হ্যান্ডবল খেলার রেফারি । হ্যান্ডবল খেলার আঠারো নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

হ্যান্ডবল খেলার রেফারি । হ্যান্ডবল খেলার আঠারো নম্বর আইন

 

হ্যান্ডবল খেলার রেফারি । আঠারো নম্বর আইন

 

হ্যান্ডবল খেলার রেফারি । হ্যান্ডবল খেলার আঠারো নম্বর আইন । খেলাধুলার আইন

১. প্রতি খেলায় একই ক্ষমতাসম্পন্ন দুইজন রেফারি থাকবেন। তাদেরকে সহযোগিতা করবেন একজন সময়রক্ষক ও একজন স্কোরার।

২. খেলোয়াড় যখন খেলার এলাকায় প্রবেশ করবে তখন হতে মাঠ ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত রেফারির নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

৩. রেফারিদ্বয় খেলায় পূর্বে খেলার মাঠ, গোল-পোস্ট, বল, স্কোর-শীট ও খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করবেন এবং বল নির্বাচন করবেন। মতবিরোধ হলে রেফারি যার নাম স্কোর-শীটে প্রথম লেখা হয় তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন। রেফারি খেলার স্কোরশীট ও প্রয়োজনীয় সকল ক্রীড়া সামগ্রী সঠিক আছে কিনা তা নিয়ন্ত্রণ করবে। তারা বদলি বেঞ্চে প্রতি দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার সংখ্যা নিশ্চিত করবেন এবং প্রতিদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সম্বন্ধে অবহিত হবেন এবং যে কোন অসুবিধা সংশোধন করবেন ।

.৪. প্রথম রেফারি (অর্থাৎ যিনি বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বা যার নাম প্রথম লেখা হয়) খেলা আরম্ভের পূর্বে দুই দলনেতা ও দ্বিতীয় রেফারির সামনে টস (Toss) করবেন।

 

হ্যান্ডবল খেলার রেফারি । আঠারো নম্বর আইন

 

৫. খেলা আরম্ভ হবার সময় দ্বিতীয় রেফারি কোর্ট-রেফারি হিসেবে যে দল থ্রো অফ করবে তাদের পেছনে মাঠে দাঁড়াবেন এবং খেলা আরম্ভের বাঁশি বাজাবেন। প্রথম রেফারি গোল-লাইন রেফারি থাকবেন। যদি অন্য দল বল পায় তবে দ্বিতীয় রেফারি গোল লাইন রেফারি হিসেবে দাঁড়াবেন। খেলা চালাকালীন সময়ে উভয় রেফারি মাঝে মাঝে অবশ্যই তাদের স্থান (Side) পরিবর্তন করবেন ।

৬. নীতগতভাবে উভয় রেফারি পূর্ণ দায়িত্ব সহকারে আইনগতভাবে পূর্ণ খেলা পরিচালনা করবেন ও অপরাধীদের শাস্তি দেবেন।

কোন বিশেষ কারণে যদি একজন রেফারি খেলা পরিচালনায় অসমর্থ হন তবে অন্য রেফারি একাই বাকি খেলাটি পরিচালনা করবেন।

৭. নীতিগতভাবে কোর্ট রেফারি নিম্নলিখিত সময় বাঁশির সংকেত দেবেনঃ

(ক) আইনসঙ্গত যে কোন সাধারণ থ্রো নেয়ার সময় ও টাইম আউট দেয়ার সময়। নীতিগতভাবে গোল লাইন রেফারি বাঁশির সংকেত দেবেন;

(খ) যদি কোন গোল করা হয়;

(গ) খেলা শেষ হলে যদি বড় ঘড়ির সংকেত না থাকে বা সময়রক্ষক বাঁশি না বাজিয়ে থাকে।

 

হ্যান্ডবল খেলার রেফারি । আঠারো নম্বর আইন

 

৮. যদি উভয় রেফারি একই সময় বাঁশি বাজান এবং শাস্তির পরিমাণের ক্ষেত্রে মতানৈক্য হয় এবং কোন দলকে শাস্তি দেবেন তাতে যদি মতৈক্য হয় তবে তুলনামূলকভাবে বেশি অপরাধের শাস্তিই কার্যকর হবে।

৯. যদি উভয় রেফারি একই সাথে বাঁশির সংকেত দেন এবং কোন দলকে শাস্তি দেয়া হবে সেক্ষেত্রে মতানৈক্য হয় তবে কোর্ট রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। কোর্ট রেফারির বাঁশির সংকেতে খেলা পুনরায় শুরু করা হবে।

১০. উভয় রেফারি সকল গোল, হুঁশিয়ারি, সাময়িক বহিষ্কার, অযোগ্য খেলোয়াড় ও চূড়ান্ত বহিষ্কারের নোট রাখবেন।

১১.উভয় রেফারির সিদ্ধান্তে খেলা আরম্ভ ও সাময়িক বন্ধ করা হবে এবং সময়সীমার বিষয়ে সময়রক্ষকের সন্দেহের সৃষ্টি হলে প্রথম রেফারির সিদ্ধান্ত সঠিক বলে বিবেচিত হবে।

 

কাতার বিশ্বকাপে মেসির রেকর্ডসমূহ 

 

১২. খেলা শেষে স্কোর-শীট সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার দায়িত্ব উভয় রেফারির।

১৩. মাঠে রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তবে আইন বহির্ভূত কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন দল আপীল করতে পারবে। খেলা চলাকালীন সময়ে শুধুমাত্র দলনেতা (Captain) রেফারির সাথে কথা বলতে পারবেন।

১৪. উভয় রেফারিই খেলা সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার অধিকার রাখেন। তবে খেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত দেয়ার পূর্বে খেলা চালানোর জন্য সম্ভব সকল কিছুই করার চেষ্টা করতে হবে।

১৫. কালো পোশাক রেফারিদ্বয়ের জন্য নির্ধারিত থাকবে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment