ক্রিকেটের টাইমড আউট । ক্রিকেট খেলার ৩১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

ক্রিকেটের টাইমড আউট । ক্রিকেট খেলার ৩১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেটের টাইমড আউট । ক্রিকেট খেলার ৩১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেটের টাইমড আউট । ক্রিকেট খেলার ৩১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১। আউট, টাইমড আউট

যদি কোন আগমনরত ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে মাঠে প্রবেশ করতে দু’মিনিটের বেশি সময় নেন তাহলে তিনি টাইমড আউট হিসাবে আউট হবেন দু মিনিট সময়টি উইকেট পতনের মহূর্ত থেকে নতুন ব্যাটসম্যানের খেলার মাঠে প্রবেশ পর্যন্ত ধরা হবে।

যদি এটা অমান্য করা হয় এবং যদি আম্পায়ার সন্তুষ্ট হন যে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব হয়েছে এবং যদি আবেদন করা হয় তাহলে নতুন ব্যাটসম্যান বোলার প্রান্তের আম্পায়ার কর্তৃক আউট বলে ঘোষিত হবেন।

২। যে সময়টুকু যুক্ত হবে

আম্পায়াররা বিলম্বের কারণ অনুসন্ধান করতে যে সময় নেবেন তা খেলা শেষের স্বাভাবিক (নির্দিষ্ট) সময়ের সঙ্গে যুক্ত হবে।

টীকা

(ক) স্কোর বইতে অন্তভুক্তি

এই আইন অনুসারে যখন একজন ব্যাটসম্যানকে আউট দেয়া হবে তখন স্কোর বইতে তার সঠিক অন্তর্ভুক্তি হবে টাইমড আউট এবং এই উইকেট পতনের জন্য বোলার কোন কৃতিত্ব পাবেন না ।

 

ক্রিকেটের টাইমড আউট । ক্রিকেট খেলার ৩১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

(খ) খেলার মাঠ অতিক্রমকারী ব্যাটসম্যানেরা

– দিনাজয়ের এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া অবশ্য কর্তব্য যে বহির্গামী ব্যাটসম্যান মাঠ ত্যাগ করার আগে মাঠের সীমার মধ্যে প্রবেশকারী ব্যাটসম্যানকে অতিক্রম করবেন।

জ্ঞাতব্য বিষয়

টাইমড আউট নামকরণের পরিভাষা থেকেই আমরা আইনের চরিত্র কিছুটা আঁচ করতে পারি। এই আইনের উদ্দেশ্য হলো, ব্যাটসম্যানদের ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত করা। এই আইন ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য অর্থাৎ যখন কোন ব্যাটসম্যান আউট হয় তখন পরবর্তী ব্যাটসম্যান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবেশ করেছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে; সেই সঙ্গে এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে যে ব্যাটসম্যানটি আউট হয়েছে সেও ঐ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাঠ ত্যাগ করেছে কিনা।

একটি উইকেট পতনের পর থেকে দু’মিনিটের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন। ব্যাটসম্যানকে মাঠে ঢুকতে হবে এবং পক্ষান্তরে আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানকে ঐ সময়ের মধ্যে মাঠ ত্যাগ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অধিনায়কের দায়িত্ব সচেতন হওয়া দরকার। ব্যাটিং পক্ষের অধিনায়ককে লক্ষ্য রাখতে হবে যে নতুন ব্যাটসম্যানের মাঠে। প্রবেশ এবং আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানের মাঠ ত্যাগের ঘটনাটি মাঠের মধ্যেই হচ্ছে কিনা । আইন অনুযায়ী দু’মিনিট ব্যাটসম্যানের মাঠে ঢোকার পক্ষে পর্যাপ্ত সময়।

কমপক্ষে দুজন ব্যাটসম্যান যেন প্যাড পরা অবস্থায় প্যাভিলিয়ানে বসে থাকেন এবং তারা কোন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে অধিনায়কের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করেন যে কে আগে মাঠে প্রবেশ করবেন। ব্যাটিং দলের অধিনায়কের দায়িত্ব সচেতনতা এবং তৎপরতা থাকলে দুমিনিটের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নতুন এবং আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানের পক্ষে প্রবেশ এবং নির্গমন সম্ভব।

 

ক্রিকেটের টাইমড আউট । ক্রিকেট খেলার ৩১ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেট অনুরাগী এবং বিশেষ করে খেলোয়াড়রা সকলেই জানেন যে আম্পায়াররা আইন প্রনয়ণ করেন না, এম সি সি কর্তৃক রচিত আইন অনুসরণ করেন। আম্পায়ারদের সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে খেলোয়াড়রা তাদের কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করেন। নতুন ব্যাটসম্যানের প্রবেশ করতে যদি দেরি হয় তাহলে আম্পায়ারদের অপেক্ষা করতে হবে ফিল্ডসম্যানের আবেদনের জন্য। যদি কোন আবেদন না হয় তা হলে আম্পায়ারদের কিছু করার নেই।

কিন্তু যদি আবেদন হয়ে থাকে তাহলে দুজন আম্পায়ারকে সময়ের প্রতি সজাগ হতে হবে এবং তাঁরা যদি নিশ্চিত হন যে নতুন ব্যাটসম্যান দু’মিনিটের মধ্যে মাঠে প্রবেশ করেন নি তাহলে তৎক্ষণাৎ তারা দেরির কারণ তদন্ত করবেন। এই তদন্তের সময় তাঁরা লক্ষ্য রাখবেন যে নতুন ব্যাটসম্যান উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে অর্থাৎ শুধুমাত্র সময় কষ্টের অছিলায় মাঠে প্রবেশ করতে দেরি করেছেন কিনা? আম্পায়ার এটাও দেখবেন যে দেরির কারণ অসুস্থতা বা দুর্ঘটনাজনিত কোন সমস্যা কিনা? অথবা তিনি অন্য কোন কারণে আটকে পড়েছেন কিনা? তবে এসব ঘটনা যাতে না ঘটে ব্যাটিং দলের অধিনায়কের এ ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা উচিত।

অধিনায়কের এই তদন্তের বিষয়েও আম্পায়ারদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা উচিত যাতে তারা সঠিক একটা সিদ্ধান্তে সময় নষ্ট না করে উপনীত হতে পারেন এবং তারা যদি উপলব্ধি করেন যে আইনকে যথাযথ মর্যাদা দেয়া হয়নি তাহলে তাঁদের সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় বা দলের প্রতি দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত হওয়া উচিত নয়।

উপরোক্ত তদন্তকালে যে সময়ের অপচয় হয়েছে তা খেলার নির্ধারিত শেষ হবার সময়ের সঙ্গেই যোগ হবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment