বৃষ্টির দিনের মন মাতানো ফুটবল : বৃষ্টি এলেই যেনো মন নতুন করে দোলা দিয়ে উঠে। মানব মনের সঙ্গে বৃষ্টির যেনো এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অনেক সময় বৃষ্টি মানব মনে এনে দেয় বৃষ্টি বিলাসের এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি, আবার অনেক সময় এটি মানুষের মনে পুষে থাকা কষ্টকে করে তোলে আরো তীব্রতর।
বৃষ্টির সময় মানুষ বিভিন্ন রকম খেলাধুলার আনন্দে মেতে থাকে। এ সময় বিভিন্ন রকম বয়সের মানুষদের বৃষ্টি বিলাসের পাশাপাশি খেলাধুলায় মেতে উঠতে দেখা যায়। বৃষ্টির মধ্যে সবথেকে বেশী প্রচলিত খেলা হলো ফুটবল।
[ বৃষ্টির দিনের মন মাতানো ফুটবল ]
কে কত ভালো খেলে, কে খারাপ খেলে তা দেখার অবকাশ নেই, সবাই জানে আজকে সবাই বৃষ্টিতে খেলবে, মাঠে গড়াগড়ি করবে, গায়ে কাঁদা মাখাবেই। নিয়মিত এবং অনিয়মিত সবার এক আনন্দ মেলা হল বৃষ্টির একটি দিন। তবে, আনন্দটা একটু ভিন্ন হয়ে যায় শহর ও গ্রামের মধ্যে। শহরের প্রথম ও অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো এখানে পর্যাপ্ত মাঠ নেই। থাকলেও মাঠে জলাবদ্ধতা। মাঠ একটা খেলার জন্য প্রস্তুত শত শত মানুষ। তাই মাঝে মাঝেই আনন্দটা কমে যায়।
কারন মন খুলে নিজের মত দৌড়ানো সম্ভব হয় না। কারন শহরে খেলার জন্য একটি মাঠের কয়েকটি ভাগ হয়। এক দলের খেলাতে অন্য দলের বল চলে আসে। তারপরেও খেলা চলে। শহরে যাদের ভাগ্য খুব ভালো তারা হয়তো মাঠের আশেপাশে একটি পুকুর বা লেক পেয়ে যায়।
যেখানে তারা খেলা শেষে গোসলটা সেরে নেয়। সেই এক আনন্দের জোয়ারে গোসল। কারন প্রতিদিন এমনটা হয় না। প্রতিদিন কাটে শহরের যান্ত্রিক ধোঁয়ার মাঝে। গ্রামে ফুটবলের ব্যাপারটাই আলাদা কারন সেখানে আছে বিশাল মাঠ, মাঠের পাশেই নদী না বড় কোন দিঘি।
গ্রামের মাটিটাও শহরের মত দূষিত না। বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধে চলে ফুটবল। আর ওই মাটি টা গায়ে লাগিয়ে আনন্দটাও যে অনেক। এক কথায় গ্রামের ফুটবলের অপর নাম বলা যায় কর্দমাক্ত কুস্তি।
বৃষ্টির সময় আরেকটি খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। অনেক সময় গ্রামে গঞ্জে বৃষ্টিতেও ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। অনেকে এসময় পরিত্যাক্ত কাঠ বা লাকড়ি দিয়ে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠেন।
অনেক সময় বৃষ্টির সময় শিশু কিশোরদের কানামাছি এবং গোল্লাছুটের মত খেলাও খেলতে দেখা যায়।