ক্রিকেট খেলার বিরতি । ক্রিকেট খেলার ১৬ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

ক্রিকেট খেলার বিরতি । ক্রিকেট খেলার ১৬ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেট খেলার বিরতি । ক্রিকেট খেলার ১৬ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেট খেলার বিরতি । ক্রিকেট খেলার ১৬ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১। দৈর্ঘ্য (বিরতির)

চুক্তি অনুযায়ী মধ্যাহ্নভোজের (Lunch) জন্য বিরতি এবং দুটো ইনিংসের মধ্যবর্তী অংশে ১০ মিনিট বিরতির জন্য আম্পায়ার অনুমতি দেবেন

২। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি (Lunch), বিরতির ১০ মিনিটের মধ্যে ইনিংসের সমাপ্তি বা বিঘ্ন

যদি চুক্তি নির্ধারিত মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শুরুর ১০মিনিটের মধ্যে কোনো ইনিংস শেষ হয় বা মন্দ আবহাওয়া ও আলোকাভাবের জন্য খেলা বিঘ্নিত হয়, তখনই সেই বিরতি নিতে হবে। খেলার ঐ সেশনে বাকি সময়টুকু চুক্তিবদ্ধ বিরতির সময়ের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে দুই ইনিংসের মধ্যবর্তী অংশে ১০ মিনিটের বিরতির সময় বরাদ্ধ করা হবে না।

৩। চা বিরতির ৩০ মিনিটের মধ্যে ইনিংসের সমাপ্তি বা বিঘ্ন

হানি চুক্তি নির্ধারিত চা বিরতি শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে কোন ইনিসং শেষ হয় বা মন্দ আবহাওয়া বা আলোকাভাবের জন্য খেলা বাধাপ্রাপ্ত হয় তখনই সে বিরতিটি নিতে হবে। সেই বিরতিটি চুক্তি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হবে এবং প্রয়োগ করা প্রয়োজন হলে দুই ইনিংসের মধ্যবর্তী ১০ মিনিটের বিরতির সময়টুকু ঐ চা বিরতির অন্তর্ভুক্ত হবে।

 

ক্রিকেট খেলার বিরতি । ক্রিকেট খেলার ১৬ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

৪। চা বিরতি খেলা চালু রাখা

যদি চুক্তিমত চা বিরতির সময় নয়টি উইকেটের পতন হয় তবে ৩০ মিনিটের অধিক সময় খেলা চলবে না অথবা যতক্ষণ না ইনিংসের সমাপ্তি ঘটছে।

৫। চা বিরতি- ত্যাগ করার চুক্তি

ম্যাচ চলাকালীন যে কোন সময়ে অধিনায়কদ্বয় রাজি হয়ে একটি চা বিরতি ত্যাগ করতে পারেন।

৬। পানিপানের বিরতি

ম্যাচ শুরু হবার পূর্বে যদি অধিনায়ক পানিপানের বিরতির বিষয়ে একমত হন তবে তা উভয় দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এই বিরতিগুলি প্রতি সেশনে একটির বেশি হবে না, যতদূর সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখতে হবে। ম্যাচের শেষ ঘন্টায় দেয়া যাবে না এবং এসব ক্ষেত্রে তা ৫ মিনিটের বেশি হবে না।

এই বিরতিগুলি চুক্তি অনুযায়ী কড়াভাবে মানা হবে অবশ্য যদি চুক্তি মত সময়ের ৫ মিনিটের মধ্যে কোন একটি উইকেটের পতন হয়, তবে পানিপানের বিরতি তখনই নেয়া হবে ।

যদি চুক্তি অনুসারে, পানিপানের বিরতির ৩০ মিনিটের মধ্যে কোন ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে বা আবহাওয়া বা অনুপোযুক্ত আলোর জন্য খেলা ব্যাহত হয় তবে পানিপানের কোন বিরতি সেই সেশনে হবে না। ম্যাচ চলাকালীন যে কোন সময়ে অধিনায়কদ্বয় রাজি হয়ে এই পানিপানের বিরতি ত্যাগ করতে পারেন।

টীকা

(অ) একদিনের ম্যাচে চা বিরতি

একদিনের খেলায় চা বিরতির জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় সাধারণত রাখার প্রয়োজন নেই এবং এক ইনিংসের বিরতির মধ্যে চা বিরতি নেয়া যেতে পারে।

(আ) চুক্তিবদ্ধ বিরতির সময় বদল

যদি কোন ব্যাপারে মাঠ, আবহাওয়া ও আলোর জন্য খেলা বন্ধ রাখতে হয়, তবে আম্পায়াররা অধিনায়কদ্বয়ের সাথে পরামর্শক্রমে মধ্যাহ্নভোজ অথবা চা-বিরতি সময় বাঁচানোর উদ্দেশে এগিয়ে আনতে পারেন ।

 

ক্রিকেট খেলার বিরতি । ক্রিকেট খেলার ১৬ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

জ্ঞাতব্য বিষয়

এই আইনের অধীনে অনেক রকম বিরতি যেমনঃ মধ্যাহ্নভোজ, চা ও পানিপানের বিষয় বলা হয়েছে। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ১৯৪৭ সালের কোডে ৪৫ মিনিটের বেশি না হয় বলা ছিল। তবে এখনকার কোডে সে বিষয় কিছু বলা নেই । এই কোডে আরও কয়েকটি বিরতির বিষয় নতুন করে লিখিত হয়েছে। এগুলি হলোঃ যদি একটি ইনিংসের ১০ মিনিটের ভিতর আবহাওয়া বা আলোর জন্য মধ্যাহ্নভোজের চুক্তি সময়ের আগেই বাধাপ্রাপ্ত বা সেটি শেষ হয়, তাহলে সেই বিরতি তৎক্ষণাৎ নেয়া হবে। আর চুক্তিমত চা বিরতির আগেই যদি কোন ইনিংস ৩০ মিনিটের ভিতর শেষ হয় বা বাধাপ্রাপ্ত হয় মন্দ আলো ও আবহাওয়ার জন্য তাহলে সেক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ চা বিরতি নেয়া হবে ।

আম্পায়াররা অধিনায়কদ্বয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে সময় বাঁচাবার জন্য মধ্যাহ্নভোজ বিরতি বা চা বিরতি এগিয়ে আনতে পারেন। এই আইনে আরও বলা আছে যে টসের আগে চুক্তি হলেও দুই অধিনায়ক যদি রাজি থাকেন তাহলে চা বিরতি ম্যাচের যে কোন সময়ে বাতিল করতে পারেন।

সমস্ত স্তরের ম্যাচে আম্পায়াররা যেন ঠিক ভাবে বিরতির সময়গুলি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। সাধারণতঃ বিরতি শেষ হবার ৫ মিনিট আগে ঘন্টা বাজানো হয়ে থাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়াররা মাঠে প্রবেশ করেন। তারপর তাঁরা দুই প্রান্তের স্টাম্পের পেছনে এসে বেল লাগান যাতে নির্দিষ্ট সময়ে ‘প্লে’ ডেকে সময় নষ্ট না করে খেলা শুরু করতে পারেন। ঠিক ৫ মিনিট পানিপান বিরতি রাখা আম্পায়ারদের একটি বিশেষ সমস্যা। তার উপর যদি কর্তৃপক্ষরা ট্রলী ব্যবহার করেন তাহলে আর কিছু বলার নেই, আরও দেরি হবেই ।

 

কাতার বিশ্বকাপে মেসির রেকর্ডসমূহ 

 

আমরা দেখেছি খুব কম ফিল্ডিং দলই এই নিয়মটি যথাযথ পালন করে থাকে। একদিনের ম্যাচে চুক্তি অনুযায়ী চা পান করা দুই ইনিংসের মধ্যের সময়ে বা ম্যাচের শেষে করা হয়ে থাকে। যদি মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে থেকে ৪৫ মিনিট ধার্য করা হয়ে থাকে ও কোন ইনিংস ৬ মিনিট আগেই সমাপ্তি ঘটে, তাহলে সেই বিরতি মোট হবে ও খেলা পূর্বের ধার্য সময় অনুযায়ী শুরু হবে।

আইনে আরও বলা হয়েছে যে, যদি ৩০ মিনিটের ভিতর কোন ইনিংস চা বিরতির আগে সমাপ্তি হয় অথবা আবহাওয়া ও মন্দ আলোর জন্য খেলাটি বাধাপ্রাপ্ত হয় সেই বিরতি তৎক্ষণাৎ নেয়া হবে। আর একটি ক্ষেত্রে, যদি চুক্তি অনুসারে চা বিরতির সময় ৯টা উইকেট কোন দলের পড়ে যায় তখন সেই খেলাটি চালিয়ে যেতে হবে।

তবে ৩০ মিনিটের বেশি নয় বা ইনিংসটা যখন শেষ হয়েছে। অধিনায়কদ্বয় একমত হলে পানিপান বিরতি নিতে পারেন। তবে তাঁরা ভিন্ন মত হলে সে ক্ষেত্রে ত্যাগ করতেও পারেন। প্রত্যেক সেশনে’ একটি করে পানির ৫ মিনিট বিরতি নেয়া উচিত তার বেশি নয়। তবে যদি সেই নির্দিষ্ট বিরতি সময়ের ঠিক ৫ মিনিটের মধ্যে একটি উইকেটের পতন হয়, তাহলে তখনই সেই পানিপান বিরতি নিতে হবে। ম্যাচের শেষ ঘন্টায় পানি বিরতি নেয়া চলবে না।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment