল ছেড়ে বিপক্ষের রক্ষাকারী খেলোয়াড়ের সাথে সংঘর্ষ ঘটায় তা ইচ্ছাকৃত ফাউল। এই অপরাধ খেলোয়াড়ের কাছে বল না থাকাকালেও ঘটতে পারে। যার কাছে বল রয়েছে তিনি যদি ইচ্ছাকৃত বিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে থাকেন তবে তাও ইচ্ছাকৃত ফাউল ধরা হবে।

শাস্তি

অপরাধীর একটি ফাউল ধরা হবে এবং তার বিপক্ষে দুইটি ফ্রি-থ্রো দেয়া হবে যদি না যার উপর ফাউল করা হয়েছে তিনি একটি গোল দিয়ে থাকেন।

 

অযোগ্যতার ফাউল

কোন খেলোয়াড় যদি মারাত্মকভাবে অখেলোয়াড়োচিত আচরণ করে তবে তাকে খেলা থেকে বের করে দেয়া যেতে পারে।

 

বাস্কেট বল খেলা পরিচালনা

 

শাস্তি

উপরোক্ত শাস্তি হবে।

 

ডবল ফাউল

দুইজন খেলোয়াড় যখন একই সময়ে একই সাথে একে অপরের বিরুদ্ধে ফাউল করে থাকে তাকে ডবল ফাউল বলে। ডবল অপরাধের জন্য কোন ফ্রি-থ্রো দেয়া হবে। না। তবে উভয় অপরাধীর বিরুদ্ধে একটি করে নিজস্ব ফাউল ধরা হবে।

শাস্তি

উভয় দলের খেলোয়াড়ের নামে একটি ‘P’ বসাতে হবে এবং নিকটবর্তী বৃত্ত থেকে জাম্প বল দিয়ে খেলা শুরু হবে। যদি ফিল্ড গোল হয় তবে প্রান্তরেখা থেকে খেলা শুরু হবে।

 

বহু অপরাধ

যখন দুই অধিক খেলোয়াড় বিপক্ষের একই খেলোয়াড়ের প্রতি একই সময় নিজস্বকৃত অপরাধ করে তখন তা বহু অপরাধ বলে ধরা হয়।

শাস্তি

প্রত্যেক অপরাধীর একটি করে ফাউল ধরা হবে। ফাউল যাকে করা হয়েছে তাকে ২টি ফ্রি-থ্রো করতে দেয়া হবে। গোল হলে তা গণনায় ধরা হবে। তবে দোষী খেলোয়াড়ের অপরাধ ধরা হবে।

 

উসমান খাজার কোনো আক্ষেপ নেই

 

খেলার সময় ফাউল

যখন খেলোয়াড়ের প্রতিপক্ষের উপর একটি ফাউল ডাকা হয় তবে যার হাত থেকে বলটি নিক্ষিপ্ত হয়ে গোল হতে যাচ্ছে এবং বাঁশি বাজার পরও যদি গোল হয়ে থাকে এবং বাঁশির সংকেত যদি খেলা ব্যবহৃত না হয় তবে গোলটি ধরা হবে। তবে বাঁশির সংকেতের একটু আগে বা সাথে সাথে যদি বলটি গোলে নতুন উদ্যোমে ছোঁড়া হয় তবে তা গণনায় ধরা হবে না।

 

নালিশ বা প্রতিবাদ

যদি কোন দল মনে করে রেফারি, স্কোরার, টাইম কিপার বা অন্য কোন অফিসিয়াল দ্বারা খেলার সময় তাদের স্বার্থ ব্যহত হয়েছে বা খেলা নিরপেক্ষ হয়নি তবে তারা লিখিতভাবে নালিশ বা প্রতিবাদ করতে পারেন ।

 

আরও দেখুনঃ

21 thoughts on “বাস্কেটবল খেলার নিয়মকানুন এবং ইতিহাস”

Leave a Comment