ক্রিকেটের সীশেমান অফ প্লে । ক্রিকেট খেলার ১৭ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

আজ আলাপ হবে – ক্রিকেটের সীশেমান অফ প্লে বা ক্রিকেট খেলার ১৭ নম্বর আইন নিয়ে।

 

ক্রিকেটের সীশেমান অফ প্লে । ক্রিকেট খেলার সতের নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

ক্রিকেটের সীশেমান অফ প্লে । ক্রিকেট খেলার ১৭ নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১। সময়ের সংকেত

বোলার প্রান্তের আম্পায়ার কোন বিরতি বা খেলা চলার সময় কোন ব্যাঘাত ঘটলে, প্রত্যেক দিনের খেলা শেষে এবং ম্যাচের পরিসমাপ্তির পূর্বেই খেলার শেষের জন্য টাইম ডাকবেন ।

২। বেল অপসারণ

‘টাইম’ ডাকার পর আম্পায়াররা দুটি উইকেটেরই উপর থেকে বেলগুলি তুলে নেবেন ।

৩। শেষ ওভারের শুরু

কোন বিরতি বা খেলা শেষের ঠিক আগের ওভারটি অবশ্যই শুরু হবে, যদি সময় পার হবার আগেই আম্পায়ার তার সাধারণ চলার ভঙ্গিতে বোলার প্রান্তের উইকেটের পিছনে তার নিজের জায়গায় এসে পৌঁছান।

৪। কোন্ সেশনের শেষ ওভারের সমাপ্তি

কোন বিরতি বা খেলা শেষের ঠিক আগের ওভারটি শেষ করতেই হবে, যদি না সেই ওভার চলার সময়ে বিরতির বা খেলা শেষের দুই মিনিটের মধ্যে কোন ব্যাটসম্যান আউট হন বা অবসর নেন অথবা খেলোয়াড়দের মাঠ ত্যাগের কোন কারণ ঘটে।

 

ক্রিকেটের সীশেমান অফ প্লে । ক্রিকেট খেলার সতের নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

৫। ম্যাচের শেষ ওভারের সমাপ্তি

বোলার প্রান্তের আম্পায়ার খেলার বিরতি, ছেদের বা প্রতিদিনের অধিনায়কের অনুরোধক্রমে খেলার শেষে এবং ম্যাচের সমাপ্তিতে ‘টাইম’ ডাকেন ও বেল দুটি তুলে নেন

যে কোন একজন এমন কি সময় উৎরে যাবার পর একটি উইকেট পড়ে গেলে, ম্যাচের সমাপ্তির দিনে খেলা শেষ হবার আগে যে ওভারটি চলার সময় কোন কারণে খেলোয়াড়রা মাঠ তাগ করেন, তবে আম্পায়ার খেলার ‘টাইম’ ঘোষণা করবেন এবং এরপর আর খেলা পুনরায় শুরু হবে না এবং ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে।

৬। ম্যাচের শেষ ঘন্টায় ওভারগুলি

আম্পায়াররা যখন নির্ধারিত ঘন্টায় সূচী অনুযায়ী মাচ শেষ হতে আর একঘন্টা বাকি থাকবে তখন নির্দেশ দেবেন। সেই মুহূর্তের ঠিক পর থেকে নিম্নতম (২০টি ৬ বলের ওভার) ওভারের প্রথম ওভার বলে গণ্য হবে, (১৫টি ৮ বলের ওভার), যদি না খেলার ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে থাকে অথবা কোনরূপ বিরতি বা খেলা চলার ব্যাঘাত না ঘটে থাকে ।

৭। ম্যাচের শেষ ঘন্টার দুই ইনিংসের মধ্যবর্তী বিরতি এবং খেলার ব্যাঘাত

যদি ম্যাচের শেষ ঘন্টার প্রারম্ভে কোন বিরতি বা খেলার ছেদ চলতে থাকে বা শেষ ঘন্টায় খেলার ইনিংস দুটির মধ্যে কোন বিরতি বা বিঘ্ন ঘটে, খেলা পুনরাস্তে নুন্যতম কত ওভার বল করতে হবে তা (নির্ণয়কালে) শেষ ঘন্টার খেলায় ঐরূপ বিরতি বা বিঘ্নের ফলে নষ্ট সময়ের অনুপাতে ওভারের সংখা কমাতে হবে।

খেলা পুনরাস্তে নুন্যতম কত ওভার বল করতে হবে তা নিম্নরূপভাবে হিসাব করতে হবেঃ

(ক) কোন বিরতি বা বিঘ্ন খেলার শেষ ঘন্টার প্রারম্ভে চলতে থাকলে অথবা ঐ পর্বে প্রথম বিরতি বা বিঘ্ন ঘটার ক্ষেত্রে ঐ নির্ধারিত নুন্যপক্ষে ২০ টি ৬ বলের ওভার (১৫টি ৮ বলের ওভার) থেকে বাদ দিতে হবে।

(খ) পরবর্তীকালে আবার কোন বিরতি বা বিঘ্ন ঘটলে, খেলা শেষ বারে আবার শুরু হলে নুন্যপক্ষে নির্ধারিত যত ওভার বল করা উচিত ছিল, সেই সংখ্যার ওভার থেকে পুনরায় (বিরতি বা বিঘ্নের সময়ের অনুপাতে) বিয়োগ করতে হবে।

(গ) উপরোক্ত বিয়োগ নিম্নলিখিত ঘটনাবলীর উপর নির্ভরশীল।

১। ম্যাচের শেষ ঘন্টায় ইতিমধ্যে যত ওভার বল করা হয়েছে অথবা শেষ পর্বের খেলায়, পরবর্তী বিরতি বা বিঘ্নের ক্ষেত্রে।

২। বিরতি বা বিঘ্ন ঘটার জন্য যে ওভারগুলি নষ্ট হয়েছে, সেগুলি ৩ মিনিট হিসেবে ৬ বলের ওভারের জন্য (৪ মিনিট ৮ বলের ওভারের জন্য) অনুমোদন করা যাবে ।

৩। কোন ইনিংসের সমাপ্তিতে কোন ওভার অসম্পূর্ণ থাকলে তা ঐ হিসাব থেকে বাদ দেয়া হবে।

৪। খেলা চলাকালীন কোন বিঘ্ন ঘটার ফলে যদি কোন ওভার অসম্পূর্ণ থাকে তা খেলা পুনরায় শুরুর পর শেষ করতে হবে এবং একটি ওভার বলে গণ্য হবে।

৫। একটি বিরতি কোন ইনিংসের সমাপ্তির পরে শুরু হয় এবং সেটি শেষ হয় ১০ মিনিট পরে একটি বিঘ্ন ‘টাইম’ ডাকা থেকে শুরু হয় এবং ‘প্লে’ ডাকার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় ।

(ঘ) খেলার শেষ ঘন্টার কোন ইনিংসের সমাপ্তি এবং নতুন ইনিংসের সূচনা ঘটলে প্রতি পূর্ণ ৩ মিনিটে বা তার অবশিষ্ট ভগ্নাংশে একটি ৬ বলের ওভার (বা প্রতি পূর্ণ ৪ মিনিট বা তার অবশিষ্ট ভগ্নাংশটাকে একটি ৮ বলের ওভার) ভিত্তিতে নতুন ইনিংসে করণীয় ওভারের সংখ্যা হিসেব করতে হবে অথবা বিকল্পে উপরোক্ত (ক) (খ) এবং (গ) অবস্থা অনুযায়ী পূর্ণ নুন্যত সংখ্যার যথেষ্ট সংখ্যক ওভারগুলি বল করতে হবে। এরকম সবক্ষেত্রেই যে বিকল্প ব্যবস্থায় সর্বাধিক সংখ্যক ওভার বল করা যায় তাই কার্যকর করতে হবে।

 

ক্রিকেটের সীশেমান অফ প্লে । ক্রিকেট খেলার সতের নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

 

(৮) ম্যাচের শেষ ঘন্টায় কোন বোলার ওভার সম্পূর্ণ করতে অপারগ হলে

যদি কোন কারণে কোন বোলার উপরোক্ত (৬) এ উল্লিখিত খেলার পর্বে (অর্থাৎ খেলার শেষ ঘণ্টায়) কোন ওভার সম্পূর্ণ করতে অপারগ হন, আইন ২২.৭ (ওভার চলাকালীন বোলার আহত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় বল করা থেকে বিরত হন) প্রযোজ্য হবে।

জ্ঞাতব্য বিষয়

এম. সি. সি. কর্তৃক গঠিত সমস্ত আইনের মধ্যে আটটি উপধারায় বর্ণিত এই আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর গুরুত্ব বলতে গেলে ১৫ নং আইনের (খেলা শুরু) চেয়ে কোন অংশে কম নয়। এই আইনানুযায়ী আম্পায়ারকে প্রত্যেক বিরতি বা ছেদ, প্রতিদিনের খেলার সমাপ্তি এবং ম্যাচের সমাপ্তির আগে ‘টাইম’ ডাকতে হয়।

আইনে আরও বলা আছে যে কেবলমাত্র বোলার প্রান্তের আম্পায়ারই খেলার প্রতিটি ছেদের আগে ‘টাইম’ ডাকবেন। এই ‘টাইম’ ডাকার পর আম্পায়ার আর কোন আবেদন, যে কোন ঘটনার জন্যই হোক না কেন, গ্রাহ্য করবেন না। যদি মাঠে কোন ঘড়ি না থাকে তবে কোন খেলোয়াড় আম্পায়ারের কাছ থেকে সময় জানতে চাইলে আম্পায়ার তাকে তা জানাতে বাধ্য ।

এই আইনের তিন নং উপধারায় কোন বিরতি বা খেলার সমাপ্তির আগে শেষ ওভারটির শুরুর বিষয়ে বলা হয়েছে। যদি বিরতি বা খেলা শেষের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আম্পায়ার স্বাভাবিক গতিতে হেঁটে বোলার প্রান্তের উইকেটের পেছনে তাঁর নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছান, তাহলে বিরতির আগে বা দিনের শেষ ওভার হিসাবে আর একটি ওভার শুরু করা যাবে। এই বিষয়ে বোলার প্রান্তের আম্পায়ার অবশ্যই তাঁর সতীর্থের সাথে সময় মিলিয়ে নেবেন এবং দু’জনে একমত হলে তবেই ঐ ওভারটি আরম্ভ করা যাবে।

কিন্তু এর মধ্যেই যদি বিরতির বা খেলা সমাপ্তির নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায় তাহলে তিনি ‘টাইম’ ডাকবেন’ও বেল তুলে নেবেন। যদি কোন ব্যাটসম্যান বিরতির বা খেলা শেষের নির্দিষ্ট সময়ের দু”মিনিটের মধ্যে আউট না হন বা অবসর গ্রহণ না করেন অথবা খেলোয়াড়দের মাঠ পরিত্যাগ করার কারণ না ঘটে, তাহলে ঐ ওভার শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এছাড়া কোন বিরতি বা খেলা শেষের আগে কোন ওভার অসমাপ্ত থেকে গেলে খেলা শুরুর পর তা সম্পূর্ণ করতে হবে।

১৭ নম্বর আইনের ৫ নম্বর উপধারায় একটি ম্যাচের শেষ ওভারের সমাপ্তির কথা বলা হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী যদি কোন একজন অধিনায়ক অনুরোধ করেন, তবে খেলার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলেও ম্যাচের শেষ ওভারটি সম্পূর্ণ করতে হবে। যদি ঐ ওভারে কোন উইকেট পড়ে তবু সেটা শেষ না হওয়া অবধি খেলা চলতে হবে।

তবে এসব ক্ষেত্রে একজন অধিনায়ক ম্যাচের শেষ ওভারটি সম্পূর্ণ করতে তখনই অনুরোধ করেন যখন তার পক্ষে খেলাটির ফলাফলের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যদি একজন বোলার ম্যাচের শেষ ওভারে বল করতে অসমর্থ হয়ে পড়েন বা তাকে শাস্তি হিসাবে আর বল করতে না দেয়া হয় তাহলে আম্পায়ার ‘ডেড বল’ ডাকবেন ও সঙ্কেত দেবেন এবং আর একজন বোলারকে বাকি বলগুলি করতে নির্দেশ দেবেন। কিন্তু যদি কোন ব্যাপারে খেলোয়াড়রা মাঠ ত্যাগ করেন তাহলে আম্পায়ার টাইম ডাকবেন ও ম্যাচটি শেষ হবে।

 

কাতার বিশ্বকাপে মেসির রেকর্ডসমূহ 

 

প্রতিদিনের খেলা শেষ হবার পর আম্পায়ারের কতকগুলি অবশ্যই করণীয় বিষয় রয়েছে। তাঁকে খেলার শেষে এমন কিছু তথ্য রেকর্ড করে রাখতে হয় যেগুলি পরদিন খেলা শুরুর সময় খুব প্রয়োজনীয়। এই তথ্যগুলির মধ্যে রয়েছে দিনের শেষে কোন বোলার শেষ ওভারটি বল করেছেন, যদি কোন ওভার অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাহলে সেই ওভারের কটি বল বাকি আছে প্রভৃতি।

খেলার শেষ ঘন্টায় ২০ (কুড়ি) ৬ বলের ওভার বা ১৫ (পনেরটি) ৮ বলের ওভার বাধ্যতামূলক ওভারের খেলা শুরু হবার আগে আম্পায়াররা স্কোরারদের কোন বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেবেন। এছাড়া এটি ফিল্ডিং দলের অধিনায়কও অন্যান্য খেলোয়াড় এবং ফ্রীজে অবস্থানরত ব্যাটসমানদ্বয়কে জানিয়ে দেবারও দায়িত তাঁর ।

আম্পায়ারের এই সংকেত দানের পরবর্তী ওভারটি প্রথম (২০টি ৬ বলের ওভার) বাধ্যতামূলক ওভার বলে গণ্য হবে যদি ম্যাচের শেষ ঘন্টায় বাধ্যতামূলক ওভার চলার সময়ে মাঠ, আবহাওয়া, আলো বা অন্য কারণে খেলা বন্ধ থাকে এবং পরে আবার খেলা শুরু হয়, তাহলে আম্পায়ারদের হিসাব করে স্কোরারকে জানিয়ে দিতে হবে অবশিষ্ট সময়ে ফিল্ডিং পক্ষকে কত ওভার বল করতে হবে।

আবার ম্যাচের শেষ ঘন্টা সম্পূর্ণ হবার আগেই বাধ্যতামূলক ২০ টি (৬ বলের) ওভারের সবকটিই যদি শেষ করা যায় তবে অবশিষ্ট সময়েও খেলা চলবে। বাধ্যতামূলক ওভারের খেলা চলার সময়ে কত ওভার বল করা হলো তা স্কোরবোডে টাঙ্গিয়ে দিতে হবে, যাতে স্কোরার ও স্কোরবোর্ড অপারেটারের মধ্যে কোন মতানৈক্য না থাকে ৷ এই মতানৈক্য যদি থাকে এবং তা যদি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় তাহলে বিভিন্ন ক্রীড়া সাংবাদিকেরা আভ্যন্তরীণ ফোনের মারফত স্কোরারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে থাকেন যতক্ষণ না এই গুরুত্বপূর্ণ ভুলটি সংশোধন হয় ।

ম্যাচের শেষ ঘন্টায় বাধ্যতামূলক ওভার করার ক্ষেত্রে বাধা বা বিরতি প্রসঙ্গে যাবতীয় হিসাব বা নিকাশ ৭ নং উপধারার (অ) (আ) (ই) ও (ঈ)- এ যা বর্ণিত আছে নিয়মানুযায়ী প্রযোজ্য হবে। তবে এইসব হিসাব-নিকাশ করার জন্য দুটি পদ্ধতি আছে। সময়ের ভিত্তিতে এবং ওভারের ভিত্তিতে।

আবার জানা দরকার খেলা কোন ছেদের পর পুনরায় আরম্ভের সময় কোন ওভার যদি অসম্পূর্ণ থেকে যায় তা সম্পূর্ণ করতে হবে। কিন্তু কোন নতুন ইনিংস আরম্ভ করার বেলায় এ আইন প্রযোজ্য হবে না। নতুন ইনিংস সব সময়ই একটি সম্পূর্ণ ওভার দিয়ে শুরু করতে হবে এবং আগের ইনিংসের কোন অসম্পূর্ণ ওভার থাকলে তা এই হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment