হ্যান্ডবল খেলার বল । হ্যান্ডবল খেলার তিন নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

হ্যান্ডবল খেলার বলঃ হ্যান্ডবল একটি অতি প্রাচীন খেলা। গ্রীক কবি হোমারের ওডিসি মহাকাব্যে এই খেলার উল্লেখ রয়েছে। প্রাক খ্রীষ্টীয় যুগে নীলনদের উপত্যকা ভূমিতে বল নিয়ে যে সব খেলা প্রচলিত ছিল, তার সব ক’টিই ছিল হাতের খেলা। দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকে জার্মান গীতি কবিতায় ‘ক্যাচ বল’ (Catch Ball) জাতীয় খেলার উল্লেখ রয়েছে ।

 

হ্যান্ডবল খেলার বল । তিন নম্বর আইন

 

কয়েক শতাব্দী হাতের খেলায় আজকের দিনের বলের অনুরূপ গোলাকার উপকরণ ব্যবহৃত হলে সেই খেলার সাথে আধুনিক কালের হ্যান্ডবল খেলার খুব বেশি সংযোগ রয়েছে বলে মনে হয় না। এই ধরণের অতীত-বর্তমান খেলার মধ্যে ঐতিহ্যগত সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বে বস্তুতঃ খেলার ধরণ পদ্ধতির দিক দিয়ে আজকের হান্ডবল খেলা জগতে সম্পূর্ণ নতুন একটি সংযোজন ।

১৯৭৪ সালের দিকে হ্যান্ডবল খেলা এশিয়ায় জনপ্রিয়তা লাভ করে। ঐ বৎসর তেহরানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমস উপলক্ষে সমবেত ক্রীড়ামোদীদের উদ্যোগে এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশন’ (AHF) গঠিত হয়। ১৯৭৬ সালে কুয়েতে ফেডরেশনের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠাকার্য সম্পন্ন হয়। কুয়েতে ফেডারেশনের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে প্রথম হ্যান্ডবল খেলার প্রচলন ঘটে ১৯৮২ সালের জুন মাসে। ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত ছেলেদের একটি প্রদর্শনী খেলার মাধ্যমে এদেশে হ্যান্ডবল খেলার উদ্বোধন ঘটে।

 

হ্যান্ডবল খেলার বল । তিন নম্বর আইন

 

হ্যান্ডবল খেলার বল । হ্যান্ডবল খেলার তিন নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১. বলটি হবে গোলাকার। চামড়া বা কৃত্রিম ধাতুর তৈরি। বলটির বাইরের অংশ চকচকে বা পিচ্ছিল (Slippery) হবে না।

২. খেলা আরম্ভের সময় পুরুষদের জন্য বলের পরিধি ৫৮-৬০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৪২৫-৪৭৫ গ্রাম এবং মহিলাদের জন্য বলের পরিধি ৫৪- ৫৬ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৩২৫- ৪০০ গ্রাম হবে।

৩. প্রতি খেলায় দুটি খেলার বল থাকবে।

কাতার বিশ্বকাপে মেসির রেকর্ডসমূহ 

 

৪. একান্ত প্রয়োজন না হলে বল পরিবর্তন করা যাবে না।

৫. আন্তর্জাতিক মান-সম্পন্ন খেলায় শুধুমাত্র (IHF) চিহ্নিত বল ব্যবহার করতে হবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment