হ্যান্ডবলের থ্রো অফ । হ্যান্ডবল খেলার দশ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

হ্যান্ডবলের থ্রো অফঃ হান্ডবল একটি অতি প্রাচীন খেলা। গ্রীক কবি হোমারের ওডিসি মহাকাব্যে এই খেলার উল্লেখ রয়েছে। প্রাক খ্রীষ্টীয় যুগে নীলনদের উপত্যকা ভূমিতে বল নিয়ে যে সব খেলা প্রচলিত ছিল, তার সব ক’টিই ছিল হাতের খেলা। দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকে জার্মান গীতি কবিতায় ‘ক্যাচ বল’ (Catch Ball) জাতীয় খেলার উল্লেখ রয়েছে ।

 

হ্যান্ডবলের থ্রো অফ । দশ নম্বর আইন

 

১৯২৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর হ্যালীস্যালীতে জার্মান ও অস্ট্রিয় দলের মধ্যে হ্যান্ডবলের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় থেকেই হ্যান্ডবল খেলা একটি আন্তর্জাতিক খেলার মর্যাদা লাভ করে এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির লক্ষ্যে এই খেলার নিয়ম কানুন পুনর্বিন্যাস করা হয়।

বাংলাদেশে প্রথম হ্যান্ডবল খেলার প্রচলন ঘটে ১৯৮২ সালের জুন মাসে। ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত ছেলেদের একটি প্রদর্শনী খেলার মাধ্যমে এদেশে হ্যান্ডবল খেলার উদ্বোধন ঘটে।

 

হ্যান্ডবলের থ্রো অফ । দশ নম্বর আইন

 

হ্যান্ডবলের থ্রো অফ । হ্যান্ডবল খেলার দশ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১. খেলাটি শুরু করা বা দ্বিতীয়ার্ধে শুরু করার ক্ষেত্রে বা কোন দল গোল করার পর থ্রো অফ দ্বারা আরম্ভ খেলা শুরু করার সময় দল ‘টস’ এ জয়লাভ করে থ্রো অফ নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয় সেই দল অথবা যে দল “টস’- এ জয়লাভ করে পার্শ্ব (Side) নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয় তার বিপক্ষ দল থ্রো অফ করে খেলা আরম্ভ করবে এবং অপর পক্ষ দ্বিতীয়ার্ধের খেলা আরম্ভের সময় গ্রো-অফ করবে। অতিরিক্ত খেলার (Extra-time) জন্য নতুন টস্ দেয়া হবে ।

২. গোলের পর যে দলের বিপক্ষে গোল করা হয় সে দল থ্রো অফ করে খেলা আরম্ভ করবে। (ব্যতিক্রম নোট ৯.২)

 

কাতার বিশ্বকাপে মেসির রেকর্ডসমূহ 

 

৩. মাঝ মাঠ হতে যে কোন দিকে বলটি মেরে থ্রো অফ করা হয়। রেফারি কর্তৃক খেলা আরম্ভ করার সংকেতের তিন সেকেণ্ডের মধ্যে খেলা আরম্ভ করতে হবে । (১৩.১জ)।

৪. থ্রো অফ নেয়ার সময় উভয় পক্ষের খেলোয়াড় নিজ নিজ অর্থমাঠে অবস্থান করবে। বিপক্ষের খেলোয়াড়গণ বল থেকে কমপক্ষে ৩ মিটার দূরে অবশ্যই অবস্থান করবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment