হ্যান্ডবলের গোল থ্রো : হান্ডবল একটি অতি প্রাচীন খেলা। গ্রীক কবি হোমারের ওডিসি মহাকাব্যে এই খেলার উল্লেখ রয়েছে। আধুনিক আউটডোর হ্যান্ডবল খেলার জন্য কেউ কেউ জার্মানিতে মনে করেন। ১৯০৪ সালে ডেনমার্কের জনৈক ক্রীড়া শিক্ষক হোলজার নিয়েলসেন ‘হ্যান্ডরোল্ড’ (Handbold) নামে একটি খেলা প্রবর্তন করেন।
১৯১৭ সালে মহিলাদের ক্রীড়া- শিক্ষক বার্লিনের ম্যাক্স-হিসার মেয়েদের জন্যে অভিনব পদ্ধতির হ্যান্ডবল খেলার প্রবর্তণ করেন । এর দুই বৎসর পর বার্লিনের অপর একজন ক্রীড়া শিক্ষক ‘কালশিলেঞ্জ’ এই খেলায় তার নিজস্ব পদ্ধতি সংযোজন করে এর উৎকর্ষ সাধন করেন।
তিনিই সব প্রথম এই খেলায় ফুটবল খেলার কতিপয় পদ্ধতি সংযোজন করেন এবং খোলা মাঠে এই খেলা প্রচলন করেন। ১৯২০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি শিলেঞ্জ প্রবর্তিত পদ্ধতিতে বার্লিনে দুই দলের প্রতিযোগিতামূলক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯২৩ সালে ম্যাক্স হিসার প্রবর্তিত পদ্ধতিতে বার্লিন ও ড্রেসডেনের দুটি মহিলা দলের মধ্যে আন্তঃনগর হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৫ সালে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (IOC) সম্মেলনে ১৯৭২ সালে মিউনিখে অনুষ্ঠেয় বিংশতিতম অলিম্পিক খেলার কর্মসূচীতে হ্যান্ডবল খেলার অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইউরোপে বরাবরই হ্যান্ডবল একটি জনপ্রিয় খেলা । ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ৯টি জাতীয় ফেডারেশনে এবং প্রায় দুই লক্ষ দল এবং ৪.৫ মিলিয়ন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের (IHF) অন্তর্ভুক্ত হয়।
হ্যান্ডবলের গোল থ্রো । হ্যান্ডবল খেলার বারো নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন
১. যখন বলটি গোল-সীমার বাইরে গোল লাইন অতিক্রম করে তখন একটি গোল-থ্রো দেয়া হয়।
২. রেফারির সংকেত ছাড়াই গোলরক্ষক বলটি গোল-সীমার উপর দিয়ে খেলার মাঠে নিক্ষেপ করবে। (আইন ১৬:৩খ) বলটি গোল লাইন অতিক্রম করলেই গোল-থ্রোটি করা হয়েছে বলে ধরা হবে।
৩. বলটি যদি গোল-সীমায় এসে স্থির হয় তবে গোলরক্ষক পুনরায় গোল থ্রো করে বলটি খেলার মাঠে পাঠাবেন।
৪. গোলরক্ষক গোল থ্রো করার পর অন্য কোন খেলোয়াড় বলটি স্পর্শ করার পূর্বে সে বলটি ধরতে বা খেলতে পারবে না।
আরও দেখুনঃ