রেফারি থ্রোঃ হ্যান্ডবল একটি অতি প্রাচীন খেলা। গ্রীক কবি হোমারের ওডিসি মহাকাব্যে এই খেলার উল্লেখ রয়েছে। প্রাক খ্রীষ্টীয় যুগে নীলনদের উপত্যকা ভূমিতে বল নিয়ে যে সব খেলা প্রচলিত ছিল, তার সব ক’টিই ছিল হাতের খেলা। দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকে জার্মান গীতি কবিতায় ‘ক্যাচ বল’ (Catch Ball) জাতীয় খেলার উল্লেখ রয়েছে ।
কয়েক শতাব্দী হাতের খেলায় আজকের দিনের বলের অনুরূপ গোলাকার উপকরণ ব্যবহৃত হলে সেই খেলার সাথে আধুনিক কালের হ্যান্ডবল খেলার খুব বেশি সংযোগ রয়েছে বলে মনে হয় না। এই ধরণের অতীত-বর্তমান খেলার মধ্যে ঐতিহ্যগত সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বে বস্তুতঃ খেলার ধরণ পদ্ধতির দিক দিয়ে আজকের হান্ডবল খেলা জগতে সম্পূর্ণ নতুন একটি সংযোজন ।
খোলা মাঠে এই খেলার প্রসারের সাথে সাথে উত্তর ইউরোপে এটিকে ইনডোর খেলা হিসেবে জনপ্রিয় করে তোলা হয় । এদেরই প্রচেষ্টায় রূপলাভ করে নতুন পদ্ধতির হ্যান্ডবল খেলা- “হেলেন হ্যান্ডবল” বা ইনডোর হ্যান্ডবল।
হ্যান্ডবলের রেফারি থ্রো । হ্যান্ডবল খেলার পনেরো নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
১. খেলাটি রেফারি থ্রো দ্বারা আরম্ভ করা হবেঃ
(ক) যদি উভয় দলের খেলোয়াড় প্রায় একই সময় আইন ভঙ্গ করে থাকে:
(খ) বলটি খেলার মাঠের উপরিভাগে ছাদ অথবা ছাদের সংগে সংযুক্ত কোন বস্তু স্পর্শ করে; খেলা
(গ) কোন দলের আইন ভংগ ছাড়া অন্য কোন কারণে রেফারি বন্ধ করেন, অবশ্য তখন কোন দলের হাতে বল ছিল না।
২. রেফারি থ্রো করার সময় খেলার ঘড়ি বন্ধ থাকবে (Time- out) (২.৪)।
৩. মাঠের মধ্য রেখা হতে কোর্ট রেফারির বাঁশির সংকেতে বলটিকে ঠি উপরের দিকে (vertically up) নিক্ষেপ করবেন, রেফারি-থ্রো মধ্য মাঠ হতে হবে। (আইন ১৬.৩ক)
৪. রেফারি থ্রো করার সময় প্রতি দলের একজন (মোট দুইজন খেলোয়াড় রেফারির দুই পার্শ্বের নিজ নিজ গোলের নিকটবর্তী স্থানে দাঁড়াবে এবং অন্যান্য সকল খেলোয়াড় রেফারির নিকট হতে কমপক্ষ ৩ মিটার দূরে দাঁড়াবে। বলটি রেফারি নিক্ষেপে সবচেয়ে উপরে ওঠার পর উক্ত দুইজন খেলোয়াড়ের যে কেউ বলটি খেতে পারবে।
আরও দেখুনঃ