জার্মানি-সুইজারল্যান্ড ম্যাচে জেতেনি কেউ। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ‘এ’ গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে নাটকীয় দুই ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইনজুরি সময়ের গোলে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হার এড়িয়েছে স্বাগতিক জার্মানি। অন্য ম্যাচে ইনজুরি সময়ের গোলে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে নক আউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা ধরে রেখেছে হাঙ্গেরি। সুইজারল্যান্ড-জার্মানি ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হাঙ্গেরি জয় পেয়েছে ১-০ গোলে। গোলটি হয়েছে ম্যাচের শততম মিনিটে।
জার্মানি-সুইজারল্যান্ড ম্যাচে জেতেনি কেউ
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামার আগেই নক আউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছিল জার্মানি। কিন্তু গত নভেম্বর থেকে তাদের অপরাজিত থাকার তকমায় দাড়ি পড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ২৮ মিনিটে ড্যান এনডোয়ার করা গোলে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল সুইজারল্যান্ড। আক্রমণ রচনা করেও গোলের দেখা পাচ্ছে না স্বাগতিক দল। ফলে হারের শঙ্কা তৈরিই হয়ে গিয়েছিল।

সুইজারল্যান্ড তখন ২২ ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ের স্বপ্ন দেখছে। ঠিক তখনই নিকলাস ফুলক্রুগ গোল করে জার্মানিকে হারের হাত থেকে রক্ষা করেন। ৯২ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। ১৯ ম্যাচে ১৩তম গোল এটি তার।

এ ড্রয়ের ফলে তিন ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জার্মানি দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে। সুইজারল্যান্ডও অপরাজিত। এক জয় ও দুই ড্র থেকে তাদের পয়েন্ট ৫।

নক আউট পর্বের শুরুতে জার্মানি কাদের মুখোমুখি হবে তা এখনো পরিস্কার নয়। তারা ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় দলের মুখোমুখি হবে। এ স্থানটির জন্য লড়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া ও সার্বিয়া। চারটি দলেরই নক আউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ (সাধারণত উয়েফা ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ হিসাবে এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে ইউরো হিসেবে পরিচিত) হচ্ছে একটি প্রাথমিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, যেখানে ইউরোপীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের (উয়েফা) সদস্যপ্রাপ্ত পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দলগুলো প্রতিযোগিতা করে।[১] এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করে। এই প্রতিযোগিতাটি ১৯৬০ সাল থেকে প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর বিশ্বকাপের মাঝে প্রতি জোড় বছরগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়। এটি মূলত ইউরোপীয় নেশন্স কাপ নামে পরিচিত ছিল, অতঃপর ১৯৬৮ সালে বর্তমান নামে পরিবর্তন করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালের আসর হতে পরবর্তী প্রায় সকল আসরে এই প্রতিযোগিতাটিকে উয়েফা ইউরো নামে উল্লেখ করা হয়; এই বিন্যাসটি তখন থেকে পূর্ববর্তী আসরগুলো প্রতিক্রিয়াশীলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরো দেখুনঃ