ব্যায়ামের লাঙ্গল আসন বা হলাসন । ১১ নম্বর ব্যায়ামের নিয়ম । খেলাধুলার নিয়ম

আজকের আলোচনার বিষয়ঃ ব্যায়ামের লাঙ্গল আসন বা হলাসন

ব্যায়ামের এ ভঙ্গিমাটি দেখায়ও প্রায় লাঙ্গলের মতো। তাই এর নাম লাঙ্গল আসন বা হলাসন। ব্যায়ামটি খুবই উপকারী বিশেষ করে আপনার যাবতীয় পেটের পীড়ার জন্য। দেখা যাক, আমরা অনুশীলন কিভাবে করব-আসুন।

 

 

ব্যায়ামের লাঙ্গল আসন বা হলাসন 2 ব্যায়ামের লাঙ্গল আসন বা হলাসন । ১১ নম্বর ব্যায়ামের নিয়ম । খেলাধুলার নিয়ম

 

ব্যায়ামের লাঙ্গল আসন বা হলাসন । ১১ নম্বর ব্যায়ামের নিয়ম । খেলাধুলার আইন

নিয়মঃ

দিব্যি আরামে আপনি দেহের দু’পাশে হাত দু’খানা রেখে পা জে সোজা করে সটান চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাতের তালু রাখুন মাটির উপর। এবার। ধীরে হাতের ওপর ভর করে পা ঝোড়া সোজা রেখে উপরের দিকে তুলতে তুলতে করে মাথার উপর দিয়ে পেছনে মাটির উপর কিংবা কাছাকাছি নিয়ে আসুন। বাঃ কি সুন্দর একখানা মানুষ লাঙ্গল হয়ে গেলেন। আপনার থুতনি এতোক্ষনে নিশ্চয়ই বুক ও কণ্ঠনালীর জোড়ায় লেগে গেছে। যাক । শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করলে ঐ অবস্থায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড সময় অতিবাহিত করুন। এরপর হাতের উপর ভর রেখে আস্তে আস্তে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। খুব বেশি নয়, ৩-৪ বার করুন এভাবে । প্রয়োজন হলে বিলীন আসনে অবসাদ দূর করুন।

 

 

ব্যায়ামের লাঙ্গল আসন বা হলাসন । ব্যায়ামের আইন কানুন । খেলাধুলার আইন

 

 

উপকারঃ

এ ব্যায়ামে কোষ্ঠবদ্ধতা, অজীর্ণ, পেটফাঁপা রোগ দূর হয়ে যায়। প্লীহা, যকৃৎ মুত্রাশয় ইত্যাদির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মেরুদন্ডের কশেরুকাগুলো শক্ত হয় এবং এর পাশের স্নায়ুগুলো সতেজ হয়। থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থিগুলো সবল ও সক্রিয় থাকে। আপনি যদি মেয়ে হন-মানে একটু বয়স্ক তাহলে আপনার ঢিলেঢালা। তলপেটের পেশীগুলো দৃঢ় হবে। অপ্রয়োজনীয় চর্বি দূর হবে। স্ত্রী-রোগ সহজে হবে না। ছোট খাট রোগ কিছু থাকলেও তা সেরে যাবে। বহুমুত্রবাত রোগের জন্যও এটি বেশ উপকারী ব্যায়াম ।

 

উসমান খাজার কোনো আক্ষেপ নেই

 

মনে রাখবেন, আপনার আমাশয় হৃদরোগ থাকলে কিংবা প্লীহা, যকৃৎ ইত্যাদি কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে রোগ না সারা পর্যন্ত ব্যায়ামটি অনুশীলন করবেন না। ১২ বছরের নিচে যাদের বয়স তারাও অভ্যেস করার চেষ্টা করবেন না।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment