ভলিবল খেলার আইন কানুন: ভলিবল একটি জনপ্রিয় খেলা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ভলিবলের রয়েছে অসম্ভব জনপ্রিয়তা। কি শহরে কি গ্রামে সর্বত্রই রয়েছে এ খেলার সমান কদর। ভলিবল-খেলা শীতকালে অনুষ্ঠিত হয় । এ কারণে এ খেলা শীতকালীন খেলাধূলার মধ্যে গণ্য। স্বল্প পরিসর স্থানে একসাথে অনেক খেলোয়াড় মিলে এ খেলা সম্ভব।
ভলিবল খেলার আইন কানুন
ভলিবল-খেলার আবিষ্কারক হিসেবে আমেরিকার নিউইয়র্কের উইলিয়াম জি মারগানের নাম সর্বজন স্বীকৃত। তিনি এ খেলার নাম দেন “মিনটোনেট”। ১৮৯৫ সালে এ খেলার উৎপত্তি। ১৮৯৭ সালে প্রথম পুস্তিকাকারে ভলিবল-খেলার আইন-কানুন প্রকাশিত হয় ভলিবল তার জনপ্রিয়তা আমেরিকা ছড়িয়ে কানাডায় গিয়ে পৌঁছায়।
১৯২৩ সালে চোকাশ্লোভাকিয়ায় বিশ্বের প্রথম ভলিবল ফেডারেশন গঠিত হয় । ১৯২৭ সালে জাপানে ১৯২৮ সালে আমেরিকায় ভলিবল ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯২৯ সালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কিউবায় অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা ভলিবল অনুষ্ঠানের স্বীকৃতি দেয়।
১৯৩৩ সালে মেয়েদের – ভলিবলের সূচনা হয়। ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ভলিবল জনপ্রিয়তা লাভ করতে থাকে। ১৯৪৭ সালে ২৯ শে এপ্রিল ফ্রান্সের ক্রীড়া সংগঠক মিঃ পল লিবার্ড এর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ভলিবল ফেডারেশন (এফ, আই, ভি, বি) গঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে অলিম্পিকে ভলিবল অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৪৯ সালে সিরিয়া বিশ্ব ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ, ১৯৫২ সালে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ, ১৯৬৫ সালে পুরুষ বিশ্বকাপ ভলিবল, ১৯৭৩ সালে মহিলা বিশ্বকাপ ভলিবল, ১৯৭৭ সালে জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ খেলার চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ।
বাংলাদেশে ভলিবল-খেলার উন্নয়নের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন ।