আজকের আলোচনার বিষয়ঃ ব্যায়ামের শির আসন (শীর্ষাসন)। এবার আপনার শির বা মাথার আসনের কথা বলছি। আসনটিতে দেহের সব চাপ তার মাথার উপর পড়ে তাই এটিকে শির আসন বা শীর্ষাসন বলা হয়। এটি খুবই উপকারী ব্যায়াম। দেখা যাক, কিভাবে আসনটি অনুশীলন করা যায়।
Table of Contents
ব্যায়ামের শির আসন (শীর্ষাসন) । ২০ নম্বর ব্যায়ামের নিয়ম । খেলাধুলার আইন
নিয়মঃ
আপনি পা গুটিয়ে হাঁটুতে বসে পড়ন। মাথা নুইয়ে ব্রহ্মতালু হাঁটুর সামনে প্যাডের ওপর রাখুন। দু’হাতের আঙুল শক্ত করে ধরে মাথার নিচে রাখুন-অর্থাৎ- হাতের তালুর ওপর আপনার মাথা তুলুন। কনুই দুটো মাটিতেই থাকবে। এখন মাথা ও কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে হাঁটুর ভাঁজ খুলে নিন। কিন্তু দু’পা যেনো মিশে থাকে এবার উপরের দিকে পা দু’খানা কোমর সোজা রেখে তুলুন।
আপনি সহজেই পারবেন না তাই প্রথম দিকে দেয়ালের পাশে বসে দেয়ালের সাহায্য নিয়ে অভ্যেস করতে পারেন। সম্পূর্ণরূপে পা দু’খানা সোজা করে আধ মিনিট থাকুন লম্ব আকারে। আপনার দেহখানা মাটির সঙ্গে সমকোণ তৈরি করবে যখন তখনই মনে করবেন আসনটি ঠিকভাবে চর্চা করা হচ্ছে। সময় শেষে আস্তে ধীরে পা নামিয়ে আনুন এবং বিলীন আসনে বিশ্রাম নিন। এ আসনটি সবশেষে করা ভালো।
উপকারঃ
এ আসনে আপনার হৃদপিণ্ড থাকে মাথার উপর। ফলে রক্ত ছড়িয়ে যেতে পারে সহজভাবে মগজে। মস্তিষ্ক, গলদেশ ও মুখমন্ডলে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালন হয় । মাথার সমস্ত স্নায়ুতন্ত্রে রক্তের প্লাবন হয়।
ফলে আপনার চোখ, কান, নাক, মুখ গহবরের বিভিন্ন অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ঢুকে এবং পেশী, স্নায়ুতন্ত্র ও বিভিন্ন গ্রন্থিকে সতেজ ও সক্রিয় করে তোলে। এতে মনের শক্তি স্মৃতি শক্তি ও ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি পায়। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে এবং কর্মবিমুখতা, মাথাধরা, লিকুরিয়া, রক্তাল্পতা, অর্শ্ব, হাঁপানী, একশিরা ইত্যাদি রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
মনে রাখবেনঃ
স্বাভাবিক সুস্থ অবস্থায় এ আসনটি চর্চা করবেন। হৃদরোগীদের রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত আসনটি চর্চা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অল্পবয়সী বালক-বালিকাদের এটি করা ঠিক নয়।
আরও দেখুনঃ