অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড । সাঁইত্রিশ নম্বর আইন
Table of Contents
ক্রিকেটের অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড । ক্রিকেট খেলার ৩৭ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
১। ইচ্ছাকৃত বাধা
দুই ব্যাটসম্যানের যে কেউ আবেদনের মাধ্যমে অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড আউট হবেন, যদি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কথা বা কাজের দ্বারা বিপক্ষ দলকে বাধা দেন ।
২। বল ক্যাচ করার কাজে বাধা দান
ব্যাটসম্যানদের যে কেউ যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ক্যাচ ধরার কাজে বাধার সৃষ্টি করেন তাহলে আবেদনের মাধ্যমে স্ট্রাইকার আউট হবেন । এমন কি যদি স্ট্রাইকার তার উইকেট আইনসংগতভাবে রক্ষা করার ৩৪ নং আইন অনুযায়ী বাধার সৃষ্টি করেন, তখনও এটি প্রযোজ্য হবে। আইন ৩৪ ১ দেখুন
স্ট্রাইকর উইকেটরক্ষক যাতে বলটি ক্যাচ করতে না পারেন সেই জন্য বাধা প্রদান করাতে তিনি “অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড’ আইনে আউট হবে।
টীকা
(অ) আকস্মিক ভাবে বাধা
বাধা দান ইচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আম্পায়ার অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবেন। একজন ব্যাটসম্যান রান নিচ্ছেন, এমন অবস্থায় কোন থ্রো ইন যদি আকস্মিকভাবে তাঁর দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে কিন্তু এই আইনভঙ্গ হবে না।
(আ) স্কোর বই -এ অন্তর্ভুক্তি
ব্যাটসম্যান যখন এই আইন দ্বারা আউট হন, তখন স্কোর বইয়ে সঠিক অন্তর্ভুক্তি হবে অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড এবং এই উইকেটের জন্য বোলার কোন কৃতিত্ব পাবেন না।

জ্ঞাতব্য বিষয়
এই আইনে আম্পায়ারদের প্রধান কর্তব্য হলো আকস্মিক, অনিচ্ছাকৃত বা উদ্দেশ্য নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা প্রদানের বিচার করা। স্ট্রাইকার এবং ননস্ট্রাইকারের দ্বারা বাধা প্রদানের দুটো দিক আছে। একটা ফিল্ডিং-এর ক্ষেত্রে এবং অপরটি ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে। যদি ফিল্ডার কোন ব্যাটসম্যানকে রান আউট করার মুহূর্তে ননস্ট্রাইকারের দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাপ্রাপ্ত হন তবে সেই ননস্ট্রাইকার এই আইনের অধীনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আউট হবেন।
কিন্তু কোন ক্যাচের ক্ষেত্রে যদি কোন ননস্ট্রাইকার ফিল্ডারকে ক্যাচ ধরার মুহূর্তে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেন, তবে এই আইন অনুসারে স্ট্রাইকারই আউট হবেন। বর্তমান আইনে ১নং উপধারায় উদ্ধৃত কথা বা কাজের দ্বারা বিরোধী পক্ষকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দান করলে এই নিয়মানুযায়ী ব্যাটসম্যান আউট হবেন। অর্থাৎ বাধা প্রদান দু’রকমের হতে পারে, দৈহিক বাধা প্রদান ও মৌখিক বাধা প্রদান।
দৈহিক বাধা প্রদানের মধ্যে পড়ে, কোন ব্যাটসম্যানের দ্বারা ফিল্ডারকে ধাক্কা দেয়া, স্ট্রাইকার ও ননস্ট্রাইকারের দ্বারা বল যাতে স্টাম্পে না লাগে, তা আটকে দেয়া, যাতে তাঁরা কেউ রান আউট না হন। আবার ফিল্ডার কোন ক্যাচ ধরার সময় ব্যাটসম্যানেরা যদি চিৎকার করেন বা অবাঞ্চিত কোন শব্দ ব্যবহার করেন ও তাঁর ক্যাচ ধরার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেন তাহলে তা-
মৌখিক বাধা দানের মধ্যে পড়ে। এ প্রসঙ্গে ৩৪১ নং আইন দেখুন। যদি কোন ফিল্ডার থ্রো করার পর স্ট্রাইকার বা ননস্ট্রাইকারের প্যাডে বল আচমকা লেগে যায়, তাহলে তা অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড আইনের আওতায় পড়বে না, এবং কোন ব্যাটসম্যানই আউট হবেন না। আবার খেলার মধ্যে নেই এমন কোন আহত ব্যাটসম্যান যদি বলের খেলার মেয়াদ থাকাকালীন কোন ফিল্ডারকে বাধা প্রদান করেন, তাহলে তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে আম্পায়ার কর্তৃক বিবেচিত হবেন ।
কোন রান যদি বল ডেলিভারি করার পর এবং যে কোন ব্যাটসম্যানের বাধা প্রদানের আগে নেয়া হয় তবে তাকে হিসাবের মধ্যে ধরতে হবে। তবে ক্যাচের বেলায় বাধা প্রদান হলে রান গণ্য হবে না।
একজন আহত ব্যাটসম্যানের রানারকেও এই আইনের আওতায় আনা উচিত এবং আইন ২৭ নং উপধারায় সে বিষয়ে বলা আছে। স্ট্রাইকার হিসাবে ব্যাটসম্যান যদি আইন সংগতভাবে তাঁর উইকেট রক্ষার জন্য দু’বার বলটি আঘাত করেন এবং তিনি দ্বিতীয়বারের সময় ব্যাট দিয়ে সেটি রক্ষা করার জন্য উইকেটরক্ষকে তাঁর ন্যায্য ক্যাচ ধরায় বঞ্চিত করেন সেই ব্যাটসম্যান আবেদন হলে অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড আউট বলে গণ্য হবেন।
আরও দেখুনঃ