ক্রিকেটের উইকেটরক্ষক । ক্রিকেট খেলার ৪০ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
Table of Contents
ক্রিকেটের উইকেটরক্ষক । ক্রিকেট খেলার ৪০ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
১। উইকেটরক্ষকের অবস্থা
যতক্ষণ না বোলারের একটি ডেলিভারি করা বল যা স্ট্রাইকারের ব্যাটে বা তাঁর দেহ স্পর্শ করেছে বা তাঁর উইকেট অতিক্রম করছে বা যদি না স্ট্রাইকার কোন রান নেবার চেষ্টা করছেন ততক্ষণ উইকেটরক্ষক সম্পূর্ণভাবে উইকেটের পেছনে অবস্থান করবেন।
যদি কোন ক্ষেত্রে উইকেটরক্ষক এই আইন ভঙ্গ করেন স্ট্রাইকার প্রান্তের আম্পায়ার যে মুহূর্তে বলটি ডেলিভারি হয়েছে বা হবার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নো বল ডাকবেন এবং সংকেত দেবেন ।
উইকেটরক্ষকের দ্বারা যদি স্ট্রাইকারের খেলার অধিকার ভঙ্গ হয় (বোলারের বল ছাড়ার সময়) স্ট্রাইকার প্রান্তের আম্পায়ার ‘নো বল’ ডাকবেন। এক্ষেত্রে ট্রাইকার ব্যাটে, বা দেহে লাগান নি এবং বলটি উইকেটের সামনে এসে ধরেছেন। স্ট্রাইকার রান নেবার চেষ্টা করেন নি।
২। উইকেটরক্ষকের কাজে সীমাবদ্ধতা
যদি উইকেটরক্ষক স্ট্রাইকারের বল খেলার বা তাঁর উইকেট রক্ষা করার অধিকারে হস্তক্ষেপ করেন তবে আইন নং ৩৩ (হ্যান্ড বল দি বল) ৩৪ (হিট দি বল টোয়াইস) ৩৭ (অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড) এবং আইন নং ৩৮ (রান আউট) ব্যতীত স্ট্রাইকার আউট হবেন না।
৩। স্ট্রাইকারের দ্বারা উইকেটরক্ষককে বাধা প্ৰদান
যদি স্ট্রাইকার ন্যায়সংগতভাবে উইকেট রক্ষা করার জন্য উইকেটরক্ষককে বাধা দেন তবে তিনি আইন ৩৭.২ (অবস্ট্রাকটিং দি ফিল্ড) অনুযায়ী ব্যতীত আউট হবেন না।
জ্ঞাতব্য বিষয়
এই আইনের বিচার করতে গেলে তিনটি বিষয় আছে, যেগুলি উইকেটরক্ষককে নিয়মিত পালন করতে হবে। এইগুলি মানা না হলে আইন সংগতভাবে তাকে শাস্তি গ্রহণ করতে হবে। আবার এই আইনটি বিচার করতে গেলে আইন নং ৩৯ (স্টাম্পড) ও এর সঙ্গে ভাল করে পড়া ও অনুধাবন করা উচিত। এক্ষেত্রে তিনটি বিশেষ অবস্থার বিষয় স্ট্রাইকার প্রান্তের আম্পায়ারকেই বিবেচনা করা দরকার।
উইকেটরক্ষক প্রথমত যতক্ষণ না বোলার বল করছেন তিনি উইকেটের পিছনে থাকবেন এবং তাঁর দেহের কোন অংশ যেন উইকেটের লাইন অতিক্রম হয়ে সামনে না যায়। উইকেটরক্ষক বলটি উইকেটের সামনে থেকে ফিল্ড করতে পারেন যদি বলটি স্ট্রাইকার ব্যাটে বা পোশাক বা উপকরণে স্পর্শ করে থাকে এবং তবেই এক্ষেত্রে উইকেটরক্ষক তাঁকে স্টাম্পড আউট করতে সক্ষম হবেন। যদি বোলার প্রান্তের আম্পায়ার বোলারকে নো বল ডাকেন তখন উইকেটরক্ষক স্ট্রাইকারকে রান আউট করতে পারবেন না, যতক্ষণ না তিনি কোন রান নেবার চেষ্টা করছেন।
স্ট্রাইকার যদি পপিং ক্রীজের সামনে থেকে খেলেন তার মানে এই নয় যে তিনি রান নেবার চেষ্টা করছেন, এই ক্ষেত্রে বিচার করতে হবে স্ট্রাইকারের খেলার ভাব ভঙ্গী দেখে, যখনই আম্পায়ার তাঁকে রান আউট বা স্টাম্পড আউট দেবেন। আম্পায়ারের উচিত সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়ে স্কোরারকে জানিয়ে দেয়া।
উইকেটরক্ষক যদি স্টাম্পের লাইনের ভিতরে হাত নিয়ে স্টাম্প করেন তবে সেটি স্ট্রাইকার প্রান্তের আম্পায়ারের দ্বারা অগ্রাহ্য হবে। স্ট্রাইকার প্রান্তের আম্পায়ারকে খুবই সজাগ থাকতে হবে, তিনি যেন উইকেটরক্ষক সংগত বা অসংগতভাবে বল ধরা বিচার করেন ও রান আউট বা স্টাম্পড আউট সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে দেন।
প্রত্যেক আম্পায়ার এই আইনটি পড়ার সময় আরও দুইটি আইনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যেমন আইন নং ৩৪১ (হিট দি বল টোয়াইস) এবং আইন নং-৩৭ (অকন্ট্রাকটিং দি ফিল্ড)। আরো দেখার বিষয় আছে, যেন উইকেটরক্ষক কোন মতেই স্ট্রাইকারের উইকেট রক্ষা করার অধিকারে কোন বাধা না করেন। অনেক সময় দেখা যায় যে উইকেটরক্ষক একটি ব্যাট দিয়ে খেলা বল স্টাম্পের পিছনে ক্যাচ করছেন এবং তিনি আবেদনও করছেন।
কিন্তু বোলার প্রান্তের আম্পায়ার সেটি নাকচ করেন এই দেখে উইকেটরক্ষক আবার স্ট্রাইকারকে পপিং ক্রীজে থাকতে দেখে স্টাম্পড আউট করেন, ট্রাইকার প্রান্তের আম্পায়ারের এখন প্রধান কর্তব্য ও নিশ্চিত হওয়া বলটি আগে ব্যাটে লেগে ছিল কিনা? তা হলে যদি স্টাম্পের লাইনের আগে বলটি ধরে থাকেন তাতে এই আইনে আবেদনটি অগ্রাহ্য করতে বাধ্য।
যদি উইকেটরক্ষক আইন লঙ্ঘন করেন, যেমন স্ট্রাইকারের বল খেলার অধিকারকে তাঁর উইকেট রক্ষা করার জন্য তবে আইন নং ৩৩ (হ্যান্ডেল দ্যা বল) ৩৪ (হিট দ্যা বল টোয়াইস) ৩৭ (অবস্ট্রাকটিং দ্যা ফিল্ড) ৩৮ (রান আউট) গুলি ছাড়া স্ট্রাইকার আউট হবে না।
আরও দেখুনঃ