ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১ । আউট ক্যাচ

যদি কোন বল স্ট্রাইকারের ব্যাট বা তাঁর কবজির নিচের হাত বা গ্লাভস যা দিয়ে। তিনি ব্যাটটি ধরে আছেন, তা স্পর্শ করে এবং পরে সেটি মাটি ছোঁয়ার আগেই কোন ফিল্ডসম্যান ধরে ফেলেন তবে তিনি ক্যাচ আউট হবেন।

২। একটি সংগত ক্যাচ

একটি ক্যাচ ঠিক ন্যায়সংগতভাবে ধরা হয়েছে বলে গণ্য করা হবে, যদিঃ

(ক)ফিল্ডসম্যানের ক্যাচ ধরার কাজের সময় সমস্তক্ষণই খেলার মাঠের ভিতরে থাকেন।

(অ) ফিল্ডসম্যান প্রথম বলে যখন হাত শুরু হয় এবং যখন তিনি দুটি বিষয়েই খেলার মাঠের মধ্যে থেকে এবং বলটির ওপর পুনরায় নিষ্পত্তির জন্য সম্পূর্ণ আয়ত্তে রাখেন তখনই এটি শেষ হবে।

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
ফিল্ডারের হাত মাটিতে স্পর্শ করেছে, কিন্তু বলটি মাটি স্পর্শ করে নাই এটি একটি সংগত ক্যাচ।

 

 

(আ) একজন ফিল্ডসম্যান খেলার মাঠের মধ্যে থাকার জন্য তাঁর দেহের কোন অংশ যেন বাউন্ডারি লাইনের উপর বা তার বাইরের ভূমি স্পর্শ না করে। যখন এই বাউন্ডারি সীমানা ফেন্স বা বোর্ডের দ্বারা চিহ্নিত থাকে তখন সেই ফিল্ডসম্যান তাঁর দেহের কোন অংশ বাউন্ডারি ফেন্সের বা বোর্ডের উপর ভূমিস্থ না করেন। তবে ক্যাচটি সম্পূর্ণ ঠিকভাবে ধরতে হলে তিনি সেই বাউন্ডারি ফেন্স বা বোর্ড স্পর্শ করতে পারেন হেলান দিতে পারেন।

(খ) বলটিকে ফিল্ডসম্যান দেহের সাথে আঁকড়ে ধরেন অথবা হঠাৎ তাঁর পোশাকের মধ্যে আটকে বা উইকেটরক্ষকের ক্ষেত্রে তাঁর প্যাডের ভিতর ঢুকে যায়। যা হোক বলটি যদি কোন ফিল্ডসম্যানের রক্ষার জন্য পরণের হেলমেটে আবদ্ধ হয় তাহলে স্ট্রাইকার ক্যাচ আউট হবেন না। সে ক্ষেত্রে আম্পায়ার ডেড বল ডাকবেন ও সংকেত দেবেন।

(গ) বলটি যদি ভূমি স্পর্শ না করে তাহলে বল ধরা হাতটি ভূমি স্পর্শ করলেও তা ক্যাচ বলে গণ্য হবে।

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
ফিল্ডার বাউন্ডারি ফেন্স বা বোর্ডের ওপর হাত পিছনে বাড়িয়ে ক্যাচটি ধরছেন। এটি আইন অনুযায়ী সংগত ও স্ট্রাইকার আউট হবেন।

 

ফিল্ডার বাউন্ডারি ফেন্স বা বোর্ডের ওপর হাত পিছনে বাড়িয়ে ক্যাচটি ধরছেন। এটি আইন অনুযায়ী সংগত ও স্ট্রাইকার আউট হবেন।

(ঘ) স্ট্রাইকার আইন সংগতভাবে দ্বিতীয়বার খেলার পর ফিল্ডসম্যান ক্যাচ ধরেন যদি না বলটি যখন প্রথমবার খেলার পর কোন রকমে ভূমি স্পর্শ করে থাকে।

(ঙ) বলটি আম্পায়ারকে, অন্য এক ফিল্ডসম্যানকে বা অপর ব্যাটসম্যানকে স্পর্শ করার পর কোন ফিল্ডসম্যান সেটি ক্যাচ ধরেন তাহলে আউট হবে। যাহোক ট্রাইকার ক্যাচ আউট হবেন না, যদি একটি বল ফিল্ডসম্যানের রক্ষার জন্য পরণের হেলমেট স্পর্শ করে থাকে।

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
একজন ফিল্ডার প্রথমে ক্যাচটি ভালভাবে ধরতে না পেরে শূন্যে তুলে দেন এবং নিজে বাউগারী লাইন অতিক্রম করে চলে যান। আর একজন ফিল্ডার বাউন্ডারী লাইনের ভিতরে ছিলেন, তিনি ক্যাচটি ধরেন। স্ট্রাইকার এক্ষেত্রে আউট হবে।

 

(চ) খেলার মাঠের সীমানার ভিতর কোন প্রতিবন্ধকে লাগার পর ক্যাচ ধরলে সেটি গণ্য হবে। তবে যদি না আগে থেকেই সেই প্রতিবন্ধকটি বাউন্ডারি হিসাবে গণ্য করার জন্য চুক্তি হয়ে থাকে।

৩। স্কোরিং রান

যদি কোন স্ট্রাইকার ক্যাচ আউট হন কোন রান স্কোরে অন্তর্ভুক্ত হবে না।

টীকা

(অ) একটি ক্যাচ করার চেষ্টা থেকে রান সংগ্রহ

যখন একজন ফিল্ডসম্যান বল নিয়ে বাউন্ডারি চিহ্নিত লাইনের উপর তাঁর দেহের অংশ দিয়ে স্পর্শ বা ভূমিস্থ বা তা অতিক্রম করেন তখন ৬ রান স্কোরে যুক্ত হবে।

(আ) বলটি তখনও খেলার মেয়াদে রয়েছে।

যদি কোন ফিল্ডসম্যান বাউন্ডারি অতিক্রম করার আগে বলটি ছেড়ে দেন তা হলে বলটি খেলার মেয়াদে আছে বলে গণ্য হবে এবং সেটা অন্য একজন ফিল্ডসম্যান ক্যাচ করতে পারবেন। তবে যদি আগের ফিল্ডসম্যান পুনরায় খেলার মাঠে ফিরে এসে বলটিতে হাত লাগান, সে ক্ষেত্রে ক্যাচটি করা যাবে না।

জ্ঞাতব্য বিষয়

এই আইনের ২ নং উপধারার মাধ্যমে একজন ফিল্ডসম্যান যে কোন সংগত ক্যাচ ধরতে পারবে। ক্যাচ ধরা সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা তার কোন সময় সীমাবদ্ধ নেই। যেমন কোন একজন ফিল্ডার বলটি জাগলিং করতে করতে পরে ঠিকমত ধরতে সক্ষম হয়ে থাকেন। সব সময়ে ফিল্ডারকে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন বলটি ক্যাচ ধরার পর পরবর্তী নিষ্পত্তির জন্য সেটি তাঁর হাতে পূর্ণ আয়ত্তের মধ্যেই থাকে। মাঠে এই সকল ঘটনার বিচারের জন্য আম্পায়ারই শ্রেষ্ঠ বিচারক এবং তিনি সবদিক দিয়ে ঘটনাটি বিচার করে তবেই স্ট্রাইকারকে আউট বলে ঘোষণা করবেন।

এর উদাহরণ স্বরূপ যখন দুজন ফিল্ডার স্লিপে ফিল্ড করার সময় কয়েকবার জাগলিং করার পর একটি ক্যাচ ধরে থাকেন তখন আম্পায়ারকে ভালভাবে লক্ষ্য করতে হবে যে কখন ও কিভাবে ক্যাচটি সম্পূর্ণ হচ্ছে। আবার যখন কোন ডানহাতি স্ট্রাইকারের কব্জির নিচে ব্যাট ধরা হাতের গ্লাভসে বলটি লাগে বা কজির উপরের অংশে লাগে অথবা আদৌ লাগেনি সেই বিষয়টি আম্পায়ারদের পক্ষে বিচার করা বেশ জটিল সমস্যা হয়ে পড়ে। প্রথমক্ষেত্রে বল ব্যাট ধরা গ্লাভসে (কজির নিচের অংশে) লাগলে স্ট্রাইকার আউট হবেন কিন্তু কজি ছুঁয়ে এলে তিনি আউট হবেন না।

তারপর যদি কোন ম্যাটিং উইকেটে বল করেন তখন আম্পায়ারদের ম্যাটিং-এ ব্যাটের ঘর্ষণের শব্দ এবং ব্যাটে বল লাগার শব্দের পার্থক্য সম্বন্ধে সচেতন হয়। এক্ষেত্রে উইকেটরক্ষকের দ্বারা ধৃত ক্যাচ উইকেটের পিছনে নেয়া ও তৎক্ষণাৎ বোলার প্রান্তের আম্পায়ারের সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়া সময়ে সময়ে কঠিন হয়ে পড়ে। এর জন্য আম্পায়ারের প্রখর দৃষ্টি শক্তি ও শ্রবণ শক্তি দুটিরই অধিকারী হওয়া প্রয়োজন এবং তাঁকে দ্বিধাগ্রস্থ হলে চলবে না।

উপরন্তু তাঁর মনের একাগ্রতা হওয়া উচিত যাতে তিনি ঠিক বল (বলের গতি), স্ট্রাইকারের ব্যাট ও প্যাডের অবস্থান কোথায় ছিল ও তিনি কীভাবে খেলতে আরম্ভ করেছেন ও শেষ করেছেন এবং বলটি তাঁর ব্যাট ধরা হাত ও প্রাভসের কোথায় লেগেছিল অর্থাৎ কব্জির উপরের অংশে লেগেছে কিনা না নিচে লাগার পর বলের গতি বদল এবং উইকেটরক্ষকের অবস্থান প্রভৃতি নিয়মগুলি লক্ষ্য রাখতে হবে, ও সেই অনুযায়ী তাকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।

অভিজ্ঞ আম্পায়াররা মনে করেন যে বল ব্যাটে বা প্যাডে লাগার শব্দের পার্থক্য আছে ও এইগুলির জন্য প্রচুর আম্পায়ারিং অভ্যাস করে পরে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় । আবার ব্যাটসম্যানের ব্যাট যদি পীচের উপর স্ট্রোক নেবার সময়ে গথে যায়, তাহলে সেই আওয়াজ সম্বন্ধে আম্পায়ারকেও ওয়াকিবহাল হতে হবে এবং সেই সুক্ষ্ম শব্দগুলি শোনার জন্য তাঁর কেবল অভ্যাসের প্রয়োজন। আর সেজন্যেই বলা হয় আম্পায়ারদের কেবল শোনার উপর নয় দেখার উপরও বিশ্বাস করা উচিত।

স্ট্রাইকারের গ্লাভসে লাগা কব্জির নিচে বা তার উপর বাহুতে এসব বিষয়গুলি অত্যন্ত তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখা হয়ে থাকে। প্রত্যেক আম্পায়ারই জানেন যে গ্লাভস পরিহিত ব্যাট ধরা হাতে বল লেগে ক্যাচ ধরলে ও আবেদন হলেই ব্যাটসম্যান ক্যাচ আউট হবেন।

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
ফিল্ডার এক্ষেত্রে বলটি কোন রকমে হাতে স্পর্শ করেন ও শূন্যে তুলে দিয়ে বাউণ্ডারী লাইনের বাইরে চলে যান। তিনি আবার বাউণ্ডারীর ভিতরে ফিরে আসেন ও ক্যাচটি ধরেন। ট্রাইকার আউট হবেন না।

 

বাতাস বোলারের দিক থেকে উইকেটরক্ষকের দিকে প্রবাহিত হলে বল ব্যাটে লাগার শব্দ অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ হয়ে যায়। বিশেষতঃ যদি একটি বলের সেলাই (সীম) ব্যাট স্পর্শ করে তখন খুবই সূক্ষ্ম আওয়াজের উৎপত্তি হয়। সে ক্ষেত্রে তখন আম্পায়ারের কেবলমাত্র শ্রবণ শক্তির উপর নির্ভর না করাই ভাল এবং তার পরিবর্তে দৃষ্টি শক্তির দ্বারাই গতি বদল বিচার করে তাঁর সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়া উচিত।

যখনই কোন কঠিন ক্যাচ স্ট্রাইকারের দেহের বা ব্যাটের স্পর্শে ওঠে এবং সেই সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত দিতে বোলার প্রান্তের আম্পায়ারের দেখার অসুবিধা হয় বা বোলারের ফলোথ্রর জন্য আম্পায়ারের দৃষ্টিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখনই তার সতীর্থ স্ট্রাইকার প্রান্তের আম্পায়ারের সঙ্গে সেই ঘটনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়া একান্ত কর্তব্য। এক্ষেত্রে সাধারণতঃ আম্পায়াররা পূর্বনির্ধারিত গোপন ইঙ্গিতের মাধ্যমে পরস্পরের মতামত গ্রহণ করতে পারেন এবং যদি (এই আলোচনার) পরও কোন সন্দেহ থেকে যায়, তাহলে বোলার প্রান্তের আম্পায়ারের ব্যাটসম্যানের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। একজন ফিল্ডসম্যান ক্যাচ ধরাকালীন, (তিনি) মাঠে সেই ক্যাচ ধরার কাজ শুরু করবেন এবং মাঠের সীমানার ভিতরেই এই আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ করবেন।

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

(ক) ফিল্ডার এক পা বাউন্ডারির বাইরে রেখে বলটি ক্যাচ করছেন। স্ট্রাইকার ক্যাচ আউট হবে না। ৬ রান হবে।

(খ) ফিল্ডার সরাসরি ক্যাচ ধরেছেন, স্ট্রাইকার ক্যাচ আউট হবেন।

(গ) এক্ষেত্রে বলটি ফিল্ডারের হাতে স্পর্শ করে বাউন্ডারির ওপর দিয়ে মাটিতে পড়ে। ট্রাইকার আউট নয়। ওভার বাউন্ডারি
যদি কোন ফিল্ডার একটি ক্যাচ নিতে গিয়ে বলে হাত লাগাবার পর মাঠের বাউন্ডারি সীমানা অতিক্রম করার আগেই সেটি পরিত্যাগ করেন, এবং এই অবস্থায় বলটি মাটিতে স্পর্শ করার আগেই আর একজন ফিল্ডার যদি সেটিকে লুফে নেন, তবে সেটি সঙ্গত ক্যাচ বলে গণ্য হবে। কিন্তু প্রথমোক্ত ফিল্ডার যদি প্রথমবার ক্যাচটি পরিত্যাগ করার পর আবার মাঠে ফিরে এসে সেটি ধরেন তবে সেটি আর সঙ্গত ক্যাচ বলে গণ্য হবে না। কিন্তু বলটির খেলার মেয়াদ তখনও থাকবে।

আবার যদি কোন ফিল্ডসম্যান একটি ক্যাচ ধরার পর বলটি ধরে বাউন্ডারি সীমানার উপর তাঁর দেহের কোন অংশ স্পর্শ করেন বা সীমানা অতিক্রম করেন, তাহলে স্ট্রাইকার ক্যাচ আউট হবেন না উপরন্তু তাঁকে বরাদ্দ ৬ রান দেয়া হবে । আম্পায়াররা, কোন পড়ি যদি মাঠের সীমানা হিসাবে ব্যবহার হয়, সে বিষয়ে সর্ব সতর্ক থাকবেন।

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক. এক্ষেত্রে স্ট্রাইকার সরাসরি বলটি হিট করেছেন এবং ক্যাচটি একজন ফিল্ডার ধরেছেন- স্ট্রাইকার আউট হবেন

খ. ফিল্ডারটি ক্যাচ ধরে বলটি নিয়ে বাউণ্ডারির বাইরে চলে গেছেন। স্ট্রাইকার আউট হবেন না। ওভার বাউন্ডারি ৬ রান দেওয়া হবে

সাধারণত একটি প্রথম শ্রেণীর মাঠের সীমানা পীচের কেন্দ্র থেকে ৬০ থেকে ৭৫ গজের মধ্যে হয়ে থাকে এবং এই দূরত্বের ব্যবধান থেকে বোলার প্রান্তের আম্পায়ারকে জটিল ক্যাচ আউটের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে এটি একটি শক্ত ব্যাপার।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে একজন ফিল্ডার বাউন্ডারি সীমানার ভিতর কোন ক্যাচ সম্পূর্ণ করেছেন কিনা বা হাতে বল নিয়ে সীমানা অতিক্রম করেছেন কিনা তা বিচার করা অত্যন্ত কঠিন। এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ থাকলে সংশ্লিষ্ট ফিল্ডারের উপর আম্পায়ারকে খানিকটা নির্ভর করতেই হয়। তবে আম্পায়ার তাঁর সিদ্ধান্তে স্থিরভাবে নিশ্চিত হলে প্রথম ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান আউট হবেন এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান নট আউট হবেন ও ৬ রান স্ট্রাইকারের রানের সঙ্গে যোগ হবে। এটি ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও কোন ক্যাচ ভুল হলে দলের রান সংখ্যা বিঘ্নিত হবে এবং ফলাফলের উপর প্রভাব বিস্তার করবে ।

এও দেখা গেছে কোন কোন ঘটনায় ফিল্ডারের সততার জন্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দেয়া কোন অসুবিধা হয় না এবং বৈধ উপায়ে ক্যাচটি ধরা হয়েছে কিনা তাঁর স্বীকৃতিতেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আজকাল বড় ম্যাচে টিভি রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন। ফলে বিষয়টির নিষ্পত্তি সহজ হয়েছে।

সমস্ত ক্রিকেট খেলোয়াড় ও আম্পায়ারদের জানা উচিত যদি কোন ব্যাটসম্যান ব্যাট নিয়ে একটি বল খেলার পর সেটি যদি ফিল্ডারের পোশাকে বা উইকেটরক্ষকের প্যাডে বা পোশাকে আটকে যায় তা হলে তিনি ক্যাচ আউট হবেন। কিন্তু এর ব্যতিক্রম ঘটে যখন বলটি ব্যাটসম্যানের প্যাডে ও পোশাকে বা আম্পায়ারের পোশাকে আটকে যায় । তখন বলটি ডেড বল বলে গণ্য হবে (আইন নং ২৩) ক্যাচ আউট সম্বন্ধে আরও কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ আতব্য বিষয় রয়েছে, সেগুলির সম্পর্কে আম্পায়ারদের বিশেষভাবে ওয়াকিবহাল থাকা উচিত।

কোন বলকে ব্যাটসম্যান হিট করুক বা না করুক যদি সেটা ফিল্ডার, উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যানের হেলমেটে আটকে যায় তবে বলটি ডেড বলে গণ্য হবে এবং সেই বলটির ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতা সাময়িক বা নুন্যতম সময়ের জন্যও ঘটতে পারে। আবার যেমন একজন ফিল্ডার স্ট্রাইকার বলটি উঁচু করে মারার পর ননস্ট্রাইকার যখন

 

ক্রিকেটের ক্যাচ আউট । ক্রিকেট খেলার ৩২ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
ট্রাইকার একটি বল হিট করেছেন সেইটি ননস্ট্রাইকারের হেলমেটে লেগে ক্যাচ ওঠে এমত অবস্থায় একজন ফিল্ডার সেটি ক্যাচ করেন। স্ট্রাইকার আউট হবেন।

 

তাঁর ক্রীজের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং সেই বলটি তিনি ক্যাচ না ধরে তাঁর উইকেটে লাগালে বেলের পতন হয় ও পরবর্তীকালে যদি সে বলটিই তখনও মাটিতে না স্পর্শ করে একটু দূরে আর একজন ফিল্ডারের কাছে যায় এবং তিনি তখন কাছে করেন, সে ক্ষেত্রে আবেদন হবার পর আম্পায়ার এই আইনে স্ট্রাইকারকে ক্যাচ আউটর দেবেন।

এই অবস্থায় ননস্ট্রাইকারকে রান আউট দেয়া হবে না। এর কারণ সমতার জনা এটা ঠিক যে ননস্ট্রাইকারকে শাস্তি দেয়া ঠিক হবে না। উপরন্তু বোলার তাঁর উইকে পাবার কৃতিত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না। আবার যতক্ষণ না আম্পায়ার ননস্ট্রাইকারের রান আউট আবেদন গ্রাহা করছেন, ততক্ষণ বলটি ডেড হবে না। বোলারের ক্যাচ আবেদন দ্বিতীয় ফিল্ডার ধরার পর এই ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে।

যদি কোন বল ব্যাটসম্যান খেলার পর ফিল্ডসম্যান বা ননস্ট্রাইকারের বা আম্পায়ারের দেহে লাগে তাতে বলটি ডেড বলে গণ্য হয় না ও খেলার মধ্যেই থাকে ও কোন ফিল্ডার বলটি প্রতিহত করার পর ক্যাচ ধরেন, তবে স্ট্রাইকার ক্যাচ আউট হবেন। আবার যদি কোন বল স্ট্রাইকার খেলার পর ফিল্ডারের হেলমেটে লেগে ঠিকরিয়ে আসে তখন তিনি ক্যাচ আউট হবেন না। তবে এর খেলার মেয়াদ থাকার জন্য যে কোন ব্যাটসম্যান রান আউট হতে পারেন। তবে আম্পায়ার ও খেলোয়াড়দের জেনে রাখা দরকার যে স্ট্রাইকার একটি বল খেলার পর সেটি যদি ননস্ট্রাইকারের হেলমেটে লাগে ও পরক্ষণে কোন এক ফিল্ডার সেই ক্যাচটি ধরেন তবে স্ট্রাইকার ক্যাচ আউট হবেন ।

যদি কোন আবেদনের জন্য এক আম্পায়ার অপর একজন আম্পায়ারকে তাঁর মতামতের জন্য স্মরণ করেন, সেটিকে সুষ্ঠুভাবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি দেয়া উচিত। আবার এও হয়ে থাকে, কোন উইকেটরক্ষকের আবেদনের ভিত্তিকে দুইজন আম্পায়ারই তর্জনীর দ্বারা আউট ঘোষণা করে থাকেন। প্রথমটি স্ট্রাইকার ক্যাচ আউট এবং দ্বিতীয়টি তাঁর স্টাম্পড আউটের জন্য। এক্ষেত্রে তিনি ক্যাচ আউটই হবেন ও বোলার প্রান্তের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই গ্রহণযোগ্য হবে।

এমন কি যদি স্ট্রাইকার একটি বল ব্যাকফুটে খেলেন এবং তাঁর ব্যাট ও হেলমেটে লেগে সেটি ক্যাচ ওঠে ও একজন ফিল্ডার ধরেন তবে তিনি ক্যাচ আউট হবেন। যদি প্রথমে স্ট্রাইকার একটি বল প্যাডে খেলেন ও পরে সূক্ষ্মভাবে সেটি ব্যাটে লাগে ও নিকটবর্তী ফিল্ডার ক্যাচ ধরেন, তবে তিনি আউট হবেন। এসব ক্ষেত্রে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দেয়া খুবই কষ্টকর, কারণ এই আবেদন ফিল্ডারদের উচ্চস্বরেই হয়ে থাকে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment