সাঁতারের নিয়মাবলী নিয়ে আজকের আলোচনা করবো। নদীমাতৃক বাংলাদেশে সাঁতার যথেষ্ট জনপ্রিয় খেলা। আবহমান কাল থেকে সাঁতার চলে আসছে। সাঁতারের সঠিক জন্ম তারিখ বলা খুবই কঠিন। তবে নদীমাতৃক বাংলাদেশে সাঁতারে যতখানি অগ্রগতি হওয়া উচিত ছিল তা বোধ করি হয়নি। আমাদের সাঁতারুরা বিশ্ব, অলিম্পিক মানতো দূরের কথা এশিয়া মানেও পৌঁছাতে পারেনি। তবে সাঁতারে অগ্রগতি সাধনের জন্য বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। এদেশে নিয়মিত সাঁতার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
Table of Contents
সাঁতারের নিয়মাবলী । খেলাধুলার আইন
সাঁতারের পরিচালনাকারী
সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজনে উদ্যোগি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি নির্বাচিত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি প্রতিযোগিতা কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা ঠিক করবেন। যে কোন ব্যাপারে এই কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবার ক্ষমতা রাখবেন। এই কমিটি ‘ফিনার’ অনুমতি সাপেক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সমূহে নিম্নোক্ত কর্মচারীবৃন্দকে নিয়োগ করবেনঃ
রেফারি
খেলা পরিচালনার জন্য একজন রেফারি থাকবেন। তিনি সকল খেলোয়াড় ও কর্মচারির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখবেন। তিনি “ফিনার’ সকল আইন বলবৎ করবেন এবং সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি প্রয়োজনে যে কোন কর্মচারিকে নিয়োগ, বদলি বা বরখাস্ত করতে পারবেন। তিনি যে কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র পরীক্ষা করতে পারেন। প্রতিযোগিতার আগে সকল কর্মচারি ও প্রতিযোগী প্রস্তুত হলে তিনি আরম্ভের নির্দেশ দেবেন।
আরম্ভকারী
প্রতিযোগিতায় একজন আরম্ভকারী থাকবেন। তিনি রেফারির অনুমতি সাপেক্ষে আরম্ভ করবেন। টাইম কীপারের সংকেত পেলে তিনি আরম্ভের সংকেত দেবেন।
প্রধান টাইম-কীপার
প্রতিযোগিতায় একজন প্রধান সময় রক্ষক বা টাইম-কীপার থাকবেন। তিনি প্রত্যেক টাইম কীপারকে তার নির্দিষ্ট স্থানে বসতে ও তার লেনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন।
টাইম-কীপার
প্রত্যেক লেনে তিনজন করে টাইম কীপার থাকবেন। দুইজন অতিরিক্ত টাইম- কীপার নির্দিষ্ট থাকবে। সঠিক সময় রাখার জন্য এরূপ ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেকে তার কার্ডে সময়ের হিসাব রাখবেন। প্রয়োজনে ঘড়ি মিলিয়ে নেবেন। যে লেনে যায় সময় নেয়ার ভার দেয়া হবে তিনি তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। আরম্ভের সাথে সাথে ঘড়ি অন করবেন এবং পৌঁছানোর সাথে সাথে অফ করবেন। তড়িৎ প্রত্যেকটি খেলার সময় প্রধান সময় রক্ষকের কাছে পাঠাবেন।
প্রধান বিচারক
প্রতিযোগিতায় একজন প্রধান বিচারক থাকবেন। তিনি প্রত্যেক বিচারকের অবস্থান ও কাজ নির্ধারণ করবেন। ঘুর্ণনের ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ করা তার দায়িত্ব। যারা আরম্ভ সমাপ্তি রেখার পৌছা দেখবেন। খেলা শেষে ফলাফলে সই করে রেফারির কাছে পাঠাবেন । বৈদ্যুতিক ঘড়ি অকেজো হয়ে গেলে তিনি একজন বিচারকের ভূমিকা পালন করবেন।
শেষ প্রান্তের বিচারকগণ
প্রতিটি লেনের জন্য ৩ জন করে শেষ প্রান্তের বিচারক থাকবেন। তারা উঁচু স্থানে বসবেন যাতে ভালভাবে দেখা যায়। প্রতি খেলা শেষে তারা প্রতিযোগীর স্থান নির্ধারণ করবেন। যদি ঘুর্ণনের ইন্সপেক্টর ও রিলে ও টেক অফের সুষ্ঠুতা দেখার দায়িত্ব দেয়া হয় তা তারা পালন করবেন।
ঘুর্ণনের ইন্সপেক্টরগণ
উভয় দিকের শেষ প্রান্তে একজন করে ঘুর্ণণের ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হবে। তাদের কাজ হবে, ঘুর্ণনের সময় প্রতিযোগী যেন নিয়ম মেনে চলে তা দেখা। প্রতিযোগীর পাকের হিসাব রাখা। রিলেতে পানিতে লাফানো ও সীমানা ছোঁয়ার প্রতিও লক্ষ রাখবেন। কোন নিয়ম ভঙ্গ হলে তা রেফারি বা প্রধান বিচারককে জানাবেন। ৫০ মিটার বা বেশি দূরত্বের সাঁতারে দুই পাক বাকি থাকতে প্রতিযোগীকে ঘন্টা, বাঁশি বা পিস্তলের শব্দে সংকেত দেবেন।
স্ট্রোক বিচারক
২জন স্ট্রোক বিচারক থাকবেন। তারা রেফারি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন। জলাশয়ের দু’প্রান্তে দুজন থাকবেন। সাঁতারুরা ঠিকমত ষ্ট্রোক নিচ্ছে কিনা তারা তা নজর রাখবেন।
ঘোষক
প্রতিযোগিতায় ঘোষক থাকবেন একজন। তিনি ফলাফল প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তা ঘোষণা করে দেবেন ।
রেকর্ডার
একজন রেকর্ডার থাকবেন। যিনি খেলার সমুদয় রেকর্ড রাখবেন।
ব্লাক অব দ্য ফোর্স
এছাড়া একজন ক্লার্ক অব দ্য ফোর্স থাকবেন।
জলাশয়
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ, অলিম্পিক ও আঞ্চলিক খেলায় জলাশয় হবে: দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার ও প্রস্থ ২১ মিটার (কমপক্ষে) এবং গভীরতা ১.৮ মিটার। পরিমাপগত সহনশীলতা to মিটার দৈর্ঘ্য + ০ ০৩ মিটার জলাশয়ে ও পানির উপরে ০.৩ মিটার ও পানির নিচে ০.৮ মিটার হবে। জলাশয়ে পানির তাপমাত্রা হবে কমপক্ষে ২৪ সেন্টিগ্রেড ও কমপক্ষে ৭৭ ফারেনহাইট। দেয়ালগুলি সমান্তরাল ও লম্বাভাবে উঠবে 1 জলাশয়ে বিশ্রামের জন্য পাটাতন থাকতে পারে। তা পানির উপরে ১.২ মিটারের কম হবে না এবং ০.১৫ মিটার চওড়া হবে। জলাশয়ের চারি দেয়ালে ‘গাটার’ থাকবে। তা উপযুক্ত আচ্ছাদন দ্বারা ঢাকা থাকবে। পানিকে একই সমতায় রাখার জন্য গাটারগুলি প্রয়োজনে বন্ধ রাখার ‘বালব’ থাকবে। পানিতে কোন আলোড়ন থাকবে না এবং নির্দিষ্ট সমতা থাকবে।
লেনের সংখ্যা
৮টি লেন বিশিষ্ট জলাশয় বা সুইমিং পুল ২৫ মিটার চওড়া হবে। দুই দিকের লেনের বাইরের দিকে ০.০৫ মিটার খালি জায়গা থাকবে যা দড়ি দ্বারা পূর্ণ করা হবে
দড়ি ঃ জলাশয়ের প্রতিটি লেনের পর একটা করে শক্ত দড়ি একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত কোন ভাসমান বস্তুর সাথে আটকানো থাকবে। দড়ির পরিধি হবে ০.০৫ মিটার থেকে ০.১০ মিটার। একটি দড়ি থেকে অন্যটির দূরত্ব হবে ৫ মিটার ।
আরম্ভ
পিঠ সাঁতার বা চিৎ সাঁতার ছাড়া সব ধরনের সাঁতার আরম্ভ হবে ডাইভ দিয়ে। রেফারির সংকেতের পর আরম্ভকারী সংকেত দিলে প্রতিযোগীরা ষ্টেশন (ডাইভ দেয়ার স্থান) থেকে ডাইভ দেবেন। আরম্ভকারী শুরুর আগে ‘টেক ইউর মার্কস’ বলবেন। কোন ভুল হলে তিনি সাঁতারুদের ফিরিয়ে আনবেন। কেউ ভুল করে আগে শুরু করে। দিলে তাকে সতর্ক করে দেবেন। একই প্রতিযোগী পর পর দুইবার একই ভুল করলে তাকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করবেন।
ট্রায়াল হিট
(ক) যে প্রতিযোগী বা দল আগে উপস্থিত হবে আগে তার নাম লেখা হবে। যে প্রতিযোগী পরে আসবে তার নাম পরে বা যে আসবে না তাকে সর্বনিকৃষ্ট সময়ে ধরে তার নাম শেষে লেখা হবে। পরে আসা একাধিক প্রতিযোগী হলে লটারি হবে।
(খ) সবচেয়ে দ্রুত সাঁতারু বা দলকে সব শেষে হিটে ফেলতে হবে। ভাল থেকে মন্দ ক্রমানুসারে সাজাতে হবে।
(গ) কোন লেনে কে দাঁড়াবে তা ঠিক করার জন্য সেটশনে দাঁড়ানোর পর সবচেয়ে দ্রুতগামী সাঁতারু বা দলকে জলাশয়ের মাঝখানে বেজোড় সংখ্যা দিতে হবে । অর্থাৎ ৬ বা ৮ লেনে ৩ অথবা ৪ লেন হবে।
(ঘ) যেখানে প্রাথমিক বাছাই হয়েছে সেখানে চূড়ান্ত লেন বন্টনের কাজ করতে হবে (গ) ভিত্তিতে। যেখানে প্রাথমিক বাছাইয়ের প্রয়োজন নেই সেখানে (ক) অনুযায়ী হবে। সাঁতার নির্ধারণ করবেন জাজরা। জাজ বা বিচারকদের মধ্যে মত বিরোধ হলে রেফারি হস্তক্ষেপ করবেন। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ।
সাতারের সাধারণ নিয়ম
সাতারের কিছু সাধারণ নিয়ম আছে। যা সাধারণ প্রতিযোগীদের মেনে চলতে হয়। এই নিয়ম অমান্য করলে রেফারি যে কোন প্রতিযোগীকে বাতিল করতে পারেন।
(১) কোন প্রতিযোগী অন্য প্রতিযোগীকে বাধা দিতে পারবেন না। তা করলে ফাউল হবে। তাতে বাতিল হতে পারেন
(২) থাকে ফাউল করা হবে তিনি যদি ভাল অবস্থানে থাকেন তবে ইভেন্টটি জাজরা পুনরায় করতে পারেন।
(৩) টার্নিং বা ঘুর্ণনের সময় প্রতিযোগীকে এক হাত বা দুই হাত দিয়ে দেয়াল ছুঁতে হবে। তা না হলে বাতিল বলে গণ্য করা হবে।
(৪) শেষ পাকেও সাঁতারুকে দেয়াল ছুঁতে হবে। তা না হলে তাকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হবে না।
(৫) রিলে সাঁতারে একজন প্রতিযোগী পৌঁছে দেয়াল স্পর্শ না করা পর্যন্ত তার সহযোগী সাতারু ঝাঁপ দিতে পারবে না। এই নিয়ম অমান্যকারী দলকে বাতিল করা হবে।
(৬) পানিতে ভেসে থাকার মত কোন কিছু সাঁতারু সাথে নিতে পারবে না।
(৭) সীতার প্রতিযোগিতায় সাঁতারের নির্দিষ্ট দূরত্বটি সাঁতরাতে হবে।
(৮) প্রতিযোগী যে লেনে প্রতিযোগিতা শুরু করবে সেই লেনে তাকে শেষ করতে হবে।
সাঁতারের প্রকার ভেদ
ফ্রি-স্টাইল
ফ্রি-স্টাইল সাঁতারে মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেহের পিছনের দিকটা পানির উপরে থাকবে। অর্থাৎ সাঁতারু যখন মাথার আগে একের পর এক দুই হাত বাড়িয়ে পানি টানতে থাকবে । তখন মাঝে মাঝে দম নেয়ার জন্য তার মুখটা দেখা যাবে। সেই সাথে দেখা যাবে তার পিঠ, গোড়ালি ও পায়ের পাতা। হাত দিয়ে পানি টেনে এবং পা দিয়ে পানি কেটে এগোতে থাকবে।
ব্রেস্ট স্ট্রোক
ব্রেস্ট স্ট্রোক হচ্ছে বুক সাঁতার । এই সাঁড়ারের নাম শুনেই বোঝা যায় বুক হচ্ছে এর মূল। এই স্ট্রোকে পানির উপর সাঁতার দেয়া যায় না। দুই হাত এক সাথে বুকের কাছ থেকে পানির মধ্যে শরীর ঠেলতে হবে সামনের দিকে এবং পানি টেনে দু’টি হাত পিছনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। সমস্ত শরীরের ভারসাম্য থাকবে বুকের উপরে। পানির উপরে থাকবে দুই কাঁধ ও মাথার পিছনের অংশ। তবে পা খাড়াভাবে উঠানো নামানো করা যায় না। টার্ণ বা ঘুর্ণনের সময় বা সমাপ্তি রেখায় পৌঁছবার পর দুই হাত দিয়ে দেয়াল স্পর্শ করতে হবে।
বাটার ফ্লাই
দুই হাত পানির উপর একই সাথে সামনের দিকে নিয়ে গিয়ে আবার তা পানি টেনে পিছিয়ে আনতে হবে। এতে সমস্ত শরীরের ভারসাম্য থাকবে বুকের উপর। কাঁধ থাকবে পানির উপর ভাসমান। তবে বাটার ফ্লাইতে পা খাড়াভাবে ওঠা-নামা করা যায়। সাঁতারু টার্ণ বা ঘুর্ণন নেয়ার সময় বা সমাপ্তি রেখায় পৌঁছে দেয়াল স্পর্শ করবেন।
ব্যাক স্ট্রোক
ব্যাক স্ট্রোকের স্টার্ট হবে আলাদা। এই সাঁতারের সময় সাঁতারুদের পানিতে নেমে দাঁড়াতে হবে। প্রত্যেকের মুখ থাকবে ষ্টার্টিং ব্লকের দিকে কোর্স থাকবে পিছনে। দেয়াল হাতে ধরা থাকবে। এই অবস্থায় প্রস্তুত থাকতে হবে। অন্য সাঁতারের মত এই সাঁতারেও হাত দিয়ে পানি মাথার দিক থেকে টেনে পিছনের দিকে নিতে হবে, তবে উপুড় হয়ে নয় চিৎ হয়ে। এ কারণে একে অনেকে চিৎ সাঁতারও বলে। এই সাঁতারে গোড়ালি থাকবে পানির নিচের দিকে এবং পায়ের পাতা থাকবে পানির উপরে।
অন্যান্য নিয়ম
(১) কোন বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে হলে তা প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে জানাতে হবে।
(২) প্রতিযোগিতার আগে কোন প্রতিবাদ থাকলে তা শুরুর আগে আরম্ভকারীকে জানাতে হবে
(৩) সাঁতার প্রতিযোগিতা ১০০ মিটার থেকে ১৫০০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
(৪) ফ্রি-স্টাইল রিলে হয় ৪ x ১০০ মিটার অথবা ৪ x ২০০ মিটার তবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে দূরত্ব হয় ৪০০ মিটার। মিডলে রিলেতে ৪ x ১০০ মিটার। এই প্রতিযোগিতায় ব্যাক, ব্রেস্ট, বাটার ফ্লাই ও ফ্রি-স্টাইল পর পর করতে হয়।
প্রসঙ্গত সাঁতারের আগে মধু খাওয়া ভাল। পানি থেকে উঠে আগেই পোশাক না পরে গায়ে গরণ কিছু জড়িয়ে রাখা উচিৎ। সম্ভব হলে ডিম, দুধ, কফি খাওয়া যেতে পারে।
সাঁতারের প্রতিযোগিতা সমূহ
সাঁতারের নাম | মিটার |
ফ্রি স্টাইল | ১০০ |
ফ্রি স্টাইল | ২০০ |
ফ্রি স্টাইল | ৪০০ |
ফ্রি স্টাইল | ৮০০ |
ফ্রি স্টাইল | ১৫০০ |
বেস্ট স্ট্রোক ও বাটার ফ্লাই | ১০০ |
বেস্ট স্ট্রোক ও বাটার ফ্লাই | ২০০ |
বেস্ট স্ট্রোক ও বাটার ফ্লাই | ১০০ |
বেস্ট স্ট্রোক ও বাটার ফ্লাই | ২০০ |
ব্যক্তিগত মিডলে | |
বাটার ফ্লাই | |
ব্যাক স্ট্রোক | |
ব্রেস্ট স্ট্রোক | |
ফ্রি স্টাইল | ৪০০ |
ফ্রি স্টাইল রিলে | ৪ x ১০০ |
ফ্রি স্টাইল রিলে | ৪ x ২০০ |
মিডলে রিলে | ৪ x ১০০ |
আরও দেখুনঃ
*আমার অনেক দিন ধরে স্বপ্ন ছিল আমি সাঁতার প্রতিযোগিতা নাম দিবএবং খেলবো।
*এটাকে আমি পেশা হিসাবে নিয়ে নিতে চাই।
*এটা আমার একটা স্বপ্ন বলতে গেলে।
*