আজকে আমরা ব্যায়ামের শলভাষন বা পতঙ্গ আসন সম্পর্কে আলোচনা করব।
এ ব্যায়াম অনুশীলনের সময় অনুশীলনকারীকে অনেকটা পতঙ্গের মতোন দেখা যায়। খুব প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। ব্যায়াম শাস্ত্রে একে শলভাষন নামে চিহ্নিত করা হয়েছে । শম্ভু অর্থ-পতঙ্গ। আমরা পতঙ্গ ব্যায়াম বা আসন বলে এটিকে সনাক্ত করতে পারি। আসল কথা হলো ব্যায়াম অনুশীলনের প্রণালী বা কায়দা কানুন। নামটা তো সরাসরি বোঝার জন্যে মাত্র।
ব্যায়ামের শলভাষন বা পতঙ্গ আসন । ৫ নম্বর ব্যায়ামের নিয়ম । খেলাধুলার আইন
নিয়মঃ
আপনি আপনার হাত দু’খানা দেহের দু’পাশে লম্বাভাবে রেখে উপুড় হয়ে হয়ে পড়ুন। হাতের পিছ বা চেটো থাকবে মাটির উপর এবং আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ রাখুন। চিবুক ইচ্ছে করলে মাটিতে স্পর্শ করে কিংবা বাঁকিয়ে রাখতে পারেন। পা দুটো সোজা করে নেবেন যেনো পাশাপাশি থাকে এবং আঙুল নিচের দিকে থাকে। এবার আপনি কীট পতঙ্গের মতোন উড়বেন অর্থাৎ পা দুটো উপরের দিকে তুলে নিন সোজা অবস্থায় মাটি থেকে দুই ফুট উপরে কিন্তু আপনার দেহের তলপেট মাটির সঙ্গেই থাকবে।
এভাবে আধ মিনিট থাকুন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ব্যায়ামটি ৪-৫ বার করুন। খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লে এরপর আপনি বিলীন আসনে বিশ্রাম নিতে পারেন। রাখবেন, প্রথমদিকে দু’পা একসাথে উপরের দিকে কষ্ট সাধ্য হতে পারে, তাহলে এক পা এক পা করে অনুশীলন করবেন। এ ব্যায়ামটি করা মানে আপনার হৃৎপিত্ত ফুসফুসের উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে তাই হৃদরোগীদের রোগ ভাল না হওয়া পর্যন্ত অনুশীলন করতে নেই ।
উপকারঃ
এটি খুবই মূল্যবান ব্যায়াম । এতে আপনার কোমর থেকে পায়ের শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ব্যায়াম হয় বাত, মাজা ব্যথা, মেয়েদের ঋতুকালীন তলপেটের ব্যাথা ইত্যাদির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাত রোগের জন্য এটি অব্যর্থ মহৌষধ বলা যায়।
এ ব্যায়ামে তলপেটের মাংসপেশীসহ উদর গহ্বরের ভেতরের নাড়ি ভুড়ির ব্যায়াম হয় ফলে অজীর্ন, কোষ্টবদ্ধতা ইত্যাদি দূর হয়। পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত বৃহদন্ত প্রভৃতির কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। পায়ের পেশীর স্নায়ুতন্ত্রগুলো সতেজ থাকে। কোমর ও তলপেটের মেদ কমে যায় কিংবা মেদ জমতে পারে না। ফুসফুসের স্নায়ুতন্ত্র সবল হয়। ফলে স্নায়ুকোষ গুলোর বাতাস ধারণ ক্ষমতা বাড়ে। হৃৎপিন্ডের পেশী সতেজ ও সক্রিয় থাকে।
আরও দেখুনঃ