হ্যান্ডবলের থ্রো ইন । হ্যান্ডবল খেলার এগারো নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

হ্যান্ডবলের থ্রো ইন

বাংলাদেশে হ্যান্ডবল খেলার বয়স সবেমাত্র ১৩ বছর। কোন দেশে নতুন প্রবর্তিত খেলার প্রসারের ক্ষেত্রে এই সময়কাল নেহাত নগণ্য। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া-সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবে এই খেলার শুভ উদ্বোধন ঘটেছে।

তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে জাগ্রত হয়েছে এই খেলার প্রতি আশাতীত আগ্রহ। বাংলাদেশে হ্যান্ডবল খেলার জনপ্রিয়তার সাথে এর মানও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৯৩’র জুন মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় (IOC) অলিম্পিক সলিডারিটি হ্যান্ডবল প্রশিক্ষণ কোর্স ।

১৯৮৩ সালের ৮ই সেপ্টেম্বের জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ভবনে অনুষ্ঠিত ক্রীড়ামোদীদের এক সভায় ‘বাংলাদেশ হ্যান্ডবল এসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনে রূপান্তরিত হয়।

 

হ্যান্ডবলের থ্রো ইন । এগারো নম্বর আইন

 

হ্যান্ডবলের থ্রো ইন । হ্যান্ডবল খেলার এগারো নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১. যদি বলটি পার্শ্বরেখা সম্পূর্ণ অতিক্রম করে বাইরে চলে যায় অথবা রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের গায়ে স্পর্শ করে গোল লাইন অতিক্রম করে তবে থ্রো-ইন্‌ দেয়া হয় (আইন ৭.১০)

যদি নিজ গোল এরিয়াতে থাকাকালীন গোলরক্ষক কর্তৃক বলটি স্পর্শ করায় তা গোল-লাইন অতিক্রম করে তবে প্রো-ইন-এর পরিবর্তে গোল-থ্রো দেয়া হয়। (৫-৭)

 

হ্যান্ডবলের থ্রো ইন । এগারো নম্বর আইন

 

২. বলটি বের হবার সময় যে দলের খেলোয়াড়ের শেষ স্পর্শ লাগে তার বিপক্ষদলের একজন খেলোয়াড় উক্ত স্থান থেকে প্রো-ইন করবে। গ্রো-ইন- করার জন্য রেফারির বাঁশির সংকেতের প্রয়োজন নেই। (ব্যতিক্রম ১৬.৩খ)

৩. যে সুর দিয়ে বলটি বাইরে যায় সে স্থান থেকে অথবা যখন বলটি গোল লাইনের উপর দিয়ে বাইরে যায় (রক্ষণ ভাগ দলের গায়ে লেগে) তখন পাশ রেখার শেষ প্রান্ত থেকে বলটি প্রো-ইন করা হবে।

৪. প্রো-ইন করার সময় বলটি হাত থেকে নিক্ষেপের আগ পর্যন্ত খেলোয়াড়ে একটি পা অবশ্যই পার্শ্ব রেখার উপর থাকতে হবে। বলটি নিক্ষেপের পূে বলটিকে মাটিতে বাউন্স করা বা মাটিতে স্পর্শ করে আবার উঠান যাবে না।

 

কাতার বিশ্বকাপে মেসির রেকর্ডসমূহ 

 

৫. প্রো-ইন করার সময় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে অবশ্যই ৩ মিটার দূরে থাকতে হবে। তবে তারা নিজেদের গোল লাইনের সাথে অবশ্যই দাঁড়াতে পারবে, যদিও নিক্ষেপকারী থেকে দূরত্ব ৩ মিটার অপেক্ষা কম হয় ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment