ক্রিকেটের ফলাফল । ক্রিকেট খেলার ২১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

ক্রিকেটের ফলাফল । ক্রিকেট খেলার ২১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেটের ফলাফল । ক্রিকেট খেলার ২১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেটের ফলাফল । ক্রিকেট খেলার ২১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১। জয়-দুই ইনিংসের ম্যাচে

যে দল, বিপক্ষ দলের দুটি সম্পূর্ণ ইনিংসে সংগৃহীত মোট রানের চেয়ে সমষ্টিগত ভাবে অধিক রান সংগ্রহ করে সেই দলই জয়ী হবে।

২। জয়-এক ইনিংসের ম্যাচে

(অ) যদি না এক ইনিংস ম্যাচে খেলা সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে থাকে উপরিউল্লিখিত ১নং উপধারা অনুসারে তা প্রথম ইনিংসের ফলাফলে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। কিন্তু আইন নং ১২৫ দেখুন (প্রতি দলের এক ইনিংসের পর খেলা চালু রাখা) ।

(আ) প্রতি দলের একটি করে ইনিংস সমাপ্ত হবার পরও যদি অধিনায়কদ্বয় খেলা চালিয়ে যাবার জন্য আইন ১২.৫ (প্রতি দলের এক ইনিংসের পর খেলা চালু রাখা) অনুযায়ী চুক্তি করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসের রানের উপরও কোন ফলাফল প্রাপ্ত না হয়। তবে প্রথম ইনিংসের রানের ওপর ফলাফল ধার্য হবে।

৩। আম্পায়ারদের কোন ম্যাচ মঞ্জুর করা

(অ) একটি দল পরাজিত বলে গণ্য হবে, যদি খেলা চলার সময় সেই দল খেলতে অসম্মত হয় বা হার স্বীকার করে এবং এক্ষেত্রে তখনই আম্পায়ারদ্বয় বিপক্ষ দলের পক্ষে ম্যাচটির রায় দেবেন।

(আ) খেলা চলাকালীন যদি উইকেটে উপস্থিত ব্যাটসম্যানদ্বয় বা ফিল্ডিং দল কখনও আম্পায়ারের সাথে বিনা চুক্তিতে মাঠ ত্যাগ করে তখন ঐ দল খেলতে নারাজ হিসাবে প্রতিপক্ষ হবে এবং আবেদনক্রমে আম্পায়ারদ্বয় উপরোক্ত (অ) অনুযায়ী ম্যাচটি অপর দলের পক্ষে রায় দেবেন।

৪ । টাই

খেলা শেষে দুই দলের স্কোর যখন সমান হয়, অবশ্যই যদি শেষ ব্যাটিং দলের ইনিংস সম্পূর্ণ হয়ে থাকে তখনই ম্যাচটির ফলাফল “টাই” বলে গণ্য হবে। একদিনের খেলায় দুই দলের সমাপ্ত ইনিংসের স্কোর যদি সমান হয় তবে “টাই” হবে, নির্ধারণের জন্য ম্যাচটি যদি সমাপ্তির জন্য আরও চালিয়ে যাওয়া না হয়, তবেই ।

৫। কোন একটি ড্র

উপরোক্ত ১,২,৩ এবং ৪ ধারা অনুযায়ী কোন ম্যাচ ফলাফলে নির্ধারিত না হলে অমীমাংসিত হিসাবে গণ্য হবে।

 

ক্রিকেটের ফলাফল । ক্রিকেট খেলার ২১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

৬। ফলাফলের শুদ্ধতা

স্কোরের শুদ্ধতার জন্য যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব আম্পায়ারদের উপর থাকবে ৷ আইন নং ৩.১৪ দেখুন (স্কোরের শুদ্ধতা)। যদি কখনও ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে এই ভেবে আম্পায়ারদ্বয় ও খেলোয়াড়রা মাঠ ত্যাগ করে থাকেন এবং এই অবস্থায় যদি আম্পায়ারদ্বয় স্থির করেন যে স্কোর লিপিবদ্ধ করতে ভুল হয়েছে এবং তার জন্য ফলাফলের হেরফের ঘটছে, তবে যদি না খেলার সময় শেষ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে তারা পুনরায় খেলা শুরু করার এবং চুক্তি অনুযায়ী খেলা শেষ সময় পর্যন্ত চালিয়ে যাবার আদেশ দেবেন । অবশ্য যদি ফলাফলে আগেই না পৌঁছে গিয়ে থাকে।

যদি আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন যে কোন ভুল হয়ে গেছে এবং সমাপ্তির সময়ও হয়ে গেছে, আম্পায়াররা তৎক্ষণাৎ উভয় অধিনায়ককে, স্কোরের এবং দরকার হলে ফলাফলের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবার জন্য জানাবেন।

৭। ফলাফল গ্রহণ

স্কোরারদের দ্বারা ঘোষিত এবং আম্পায়ারদের দ্বারা অনুমোদিত স্কোর গ্রহণ করার ক্ষেত্রে উভয় দলের অধিনায়ক ফলাফল গ্রহণ করবেন।

টীকাঃ

(অ) ফলাফলের বিবৃতি

শেষে ব্যাট করে জয়ী দলের ক্ষেত্রে যে কটি উইকেট পতনের বাকি থাকবে সেই ক্ষেত্র ব্যতীত কোন একটা শেষ হয়ে যাওয়া ম্যাচে রানের দ্বারা জয় ঘোষণা করা হয়।

(আ) জয়সূচক হিট বা অতিরিক্ত

১ও ২ নং উপরোক্ত ধারা অনুযায়ী যখনই কোন দল জয়লাভ করেছে তখনই আম্পায়ার টাইম ডাকবেন এবং ম্যাচটি শেষ হয়ে যাবে। এরপর যা ঘটবে, কেবল স্কোরিং-এর ভুলের ফল বাদে, উপরের ৬ ধারা দেখুন, তা ম্যাচের অংশ বলে গণ্য করা যাবে না।

যদি জয়সূচক বাউন্ডারিটি ব্যাটের দ্বারা বা অতিরিক্ত রানের দ্বারা হয় এবং ম্যাচটি জিততে যে কটি রান দরকার ও বাউন্ডারির দ্বারা তা অতিক্রম করে যায় তখন ঐ রানগুলি দলের মোট রানের সাথে যুক্ত হবে ও যদি ব্যাটের দ্বারা খেলা হয় তবে স্ট্রাইকাররের স্কোরে লিপিবদ্ধ হবে।

 

ক্রিকেটের ফলাফল । ক্রিকেট খেলার ২১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

জ্ঞাতব্য বিষয়

খেলার নির্ভুল স্কোরের জন্য আম্পায়ার ও স্কোরারের দায়িত্ব ১৯৮০ (কোড) প্রবর্তন হওয়াতে অনেক বেড়ে গেছে। কেবল দায়িত্ব নয় জটিলও হয়ে গেছে। ৩.১৩ নং আইন অনুযায়ী আম্পায়ারদের পরিষ্কারভাবে ডাকা ও তার সাথে সংকেত দেয়া এবং তৎক্ষণাৎ সরাসরি স্কোরারদের প্রাপ্তি স্বীকার করাই নির্ভুল স্কোরিং-এর একটি অঙ্গ। এটি না হলে নির্ভুল বা শুদ্ধ ফলাফল লিপিবদ্ধ করা কখনই সম্ভব নয়। এই আইনের ৬ নং উপধারা অনুযায়ী শুদ্ধ স্কোরিং বজায় রাখা আম্পায়ারদের দায়িত্ব। আইন নং ৩.১৪ এই বিষয়ে দেখুন। ভাল স্কোরিং- এর আর একটি হলো, সর্ট রান, পেনাল্টি ও ওভার থ্রোগুলি ঠিকভাবে দেখে নেয়া ও লিপিবন্ধ হয়েছে কিনা? দুই ইনিংসের ম্যাচে ও এক ইনিংসের ক্রিকেট খেলার আইন

ম্যাচে জয়-পরাজয় এই আইনের ১ ও ২নং উপধারায় দেয়া আছে। কখনো কখনো দেখা যায় কোন দল যদি খেলা চলার সময় খেলতে অসম্মতি প্রকাশ করে বা ম্যাচে তাদের হার হয়েছে বলে স্বীকার করে নেয় তখন সেই অবস্থায় আম্পায়ারদ্বয় অপর পক্ষকে জয়ী বলে সিদ্ধান্ত দেবেন।

আইন ১২.৫ অনুযায়ী ( দুই দলের এক ইনিংস খেলার পর সময় থাকলে খেলা চলবে কিনা) যদি দেখা যায় কোন ফলাফলের আশায় খেলা চালিয়ে যাবার প্রয়োজন বা সময় আছে, তাহলে দুই অধিনায়ক একমত হয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলা শুরু করবেন। এমন অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ফলাফল পাওয়া গেছে। আবার আরও দেখা গেছে যে ভুল স্কোর লেখার ফলে ফলাফল বদলাতে হয়। কারণ ফলাফলটির ব্যবধান এত কম যে সেক্ষেত্রে নিখুঁত স্কোরিং লিপিবদ্ধ করা বিশেষ প্রয়োজন ।।

স্কোরিং এ ভুল দেখা দিলে ও প্রয়োজন পড়লে আম্পায়াররা অবশিষ্ট সময় থাকলে শেষ সময় পৌঁছায় বা আগেই ফলাফল পাওয়া হয়ে যায়। তখনই নির্ভুল স্কোর দেখে আম্পায়াররা সঠিক ফলাফলের সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু স্কোরিং এ ভুল যদি লেখা সমাপ্তির। পর ধরা পড়ে ও তার জন্য মারাত্মকভাবে ফলাফলে ব্যাঘাত হয়ে থাকে, তখন আম্পায়ারদ্বয় সেই স্কোর ও তার ফলাফল ভালভাবে পরীক্ষা করে শুদ্ধ করবেন ও অধিনায়কদের জানাবেন। সেই অবস্থায় ঐ শুদ্ধ স্কোর ও ফলাফল দুই অধিনায়কদের গ্রহণ করতেই হবে।

 

ক্রিকেটের ফলাফল । ক্রিকেট খেলার ২১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

একটি ম্যাচ শেষ হবার পর তার ফলাফল যদি সমান রান হয় তাকে ‘টাই’ বলে বর্ণনা করা হয়। এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত যে ম্যাচে শেষের ব্যাটিং দলকে তার ইনিংস = সম্পূর্ণ করতে হবে। যখনই বোলার প্রান্তের আম্পায়ার দেখবেন কোন দল জয়ী হয়েছে তখন স্কোরারের কাছ থেকে কোনরূপ সঙ্কেতের দ্বারা জেনে এবং সন্তুষ্ট হয়ে ও সবদিক বিচার করে তিনি “টাইম” ডাকবেন এবং তাঁর উইকেট থেকে বেল তুলে নেবেন ও তারপরই সেই ম্যাচটির সমাপ্তি ঘটবে।

আবার দু’দলের রান সংখ্যা সমান হয়ে যায় এবং অস্তিমলগ্নে খেলা চলাকালীন একটি ‘নো বল’ বা ‘ওয়াইড বল’ আম্পায়ার ডাকেন, তখনই ব্যাটিং দল ম্যাচটি জিতে যাবে। কিন্তু যদি স্ট্রাইকার একটি বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি মারেন ও তাঁর দলকে জয়ী হবার সাহায্য করেন, তাহলে সমস্ত কৃত রানগুলি দলের স্কোরে লিপিবদ্ধ হবে এবং ইইিকারের রানে লেখা হবে। তবে যদি বাউন্ডারিটি অতিরিক্তের সাহায্যে হয়ে থাকে, তাহলে সেটি অতিরিক্ত বলে গণ্য হবে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদ্বয় দৌড়িয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত রান সংগ্রহ করবেন সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রানটুকুই কেবল লিপিবদ্ধ হবে।

এই আইনের অধীনে কোন স্কোর ও ফলাফল শুদ্ধ করা বা শুদ্ধতা বজায় রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে আম্পায়ারদের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।

Google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

ম্যাচের শেষ ঘন্টায় কমপক্ষে ২০টি বাধ্যতামূলক ৬ বলের অথবা ১৫টি ৮ বলের ওভার শুরু হলে আইন নং ১৭.৬ এবং ১৭৭ অনুযায়ী তখন শুদ্ধ স্কোর ও ফলাফল নিরূপণ করা মাঝে মাঝে জটিল হয়ে পড়ে। তার জন্য আম্পায়ার স্কোরারদের যথাযথ উপদেশ দেবেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment